ভারত-পাকিস্তানের কয়েকটি অঞ্চলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
Published: 7th, May 2025 GMT
কাশ্মীরে হামলা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। এসব হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত এবং ৪৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। এ হামলার পাল্টা জবাবে ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।
এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ ও ইসলামাবাদে এবং ভারত শাসিত কাশ্মীরের কিছু অংশে স্কুল ও কলেজ বন্ধ করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ এবং পাঞ্জাব প্রদেশের স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে দেশটি বলছে ভারতের হামলার জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
ভারত শাসিত কাশ্মীরের জম্মু, সাম্বা, কাঠুয়া, রাজৌরি এবং পুঞ্চ অঞ্চলের সব স্কুল, কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজ বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ভারতীয় সেনাবাহিনী আজ সকালে জানিয়েছে যে পাকিস্তান ভারত শাসিত কাশ্মীরের ভিম্বার গলি এলাকায় কামান নিক্ষেপ করেছে।
স্থানীয় অধিবাসীরা বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে।
কাশ্মীরে হামলার পর কিছুদিন ধরেই পারমাণবিক ক্ষমতাধর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছিল, এখন তা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মতো অবস্থায় গড়িয়েছে। ভারত সরকারের এক বিবৃতির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করেছে। এ হামলার পর পাকিস্তান দাবি করে ভারত বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এ হামলা চালিয়েছে। তবে ভারত সরকারের দাবি, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর কোনো স্থাপনাকে এ অভিযানে নিশানা করা হয়নি। গত ২২ এপ্রিল ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির পর থেকে ভারত–পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনার মধ্যে এবার সংঘর্ষে জড়াল দেশ দুটি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অভ য ন
এছাড়াও পড়ুন:
মানব উন্নয়ন সূচকে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানব উন্নয়ন সূচকে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার প্রকাশিত ইউএনডিপির প্রতিবেদন অনুসারে, মানব উন্নয়ন সূচকে এবার ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩০তম। এর আগের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ছিল ১৩১তম।
মাথাপিছু আয়, শিক্ষা এবং জন্মের সময় প্রত্যাশিত গড় আয়– এই তিনটি প্রধান সূচকের ওপর ভিত্তি করে মূলত হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স বা মানব উন্নয়ন সূচক (এইচডিআই) গণনা করে থাকে ইউএনডিপি। এবারের তথ্য-উপাত্ত ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। এর আগে প্রতিবেদনটি ছিল ২০২২ সালের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে।
ইউএনডিপির এবারের প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭৪ দশমিক ৭ বছর। গড় স্কুল শিক্ষা ৬ দশমিক ৮ বছর। ১৯৯০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর মানব উন্নয়ন সূচকের প্রবৃদ্ধি হয়েছে গড়ে ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। তবে প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখনও দরিদ্র ৪০ ভাগ মানুষের হাতে আছে মাত্র ২০ দশমিক ৪ শতাংশ আয়। ধনী ১০ ভাগ মানুষের কাছে আছে ২৭ দশমিক ৪ ভাগ আয়। সর্বোচ্চ ধনীদের ১ শতাংশের হাতে আছে ১৬ দশমিক ২ শতাংশ আয়।
প্রতিবেদনে থাকা দেশগুলোকে মানব উন্নয়নের ভিত্তিতে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে– অতি উচ্চ, উচ্চ, মাঝারি ও নিম্ন পর্যায়ের মানব উন্নয়ন। মাঝারি মানব উন্নয়ন ক্যাটেগরিতে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দেশ ভারতও এবার বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে ১৩০তম অবস্থানে আছে। এর আগের প্রতিবেদনে ভারত ছিল ১৩৩তম স্থানে।