১১তম দিনে ২৯ জন বহিষ্কার, অনুপস্থিত ২৮৭০৯
Published: 4th, May 2025 GMT
২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ১১তম দিনে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে সারা দেশে ২৯ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই দিনে অনুপস্থিত ছিল ২৮ হাজার ৭০৯ জন পরীক্ষার্থী।
রবিবার (৪ মে) অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেয় ১৯ লাখ ২৬১ জন।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড.
আরো পড়ুন:
দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ৮ শিক্ষককে অব্যাহতি
সিরাজগঞ্জে সহপাঠীদের মারধরে আহত এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সারা দেশের ৯টি বোর্ডে অনুষ্ঠিত উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) পরীক্ষায় ৭ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষায় ৫ জন এবং ভোকেশনাল বা কারিগরি বোর্ডের ট্রেড ১ (দ্বিতীয় পত্র) পরীক্ষায় ৭ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আর বোর্ডভিত্তিক বহিষ্কারের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছে দিনাজপুর বোর্ডে। যার সংখ্যা ৯ জন। এছাড়া কুমিল্লা বোর্ডে ১ জন, যশোর বোর্ডে ১ জন, বরিশাল বোর্ডে ১ জন এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সারা দেশে ৯টি বোর্ডের অধীনে ২ হাজার ২৮২টি কেন্দ্রে, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে ৭২৫টি কেন্দ্রে এবং ভোকেশনাল বা কারিগরি বোর্ডের অধীনে ৬৯৯টি কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রুটিন অনুযায়ী আগামী ১৩ মে লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এসএসস পর ক ষ র থ পর ক ষ য়
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রামে বসে ড্রোন বানান তরুণ আশির উদ্দিন
ছয় কক্ষের পুরোনো একটি একতলা ঘর। ঘরের পেছনের দিকের ১৫ বর্গফুটের একটি কক্ষ। সেই কক্ষজুড়ে ছড়িয়ে আছে উড়োজাহাজ ও ড্রোনের নানা আদল, বৈদ্যুতিক ডিভাইস ও তার। আছে ল্যাপটপ ও সাদা খাতা। সেই সাদা খাতায় আবার নানা নকশা আঁকা। কক্ষটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ল্যাব’।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার একেবারে দক্ষিণে পুঁইছড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ পুঁইছড়ি গ্রামে অবস্থিত এই ল্যাব স্থানীয় তরুণ আশির উদ্দিনের। এই ল্যাব থেকেই একের পর এক ড্রোন বানিয়ে তাক লাগাচ্ছেন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি উড়োজাহাজের নমুনা ও ২০ থেকে ২৫টি ড্রোন তৈরি করেছেন আশির উদ্দিন। সব কটিই সফলভাবে উড্ডয়ন ও অবতরণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে বেশ কিছু ড্রোন বিক্রি করেছি। ১০ কেজি ওজনের একটি ড্রোনের দাম মানভেদে তিন থেকে চার লাখ টাকা। সর্বোচ্চ ২০ কেজি ওজনের ড্রোন ছয় লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। একটি ড্রোন তৈরিতে ৬ জনের টিমের ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগেআশির উদ্দিন২০১৫ সালে এসএসসি পাস করেন আশির। এরপর চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি পলিটেকনিক থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা শেষ করেন। আশির জানান, এসএসসি শেষ করার পর শখের বশে মোটর দিয়ে খেলনা নৌকা বানানো শুরু করেন তিনি। একদিন ছাদে বসে নৌকা বানানোর সময় দেখেন মাথার ওপর দিয়ে উড়োজাহাজ যাচ্ছে। তখনই এর আদলে ছোট উড়োজাহাজ বানানোর কথা মাথায় আসে। জানান, এরপর অত্যাধুনিক সব উড়োজাহাজের নমুনা তৈরি করতে থাকেন। একপর্যায়ে শুরু করেন ড্রোন বানানো। এলাকার আকাশেই এসবের উড্ডয়ন ও অবতরণের পরীক্ষা করা হয়। তাঁর নির্মাণ করা ড্রোন গোয়েন্দা নজরদারি, যুদ্ধসহ নানা কাজে ব্যবহার করা যায় বলে জানান আশির।
আশির উদ্দিন বলেন, ‘এর মধ্যে বেশ কিছু ড্রোন বিক্রি করেছি। ১০ কেজি ওজনের একটি ড্রোনের দাম মানভেদে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ ২০ কেজি ওজনের ড্রোন ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। একটি ড্রোন তৈরিতে ৬ জনের টিমের ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগে।’
নিজের ল্যাবে তৈরি করা একটি ড্রোন নিয়ে আশির উদ্দিন