অবৈধ আর্থিক লেনদেন, চবির এক ডেপুটি রেজিস্ট্রার সাময়িক বরখাস্ত
Published: 20th, May 2025 GMT
নিরাপত্তা প্রহরী সরবরাহের কাজ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি এ ঘটনায় তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তার নাম মো. গোলাম কিবরিয়া। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও নিরাপত্তা দপ্তরের প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলছেন এ কর্মকর্তা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, নিরাপত্তা দপ্তরের অধীনে ৪০ জন নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এই নিয়োগ অস্থায়ীভাবে হয়ে থাকে। সাধারণত ঠিকাদারদের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে এসব নিয়োগ দেওয়া হয়। । গোলাম কিবরিয়া এসব নিয়োগ এক ঠিকাদারকে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে দুই লাখ টাকা চান। পরে ওই ঠিকাদার এক লাখ টাকা নিয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অগ্রণী ব্যাংকে গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে ওই ঠিকাদারের লেনদেনের কথোপকথনের ভিডিও আজ দুপুরে দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো.
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মো. গোলাম কিবরিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বরখ স ত গ ল ম ক বর য় বরখ স ত ল নদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
২ কেজির ইলিশ বিক্রি হলো ৭ হাজার ৭০০ টাকায়
সারাদেশে ইলিশের দাম নিয়ে যখন হইচই তখন জেলেরা ভুগছেন ইলিশ সংকটে আর ক্রেতারা হতাশ দাম নিয়ে। এ অবস্থায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জামাল মাতুব্বর নামের এক জেলের জালে ধরা পড়লো ২ কেজির এক ইলিশ যা বিক্রি হলো ৭ হাজার ৭০০ টাকায়।
রোববার বিকেলে উপজেলার আশাখালী মাছ বাজারে ২ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশটিকে ৭ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করেন জেলে। মাছটি কেনেন বন্ধন ফিসের মালিক মো. জাহিদুল ইসলাম।
জেলে জামাল মাতুব্বর বলেন, গত কালকে সমুদ্রে মাছ ধরতে নেমে আজকে আবহাওয়া খারাপ হওয়া তীরে চলে এসেছি৷ ইলিশ মাছ কম তবে একটি ইলিশ আমি ৭ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করেছি। যে কারণে কম মাছ পেলেও খুব ভালো লাগছে। এর চেয়েও বড় ইলিশ সমুদ্রে পাওয়া যায় তবে এখন দাম অনেক হওয়ায় যা দাম এসেছে তাতে পুষিয়ে যায় আমাদের।
বন্ধন ফিসের মালিক মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, গত ১১ জুন ৬০ দিনের অবরোধ শেষ হওয়ার পর কয়েকবার আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় জেলেরা ঠিকমতো মাছ ধরতে পারছেন না। তবে আজকে জেলে জামাল একটি মাছ প্রায় ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। এটা তার জন্য অনেক আনন্দের। মাছটি আমি কিনে ঢাকায় পাঠিয়েছি।
উপজেলার বেশ কয়েকটি মাছের বাজারে কথা বলে জানা যায়, ইলিশ সংকট হওয়ায় তার দাম আকাশচুম্বী। আজকে এক কেজির উপরের ইলিশ প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে এক লাখ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ৯৫ থেকে ৯৮ হাজার টাকায়, ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ ৭০ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকায়, ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ ৬৫ থেকে ৬৮ হাজার টাকায়, ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ৬০ দিনের অবরোধ সঠিকভাবে পালন হওয়ায় সাগরে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়ায় জেলেরা ঠিকমত মাছ ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তবে আবহাওয়া ঠিক হলে মাছের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে আর দামও নাগালে চলে আসবে।