জিমেইল ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করতে নতুন কৌশল
Published: 20th, May 2025 GMT
জিমেইল ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করতে নতুন কৌশলে প্রতারণা করছে সাইবার অপরাধীরা। জিমেইল ব্যবহারকারীদের বোকা বানাতে প্রথমে গুগলের পরিচয়ে ভুয়া ই–মেইল পাঠিয়ে থাকে তারা। ই–মেইলের ভাষা হুবহু গুগলের নিরাপত্তা সতর্কবার্তার মতো। তাই অনেক ব্যবহারকারী ই–মেইল প্রেরকের পরিচয় যাচাই না করেই ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য দিয়ে দেন, যার ফলে তাঁদের গুগল অ্যাকাউন্ট ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
ভুয়া ই–মেইলে দাবি করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকার গুগলকে একটি আইনি সমন পাঠিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সব জিমেইল ব্যবহারকারীর গুগল ফটো, গুগল ম্যাপসহ অ্যাকাউন্টে সংরক্ষিত সব তথ্য হস্তান্তর করতে হবে। বার্তাটিতে ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো অভিযোগের কথা বলা হয় না। ভুয়া ই–মেইলে ব্যবহারকারীর গুগল অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং সহায়তা রেফারেন্স নম্বর থাকায় অনেকেই বার্তাটি গুগলের পাঠানো বলে মনে করেন।
আরও পড়ুনজিমেইলে কয়েক বছর আগের ই-মেইল খুঁজে পাবেন যেভাবে০২ জানুয়ারি ২০২৫গুগল জানিয়েছে, সাইবার হামলা থেকে জিমেইল ব্যবহারকারীদের রক্ষায় নতুন নিরাপত্তাব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। নতুন ধরনের এই সাইবার হামলা থেকে নিরাপদ থাকতে ব্যবহারকারীদের দুই স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা ও পাসকি ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুনজিমেইল অ্যাকাউন্টের জায়গা খালি করবেন যেভাবে৩০ আগস্ট ২০২৪সাইবার নিরাপত্তা–বিশেষজ্ঞদের মতে, হঠাৎ কোনো অজানা বা অস্বাভাবিক বার্তা এলে তৎক্ষণাৎ কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার নেই। বার্তাটি একাধিকবার মনোযোগ দিয়ে পড়া উচিত। অনেক সময় বার্তার ভাষা, তথ্য উপস্থাপন বা বানানে সূক্ষ্ম ভুল থাকে। এসব বিষয় ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে ভুয়া ই–মেইল থেকে নিরাপদ থাকা যায়।
সূত্র: নিউজ১৮
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অ য ক উন ট
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি