বিদ্যালয়েই ধর্ষণচেষ্টার পর ক্লাসে যাওয়া বন্ধ মেয়েটির
Published: 16th, May 2025 GMT
কুপ্রস্তাব ও দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের কথা বললেও রাজি ছিল না ১৪ বছর বয়সী মেয়েটি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয় চলাকালে শৌচাগারে ডেকে নিয়ে মো. লিখন হোসেন নামে তরুণ ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা গত ১ মে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এর পর থেকে তরুণ ও তার পরিবারের লোকজন অভিযোগ তুলে নিতে হয়রানি এবং হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ভয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েটি। ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, সালিশের নামে একাধিকবার বসেও এ বিষয়ে সুরাহা হয়নি। তারা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। অভিযুক্ত তরুণ লিখন (১৮) সগুনা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
গত ৩০ এপ্রিল এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর উপপরিদর্শক (এসআই) মো.
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গত ৩০ এপ্রিল বিদ্যালয়ে মধ্যাহ্নবিরতির সময় লিখন বিদ্যালয় ভবনের চতুর্থ তলায় উঠে যায়। এর পর সপ্তম শ্রেণির শ্রেণিকক্ষ থেকে জরুরি কথা আছে বলে শিক্ষার্থীকে টেনেহিঁচড়ে শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দুই বান্ধবী তাকে উদ্ধার করে নিচে নিয়ে আসে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানায় তারা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সত্যতা থাকায় আমি স্থানীয় গণ্যমান্যদের বিদ্যালয়ে ডেকে এনে বিষয়টি জানাই। তারা উপযুক্ত বিচার করবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু দৃশ্যমান কিছুই হয়নি।
থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে তরুণ ও তার স্বজনরা নানাভাবে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা অভিযোগ করে বলেন, গ্রামের এক প্রভাবশালী তাদের সহযোগিতা করছেন। ঘটনার পর থেকে আমার মেয়ে আতঙ্কে বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। সারাক্ষণ সে ভয়ে কাঁপছে।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত তরুণ লিখনের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ মামলা আকারে রেকর্ড করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র পর থ ক ঘটন র এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবার খেলতে এসেই সোনারগাঁওয়ের জয়ের নায়ক জয়
ফুটবলে টাইব্রেকার মানে অনেকটাই গোলকিপারের খেলা। যে গোলকিপার প্রতিপক্ষের শট আটকাতে পারেন, এগিয়ে থাকে তাঁর দলই। সেটিই হলো আজ ইস্পাহানি-প্রথম আলো তৃতীয় আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলের ঢাকা অঞ্চলের চতুর্থ দিনের প্রথম ম্যাচে।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির বিপক্ষে টাইব্রেকারে গোলকিপার জয় চক্রবর্তীর দু-দুটি সেভ সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়কে এনে দিয়েছে ৪-২ গোলের জয়।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি এবং সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় দুই দলই এই প্রথম খেলছে ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে। প্রথম ম্যাচ হেরে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি। অন্যদিকে জয় দিয়ে শুরু করে টুর্নামেন্টের টিকে থাকল সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুনদল নিয়ে এসে ৭ গোলে জিতলেন ক্রিকেটার জাভেদ ওমর১৫ ঘণ্টা আগে৩৫ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোল করে সোনারগাঁও, পেনাল্টিতে গোল করেন নাজিম উদ্দিন। ৪৫ মিনিটে সেই গোল শোধ করেন রাহাত খান। টুর্নামেন্ট নকআউটভিত্তিক হওয়ায় এরপর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন সোনারগাঁওকে জেতানো জয় চক্রবর্তীই
ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন সোনারগাঁওকে জেতানো গোলরক্ষক জয় চক্রবর্তী