মোজা পরলেই পায়ের দুর্গন্ধ? মুক্তি পাবেন যেভাবে
Published: 4th, May 2025 GMT
অনেকেরই মোজা পরলে পায়ে দুর্গন্ধ হয়। এটি একটি বিব্রতকর সমস্যা। বিশেষ করে অনেকক্ষণ মোজা পরার পর খুললেই দুর্গন্ধ ছড়ায়। এতে আশপাশের মানুষও অস্বস্তিতে ভোগেন। এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি মেনে চলতে পারেন।
সাধারণত কয়েকটি কারণে পায়ে দুর্গন্ধ হয়। যেমন-
অতিরিক্ত ঘাম: অনেকের পায়ের তালুতে ঘাম বেশি হয়, যা মোজার ভেতরে আটকে থেকে জীবাণু তৈরি করে এবং গন্ধ তৈরি করে।
মোজা ও জুতার অস্বচ্ছতা: অনেক দিন ধরে না ধোয়া মোজা বা ভ্যাপসা জুতো পায়ের ঘামের সঙ্গে মিশে গন্ধ বাড়িয়ে তোলে।
ফাঙ্গাল ইনফেকশন: পায়ের ত্বকে ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থাকলে দুর্গন্ধ আরও বেশি হয়।
দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়-
ভিনেগার পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন: এর জন্য ১ বালতি হালকা গরম পানিতে ১ কাপ অ্যাপল সিডার ভিনেগার মেশান। এরপর ওই পানিতে প্রতিদিন ১৫–২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়।
বেকিং সোডা ব্যবহার করুন: মোজা পরার আগে পায়ে হালকা করে বেকিং সোডা ছিটিয়ে নিন। এটি ঘাম শোষণ করে এবং দুর্গন্ধ কমায়।
টি ট্রি অয়েল : টি ট্রি অয়েল অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল সমৃদ্ধ।। দিনে একবার পায়ে কয়েক ফোঁটা লাগালে গন্ধ কমে যায়।
মোজা প্রতিদিন বদলান: একই মোজা দু'দিন ব্যবহার করবেন না। অদল বদল করে পরুন। সবসময় সুতি মোজা ব্যবহার করুন। প্রতিদিন পরিষ্কার করুন।
জুতা শুকিয়ে নিন : জুতা খুলে এমন জায়গায় রাখুন যেখানে বাতাস প্রবাহিত হয়। রোদে দিয়ে রাখলে জীবাণু মরে এবং গন্ধও কমে।
কী করবেন এবং কী করবেন না
করবেন:
পায়ের নখ পরিষ্কার রাখুন
পায়ে পাউডার ব্যবহার করুন
খালি পায়ে জুতো পরবেন না
যা করবেন না
ঘামযুক্ত পায়ে মোজা পরবেন না
প্লাস্টিক বা সিনথেটিক মোজা ব্যবহার করবেন না
ভেজা জুতো বা মোজা পরে থাকবেন না
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
যদি দুর্গন্ধের সঙ্গে ফাঙ্গাল ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা যায়, যেমন চুলকানি, লালচে ভাব বা ত্বক উঠে যাওয়া, তাহলে দ্রুত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর করব ন ন র কর ন
এছাড়াও পড়ুন:
মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিচার শুরু
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১–এ সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন ও সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়।
গত বছরের জুলাই ও আগস্টে ছাত্র–জনতার আন্দোলন চলাকালে যে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল, তার এক বছরের মাথায় এই মামলার মাধ্যমে সেই অপরাধের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ১৪ অক্টোবর বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ পুনর্গঠন করা হয়। সেখানে প্রথম মামলা (মিস কেস বা বিবিধ মামলা) ছিল এটি। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের প্রথম শুনানি হয় ১৭ অক্টোবর। সেদিন এই মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
গত ১২ মে এ মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আসামি করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। পরে ১ জুন শেখ হাসিনাসহ এই তিন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)।
আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক। তাঁদের আত্মসমর্পণ করতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ, অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনসহ যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এই তিন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। আজ সোমবারও সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য আছে।
