আইএসপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি-মহাসচিব নির্বাচিত
Published: 19th, May 2025 GMT
সারাদেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সংগঠন আইএসপিএবির ২০২৫-২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহীর কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আম্বার আইটি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম। মহাসচিব হয়েছেন কেএস নেটওয়ার্ক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল করিম ভূঁঞা।
প্রসঙ্গত, আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৭ মে। নির্বাচনে আইএসপি ইউনাইটেড প্যানেল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। বিজয়ীরা সবাই পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন।
নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী (অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট) ও সদস্যদ্বয় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো.
কার্যনির্বাহী পরিষদের পরিচালকদের মধ্যে পদবণ্টনে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী ফল ঘোষণা করেন। এ সময় আইএসপিএবির কার্যনির্বাহী পরিষদের নব-নির্বাচিত কর্মকর্তা ও পরিচালকরা ও অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটির অন্যরা হলেন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আইসিসি কমিউনিকেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক, সহসভাপতি মাজেদা নেটওয়ার্কস লিমিটেডের চেয়ারম্যান নেয়ামুল হক খান, যুগ্ম মহাসচিব-১ সার্কেল নেটওয়ার্কের সিইও মাহবুব আলম রাজু, যুগ্ম মহাসচিব-২ ফুয়াদ মুহাম্মদ শরফুদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ রেড ডাটা (প্রা.) লিমিটেডের সিইও মঈন উদ্দিন আহমেদ।
অন্যদিকে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন ওয়ান স্কাই কমিউনিকেশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুর রহমান রাজন, ইনভেনশন টেকনোলজিস লিমিটেডের সিটিও মো. মিঠু হাওলাদার, এক্সোর্ড অনলাইনের সাব্বির আহমেদ ও তুহিন এন্টারপ্রাইজের রাইসুল ইসলাম তুহিন, এম/এস জুবায়ের আইটি এক্সপার্টের মো. জুবায়ের ইসলাম ও সবুজ বাংলা অনলাইনের এসএম সাইফুল ইসলাম সেলিম।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ ইসল ম সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ নিয়ে যা জানালো আইএসপিআর
জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সেনা সদস্যরা চাকরিতে পুনর্বহাল, শাস্তি মওকুফ ও আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিক্ষোভ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রদান করেন। এ ঘটনায় রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)।
এতে বলা হয়, জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে আজ (রোববার) কতিপয় বরখাস্ত/অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সেনাসদস্যরা তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল, শাস্তি মওকুফ ও আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিক্ষোভ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রদান করেন। শান্তিপূর্ণ সমাধানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় প্রেসক্লাবে গমন করেন এবং অত্যন্ত ধৈর্য ও আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের বক্তব্য শোনেন।
প্রতিনিধি দল সেনাবাহিনীর প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসারে দাবি-দাওয়া যাচাই ও সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। একইসঙ্গে অভিযোগগুলো কোনো তৃতীয় পক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে না পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সরাসরি উপস্থাপনের পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয় এ ধরনের মোট ৮০২টি আবেদন গৃহীত হয়েছে, যার মধ্যে ১০৬টি আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে এবং বাকি আবেদনগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে যা সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করছে।
আইএসপিআর আরও জানায়, তবে দুঃখজনক যে, আজকের কিছু অনভিপ্রেত আচরণ এই সুশৃঙ্খল বাহিনীর ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। পরপর দুবার সফল বৈঠক শেষে, প্রতিনিধি দল ফেরত যাওয়ার সময় কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল বরখাস্ত সেনা সদস্যদের উস্কানিতে উক্ত প্রতিনিধি দলের গাড়ির সম্মুখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং অশ্রাব্য ভাষায় স্লোগান দেওয়া হয়।
সমগ্র দিন জুড়ে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সহমর্মিতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালালেও এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিছু সংখ্যক বিশৃঙ্খল সাবেক সদস্যকে ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয়।
যেকোনো ধরনের উসকানিমূলক কার্যকলাপ, জনস্বার্থবিরোধী আচরণ কিংবা বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন করতে পারে— এমন কর্মকাণ্ড কখনোই কাম্য নয়। সব ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী অত্যন্ত ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিষয়টি বিবেচনা করছে। সাংবিধানিক কাঠামো ও শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পুনরায় সবার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছে।