ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় একটি মাহিন্দ্রা ধাক্কা দিলে মাহিন্দ্রার দুই যাত্রী নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আরো দুইজন আহত হয়েছে।

শনিবার (৩ মে)  বেলা সাড়ে  ১১টার দিকে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের দপদপিয়া জিরো পয়েন্ট বকুলতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

নিহতরা হলেন,  বাকেরগঞ্জ উপজেলার চামটা কৃষ্ণনগর এলাকার হাসেম হাওলাদার (৭০) ও ফলাঘর এলাকার মোহাম্মদ শামীম (৫০)।

আরো পড়ুন:

মাঝ রাস্তায় থামে বাস, ঝুঁকিতে যাত্রী

রাজশাহীর উন্নয়নে ২ হাজার কোটি টাকার সুকুকের নিলাম ১৯ মে 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,  বকুলতলা এলাকায় একটি অটোরিকশা দাঁড়িয়ে ছিল। পটুয়াখালী থেকে বরিশালগামী যাত্রীবাহী একটি মাহিন্দ্রা পিছন থেকে ওই অটোরিকশায় ধাক্কা দিলে অটোরিকশা ও চালক ছিটকে খাদে পড়ে যায়। এতে  মাহিন্দ্রা গাড়ির  সকল যাত্রী আহত হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয় এবং বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরেকজনের মৃত্যু হয়। এ দিকে ঘটনার পরেই মাহিন্দ্রা চালক পালিয়ে যায়। 

নলছিটি থানার ওসি আব্দুস সালাম জানান, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাহিন্দ্রা গাড়িটা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। 

ঢাকা/অলোক/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