এ মামলায় একমাত্র গ্রেপ্তার হওয়া আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি ইতিমধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি তিনি এ মামলায় ‘অ্যাপ্রুভার’ (দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্য বিবরণ প্রকাশ করেন যে আসামি; সাধারণত তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে পরিচিত) হয়েছেন। গতকাল তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। মামলার কার্যক্রমের কিছু অংশ বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে ৪ মামলাশেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জুলাই আদালত অবমাননার একটি মামলায় তাঁকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এটিই তাঁর প্রথম সাজা।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম-খুন ও নির্যাতনের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেকটি মামলা রয়েছে। ২৪ আগস্ট এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন নির্ধারিত রয়েছে।
মতিঝিলের শাপলা চত্বরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের হত্যা-নির্যাতনের অভিযোগে করা একটি মামলায়ও শেখ হাসিনা আসামি। এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার কথা ১২ আগস্ট।
সর্বোচ্চ শাস্তি চান অ্যাটর্নি জেনারেলগতকাল বিচারকাজের শুরুতে ট্রাইব্যুনাল–১–এ বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে ফ্যাসিস্টদের জন্ম হয়েছে। এসব ফ্যাসিস্টের অনেকেই বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন।
জুলাই বিপ্লবে ইতিহাসের নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে মন্তব্য করে আসাদুজ্জামান বলেন, ৩৬ দিনে গুলি করে ৩০ হাজার মানুষকে পঙ্গু করা হয়েছে। প্রায় ২ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তিনি সেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চান। আগামী প্রজন্মের জন্য এমন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা দরকার, যাতে খুনের রাজনীতি বন্ধ হয়।
এরপর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, তৎকালীন সময়ে আসামি শেখ হাসিনা ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, নির্বাহী বিভাগের প্রধান, আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ১৪–দলীয় জোটের নেত্রী। ফলে সব ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি। একনায়কতান্ত্রিক শাসক হিসেবে তিনি এককভাবে সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতেন। তাঁর অধীন কর্মকর্তারা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে তাঁর নির্দেশ বাস্তবায়নে সর্বদা আগ্রহী ছিলেন।
জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলোর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার ক্ষমতা ধরে রাখা—এ মন্তব্য করে তাজুল ইসলাম বলেন, অন্য আসামিরা তাঁর অধীনে থেকে বুঝতেন যে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকার ওপরই তাঁদের নিরাপত্তা ও পুরস্কার নির্ভর করছে।
পলাতক আসামি আসাদুজ্জামান খান প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা ও নীতিনির্ধারক এবং কথিত ‘গ্যাং অব ফোর’–এর সদস্য। আন্দোলন দমনের সব সিদ্ধান্ত তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে ‘কোর কমিটি’র বৈঠকে নেওয়া হতো। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম বলেন, তৎকালীন আইজিপি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রক ছিলেন। তিনি এবং আসাদুজ্জামান খান নিজেরা উপস্থিত থেকে নিরস্ত্র ছাত্র ও সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচার গুলি চালানোর নির্দেশ বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, তা তদারকি করতেন।
শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন—এই তিনজনই সর্বোচ্চ কর্তৃত্বের আসনে থেকে যৌথ অপরাধমূলক পরিকল্পনা (জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ) ও কমান্ড রেসপনসিবিলিটির (সর্বোচ্চ কর্তৃত্বের দায়) মাধ্যমে তাঁদের অধীন বাহিনী ও দলের সশস্ত্র ক্যাডারদের দিয়ে দেশব্যাপী প্রাণঘাতী হামলার নির্দেশ দেন। এর ফলেই ১ হাজার ৪০০-এর বেশি নিরপরাধ ও নিরস্ত্র ছাত্র আন্দোলনকারী নিহত হন। তদন্তে সংগৃহীত প্রমাণের ভিত্তিতে এই তিনজনের কার্যকলাপ স্পষ্টভাবে দেখায় যে তাঁরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংঘটিত অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ কমান্ড রেসপনসিবিলিটি বহন করেন।
