দেশের বাজারে শক্তিশালী ব্যাটারিযুক্ত নতুন দুই মডেলের স্মার্টফোন এনেছে রিয়েলমি। ‘রিয়েলমি ১৪ ৫জি’ ও ‘রিয়েলমি ১৪টি ৫জি’ মডেলের ফোন দুটিতে ছয় হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি থাকায় একবার চার্জে দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যায়। শুধু তা-ই নয়, ৪৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি থাকায় দ্রুত চার্জও করা যায় ফোন দুটি। ফলে ফোনের চার্জ শেষ হওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে রিয়েলমি বাংলাদেশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৬.

৬৭ ইঞ্চি পর্দার ফোন দুটিতে স্ন্যাপড্রাগন ও মিডিয়াটেকের শক্তিশালী প্রসেসর থাকায় একসঙ্গে একাধিক কাজ দ্রুত করা যায়। ৮ ও ১২ গিগাবাইট র‍্যামযুক্ত ফোন দুটির ধারণক্ষমতা যথাক্রমে ১২৮ ও ২৫৬ গিগাবাইট। ফোন দুটির পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেলের এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তির ক্যামেরাসহ সামনে রয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ফলে সহজেই ভালো মানের ছবি তোলার পাশাপাশি ভিডিও করা যায়।

আরও পড়ুনবাংলাদেশে আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সের দাম কত?২৯ এপ্রিল ২০২৫

অ্যান্ড্রয়েড ১৫ ভিত্তিক রিয়েলমি ইউআই ৬ অপারেটিং সিস্টেমে চলা ফোন দুটি পানি ও ধুলা প্রতিরোধক। ফলে পানিতে ভিজলে নষ্ট হয় না, ধুলাও জমে না। ফোন দুটির দাম ধরা হয়েছে যথাক্রমে ৩১ হাজার ৯৯৯ টাকা ও ৪১ হাজার ৯৯৯ টাকা।

আরও পড়ুনপানির নিচে ছবি তোলার পাশাপাশি ভিডিও করা যায় এই ৫জি স্মার্টফোনে১৫ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষার্থীর নাক ফাটালেন সহকারী শিক্ষক 

পাবনার চাটমোহরে তুচ্ছ ঘটনায় সোয়াদ হোসেন নামে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর নাক ফাটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। 

বুধবার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের কানাইয়েরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। 

অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান ওরফে জিয়া হাফিজ ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক।  

আহত শিক্ষার্থী কানাইয়েরচর গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে। তাকে আহত অবস্থায় চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্লাস চলাকালীন হাফিজুর রহমানের  অনুমতি নিয়ে বাইরে যায় সোয়াদ। কিন্তু ফিরে আসতে দেরি হওয়ায় শ্রেণিকক্ষে ঢোকার সাথে সাথে সোয়াদের গালে চড় দেন হাফিজুর রহমান। এ সময় নাকে লেগে জখম হয় সোয়াদ। পরে স্বজনরা খবর পেয়ে সোয়াদকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে রক্ত বন্ধ না হলে পরবর্তীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সোয়াদের বাবা মুকুল হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘‘শিক্ষক মারধর করুক। সেটা নিয়ে আমার আপত্তি নাই। লেখাপড়ার জন্য যদি মারতো তবে আমার কোনো অভিযোগ থাকতো না। কিন্তু মারারও তো ধরণ আছে। এভাবে রক্তাক্ত জখম করবে আমি বাবা হিসেবে এটা মেনে নিতে পারছি না। আমি এর বিচার চাই।’’

কানাইয়েরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, ‘‘আমি ওই সময় অফিসে ছিলাম। ঘটনা জানতে পেরে ক্লাসে গিয়ে শুনি সোয়াদ বাড়ি চলে গেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’

অভিযুক্ত শিক্ষক কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে মৌখিক ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেছে।’’

হাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘ক্লাস চলাকালীন বারবার বাইরে যাচ্ছিল আর আসছিল। চড় মারতে গিয়ে বাচ্চাটার নাকে লেগে রক্ত বেরিয়েছে। এটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এ জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’’

দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চাটমোহর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘বিষয়টি দুঃখজনক। আমি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’

শাহীন//

সম্পর্কিত নিবন্ধ