গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ট্রাক্টরের ধাক্কায় মোরশেদা বেগম (৪০) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। রবিবার (৪ মে) দুপুরে উপজেলার কাটাখালি ব্রিজের দক্ষিণ পাশে হাওয়াখানা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মোরশেদা বেগম উপজেলার তালুককানুপর ইউনিয়নের সুন্দইল গ্রামের ভ্যানচালক রফিকুল ইসলামের স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামীর ভ্যানে চড়ে বাড়ি থেকে গোবিন্দগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন মোরশেদা। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক্টরের ধাক্কায় সড়কে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলই তার মৃত্যু হয়।

গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে।’’

ঢাকা/মামুন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে হবে বিএসএফের ‘ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার’

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) আরও ১৬টি ব্যাটালিয়ন গঠন সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এসব ব্যাটালিয়নে থাকবে প্রায় ১৭ হাজার জওয়ান। পাশাপাশি পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্তে পশ্চিম ও পূর্ব কমান্ডের জন্য দুটি ‘ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার’ স্থাপন করা হবে। সরকারি সূত্রগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।

পরিকল্পনাটি ইতিমধ্যে নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে। অনুমোদন চূড়ান্ত হলে এটি বিএসএফের জন্য বড় সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। গত বছর বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পূর্ব সীমান্তে আর ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ ঘিরে নজরদারি জোরদার করছে বিএসএফ।

নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেছে, বিএসএফ শিগগিরই নতুন করে ১৬টি ব্যাটালিয়ন গঠনের চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে যাচ্ছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এসব ব্যাটালিয়ন গঠন করা হবে। সূত্রগুলো জানায়, এখনো কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রের মতো কয়েকটি চূড়ান্ত অনুমোদন বাকি আছে। তবে খুব শিগগির তা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সীমান্তের এই দুই ফ্রন্টে বর্তমানে এই আধা সামরিক বাহিনীর ১৯৩টি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। বিএসএফের প্রতিটি ব্যাটালিয়নে রয়েছে এক হাজারের বেশি সেনা। নতুন ১৬টি ব্যাটালিয়নে প্রায় ১৭ হাজার সদস্য যুক্ত হবেন।

সূত্রগুলো জানায়, বিএসএফের রূপরেখা অনুযায়ী নতুন ব্যাটালিয়নগুলো পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্ত পাহারার মতো প্রাথমিক দায়িত্ব পালনে এই বাহিনীকে সহায়তা করবে।

সূত্রগুলো আরও জানায়, বিএসএফের জন্য দুটি ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টারও (ফিল্ড কমান্ড ঘাঁটি) অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে জম্মু ও পাঞ্জাবে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তের নিরাপত্তা জোরদারে জম্মুতে একটি ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার হবে। বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি আরও উন্নত করতে অপর ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টারটি হবে মিজোরামে।

জম্মু সীমান্তে বিএসএফের বর্তমানে চারটি সেক্টর রয়েছে। এগুলোর নেতৃত্বে রয়েছেন ডিআইজি (ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল) পদমর্যাদার কর্মকর্তা। রাজৌরি, সুন্দরবনি, জম্মু এবং ইন্দ্রেশ্বর নগরে এসব সেক্টর অবস্থিত। অন্যদিকে আসামভিত্তিক মিজোরাম-কাছার ফ্রন্টিয়ার হেডকোয়ার্টারের অধীনে সেক্টরগুলো রয়েছে শিলচর, আইজল এবং মণিপুরে।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, নতুন এই ব্যাটালিয়নগুলোতে পুরুষ ও নারী সদস্য নিয়োগপ্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু করবে বিএসএফ। এরপর শুরু হবে তাঁদের প্রশিক্ষণ। আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে এই ইউনিটগুলো গঠিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে বিএসএফের সদস্যসংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার। এই বাহিনী কয়েক বছর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ২০ থেকে ২১টি নতুন ব্যাটালিয়ন গঠনের প্রস্তাব পাঠায়। অবশেষে সরকার ১৬টি নতুন ব্যাটালিয়ন গঠনে সম্মতি দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