প্রসিকিউশন ১১টি প্রতীকী ঘটনার ওপর মামলা কেন্দ্রীভূত করবে, যেগুলো অত্যন্ত নিখুঁতভাবে বাছাই করা হয়েছে। যাতে আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিটি উপাদান প্রমাণিত হয় বলেও উল্লেখ করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
প্রথম সাক্ষীর জবানবন্দি: শেখ হাসিনাসহ পাঁচজনকে দায়ী করলেনসূচনা বক্তব্যের শেষ অংশে গণ–অভ্যুত্থানের ওপর দুটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। একটি ভিডিও ছিল গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় মাইক্রোবাসচালক খোকন চন্দ্র বর্মণের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার।
খোকন চন্দ্র বর্মণ গতকাল প্রথম সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, গত বছরের ১৮ জুলাই তিনি নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন। সেখানে সারা দিন আন্দোলন করে বাসায় ফিরে যান। পরদিন আন্দোলনের জন্য নারায়ণগঞ্জের ভূঁইগড় থেকে চাষাঢ়া এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। বিজিবি ক্যাম্পের সামনে পুলিশ ও বিজিবি তাঁদের ওপর গুলি চালায়। তাতে তাঁর সামনে এক ব্যক্তির বুকে গুলি লেগে মারা যেতে দেখেন। আরও অনেকে আহত হন। এর পর থেকে তিনি নিয়মিত আন্দোলনে যোগ দেন।
খোকন চন্দ্র বর্মণ বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট সকাল ৯টা–সাড়ে ৯টার দিকে তিনি আন্দোলনে যোগ দিতে সাইনবোর্ড এলাকায় যান। অনেকক্ষণ স্লোগান ও মিছিল করে সেখানে থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার দিকে যাত্রাবাড়ী পৌঁছে দেখেন, পুলিশ গুলি করছে। একজন সেখানেই মারা যান। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী এসে ফাঁকা গুলি করলে পুলিশ যাত্রাবাড়ী থানার ভেতরে চলে যায়। এর মধ্যে খবর আসে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। তখন সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার পর পুলিশ থানা থেকে বের হয়ে তাঁদের ওপর গুলি করতে থাকে। তখন তিনি যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের নিচে পিলারের পেছনে লুকান। পুলিশ সেখানে গিয়ে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করে। সেখানে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অধিকাংশের গায়ে গুলি লাগে এবং তাঁর হাত ও পায়ে গুলি লাগে।
এরপর ফ্লাইওভারের নিচে থাকা ড্রামের পেছনে আশ্রয় নিলে সেখানে পুলিশ তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি করে বলে উল্লেখ করে খোকন চন্দ্র বর্মণ বলেন, কিন্তু গুলি তাঁর চোখ, নাক ও মুখে লাগে। তিনি ট্রাইব্যুনালে মাস্ক খুলে মুখ দেখান। দেখা যায়, তাঁর বাঁ চোখ, নাক ও মুখ পুরোটাই বিকৃত হয়ে গেছে। চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাশিয়া পাঠানো হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার করে মুখ থেকে কয়েকটি গুলি বের করা হয় বলে জানান খোকন চন্দ্র বর্মণ।
খোকন চন্দ্র বর্মণ ‘হাজার হাজার মানুষ’ হত্যার জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান, ওবায়দুল কাদের, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও শামীম ওসমানকে দায়ী করেন এবং তাঁদের বিচার দাবি করেন।
পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। সাক্ষী খোকন চন্দ্র বর্মণ জবানবন্দি দেওয়ার পর তাঁকে আমির হোসেন জেরা করেন। আমির হোসেন সাক্ষীকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানকে দায়ী করলেন, তার দলিল আছে?’ জবাবে খোকন চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘না।’
আইনজীবী আমির হোসেনের আরেকটি প্রশ্ন ছিল, আন্দোলনকারী ছাত্র–জনতা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। এতে যাত্রাবাড়ী থানার ১৩–১৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হন। আরও অনেক পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশের ওপর হামলায় ছাত্র–জনতা দেশি অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন এবং সেই অস্ত্রের আঘাতে আপনি আহত হয়েছেন? জবাবে খোকন চন্দ্র বলেন, ‘এসব কথা অসত্য।’