দ্রুত একাডেমিক কার্যক্রম চালুর দাবি কুয়েট শিক্ষার্থীদের
Published: 12th, May 2025 GMT
শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ১৮ ফেব্রুয়ারির হামলার বিচারের মাধ্যমে দ্রুত একাডেমিক কার্যক্রমে চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১২ মে) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রায় ৩ মাস ধরে আমাদের সব একাডেমিক কার্যক্রম অচল হয়ে রয়েছে। আমাদের সবকিছু স্থবির হয়ে রয়েছে। আমরা স্থবিরতার বিপক্ষে। আমরা চাই সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম দ্রুত চালু হোক, ক্লাস-পরীক্ষা চালু হোক এবং আমরা দ্রুত কুয়েট ক্যাম্পাস থেকে সবকিছু শেষ করে বের হয়ে যেতে চাই।
আরো পড়ুন:
কেসিসির মেয়র দাবি করে আলোচনায় মুশফিক
খুবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
তারা আরো বলেন, স্যারদের কাছে করজোড়ে প্রার্থনা করি, ছাত্রদের উপর যে জুলুম করা হয়েছে সেটার বিচার করা হোক। যারা এই নাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত, আমরা চাই তাদের বিচার করা হোক। একইসঙ্গে আমরা শিক্ষক লাঞ্ছনারও বিচার চাই।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের ছাত্র ভাইদের উপর যারা জুলুম করেছে, যারা এ ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কুয়েট প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের যেসব শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন, তারও বিচার কামনা করছি।
এতে বক্তব্য দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুশফিক, আইইএম বিভাগের শিক্ষার্থী সাগর, এমএসই বিভাগের শিক্ষার্থী হিমেল, ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী সাবমান, সিইসি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিক, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম প্রমুখ।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খিলক্ষেতে দুর্গামন্দির ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় শ্রীশ্রী সর্বজনীন দুর্গামন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে তারা এই মানববন্ধন করে। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এ সময় লালমনিরহাটে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে আটক পরেশ চন্দ্র শীল ও তাঁর ছেলে বিষ্ণু চন্দ্র শীলের মুক্তির দাবিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের অত্যাচার–নির্যাতনের প্রতিবাদ জানানো হয়।
মানববন্ধনে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ কুমার হালদার বলেন, রাষ্ট্রীয় মদদে বুলডোজার দিয়ে খিলক্ষেতে দুর্গামন্দির উচ্ছেদ এবং মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
খিলক্ষেতের মন্দির ভাঙার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান প্রসেনজিৎ কুমার হালদার। তিনি বলেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরকারকে বিষয়টি সমাধান করতে হবে। তা না হলে ৭২ ঘণ্টা পর ঢাকা থেকে খিলক্ষেত অভিমুখে লংমার্চ করা হবে। ভাঙা মন্দির পুনর্নির্মাণে সহায়তা দিতেও সরকারের প্রতি দাবি জানান প্রসেনজিৎ কুমার।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মণীন্দ্র কুমার নাথ, হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব পলাশ কান্তি দে, সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের পক্ষে প্রদীপ কান্তি দে, সুশান্ত অধিকারী, তন্ময় মৌলিক, তিয়াশ সরকার, সুদীপ্ত প্রামাণিক, সাজেন কৃষ্ণ বল, পিজুস দাস, পলাশ সেন, পিংকু ভট্টাচার্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।