পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নৈশভোজ ও গানের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেনের অংশগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল শুক্রবার বিষয়টি জানাজানি হয়েছে।

১ মে রাত ১১টার দিকে উপজেলার সদরের বাহেরচর বাজারের একটি আবাসিক ভবনে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি সভাকক্ষে বসে গান পরিবেশন করছেন রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি কামাল মীর। আর তাঁর পাশে গিটার হাতে বসে আছেন উপজেলা সদর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাঁধন তালুকদার। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের উপদপ্তর সম্পাদক রবিন আহমেদ, উপজেলার ছাত্রলীগের সহসভাপতি বনি আমিনসহ কয়েকজন। এ সময় অতিথির আসনে বসে এমারত হোসেন গান শোনার পাশাপাশি মুঠোফোন ব্যবহার করছিলেন। তিনি মাঝেমধ্যে মাথা নাড়িয়ে গানের সুরে তাল মেলানোর চেষ্টা করছিলেন।

অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে একটি মামলার দুজন আসামিও আছেন। তাঁরা হলেন কামাল মীর ও বনি আমিন। গত ৯ সেপ্টেম্বর রাঙ্গাবালী থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা করেন উপজেলার চরমন্তাজ ইউনিয়নের বশির ফকির নামের এক ব্যক্তি। এতে প্রধান আসামি করা হয় রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান খান মামুনকে। মামলায় এজাহারভুক্ত ১৬৮ আসামির মধ্যে ৪৫ নম্বরে কামাল মীর এবং ১৫৫ নম্বরে বনি আমিনের নাম আছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করেছেন ওসি এমরাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘কে ছাত্রলীগ করে, সব তো আর আমি চিনি না। মামলার আসামি ছাত্রলীগের এক নেতা ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন, কিন্তু তিনি জামিনে আছেন। ওখানে আমি ছাড়াও উপজেলার অনেক অফিসার (কর্মকর্তা) গেছেন।’

এ বিষয়ে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ বলেন, ‘কলাপাড়া সার্কেল এসপিকে খোঁজখবর নিতে বলেছি। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

তিন বাহিনীর প্রধান ও দুই গোয়েন্দাপ্রধান নিয়োগের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনের

তিন সশস্ত্র বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমান) প্রধান এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) মহাপরিচালক নিয়োগের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

এ প্রস্তাবের ওপর আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু হয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব নিয়ে একটি ধারণাপত্র তাঁরা রাজনৈতিক দলগুলোকে দিয়েছেন। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া কেবল প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে ঐকমত্য কমিশন আরও কিছু নিয়োগে রাষ্ট্রপতির স্বাধীন ক্ষমতার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছে।

তিন বাহিনীর প্রধান ও দুই গোয়েন্দাপ্রধান নিয়োগের ক্ষমতার বিষয়টির পাশাপাশি আরও ৯টি নিয়োগের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অ্যাটর্নি জেনারেল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ও সদস্য, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস্ রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ও সদস্য।

গতকালের বৈঠক শেষে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, এসব প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোর বিবেচনার জন্য দেওয়া হয়েছে। যদি এসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়, তাহলে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তা কার্যকর করতে হবে। এসব বিষয় নিয়ে কমিশনের আজকের বৈঠকে আলোচনার কথা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ভোট দেব না’—এই ‘অস্ত্র’ ব্যবহার করতে পারেন নারীরা: অধ্যাপক আলী রীয়াজ
  • নেতা হতে আসিনি, সেবা করতে মাঠে আছি : মুজাহিদ মল্লিক
  • ছাত্রত্বের ভুয়া পরিচয় দেন সভাপতি, কমিটি ঘোষণার দিন শর্ট কোর্সে ভর্তি হন সম্পাদক
  • তিন বাহিনীর প্রধান ও দুই গোয়েন্দাপ্রধান নিয়োগের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনের