শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ১৮ ফেব্রুয়ারির হামলার বিচারের মাধ্যমে দ্রুত একাডেমিক কার্যক্রমে চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১২ মে) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রায় ৩ মাস ধরে আমাদের সব একাডেমিক কার্যক্রম অচল হয়ে রয়েছে। আমাদের সবকিছু স্থবির হয়ে রয়েছে। আমরা স্থবিরতার বিপক্ষে। আমরা চাই সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম দ্রুত চালু হোক, ক্লাস-পরীক্ষা চালু হোক এবং আমরা দ্রুত কুয়েট ক্যাম্পাস থেকে সবকিছু শেষ করে বের হয়ে যেতে চাই।

আরো পড়ুন:

কেসিসির মেয়র দাবি করে আলোচনায় মুশফিক

খুবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

তারা আরো বলেন, স্যারদের কাছে করজোড়ে প্রার্থনা করি, ছাত্রদের উপর যে জুলুম করা হয়েছে সেটার বিচার করা হোক। যারা এই নাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত, আমরা চাই তাদের বিচার করা হোক। একইসঙ্গে আমরা শিক্ষক লাঞ্ছনারও বিচার চাই।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের ছাত্র ভাইদের উপর যারা জুলুম করেছে, যারা এ ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কুয়েট প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের যেসব শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন, তারও বিচার কামনা করছি।

এতে বক্তব্য দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুশফিক, আইইএম বিভাগের শিক্ষার্থী সাগর, এমএসই বিভাগের শিক্ষার্থী হিমেল, ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী সাবমান, সিইসি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিক, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম প্রমুখ।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইল জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

নড়াইল জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল গফফারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে তাঁর অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা হাসপাতালের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল-ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নড়াইল জেলা শাখা, নড়াইল ড্রাগ সমিতি এবং স্থানীয় জনসাধারণের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের জেলা শাখার সভাপতি বিদ্যুৎ সান্ন্যাল। বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম সাজ্জাদ হোসেন, সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম, সোহেল রানা ও কামরুল বিশ্বাস।

বক্তারা বলেন, আবদুল গফফার সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে হাসপাতালে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত। তাঁর সঙ্গে খাদ্য সরবরাহকারীদের গোপন আঁতাতের ফলে রোগীদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। হাসপাতালের সরকারি আলট্রাসনো মেশিন বিকল দেখিয়ে তিনি নিচতলায় এনজিও পরিচালিত আরএইচ স্টেপে নিয়মিত অর্থের বিনিময়ে আলট্রাসনো করে যাচ্ছেন। তাঁর কক্ষে আসা রোগীদেরও সেখানে পাঠানো হয়। এ ছাড়া ভুল রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

তাঁরা আরও বলেন, ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী চুরির মাধ্যমে বিক্রির অভিযোগও রয়েছে তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে হাসপাতালের দালাল চক্র নির্মূল, মানসম্মত খাবার সরবরাহ ও জরুরি সেবাসমূহ ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার দাবি জানান বক্তারা। এ ছাড়া দ্রুত ২৫০ শয্যার হাসপাতাল চালুর দাবিও ওঠে মানববন্ধন থেকে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চিকিৎসক আবদুল গফফার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি কোনো অনিয়মে জড়িত নই।’ তিনি দাবি করেন, জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দালালদের হাসপাতাল থেকে দূরে রাখতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরপরই কিছু ক্লিনিক মালিক ও স্বার্থান্বেষী মহল তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাদকের বিরুদ্ধে তারুণ্যের প্রত্যয়
  • জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও এবং কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি শহীদ পরিবারের সদস্যদের
  • এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে মানববন্ধন
  • নোয়াখালীতে সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৫
  • রাজশাহীতে ওসির বিচারের দাবিতে আইনজীবীদের মানববন্ধন
  • নড়াইল জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
  • ঝিনাইদহে রেললাইন স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি
  • ঈদগাহ মাঠ স্ত্রীর কাছে ‘বিক্রি’ করলেন পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক