Risingbd:
2025-05-21@18:23:44 GMT

বান্দরবানে ৮ রোহিঙ্গা আটক

Published: 21st, May 2025 GMT

বান্দরবানে ৮ রোহিঙ্গা আটক

বান্দরবান থেকে আট রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২১ মে) সকালে জেলা শহরের বালাঘাটা এলাকার পূর্ব মুসলিম পাড়া থেকে তাদের আটক করা হয়। বান্দরবান সদর থানার ওসি মো. মাসুদ পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটককৃতরা হলেন- আবদুল করিম (৪৫), শামসুল আলম (৪০), আয়াতুল্লাহ (৩৫), কুল্লাহ মিয়া (৪৫), মুজিবুল্লাহ (২৫), মো.

তৈয়ব (২২), করিম উল্লাহ (২২) ও সৈয়দুল্লাহ (২২)। তারা সবাই কক্সবাজারের উখিয়ার ট্যাংকখালি ১৯ নম্বর ক্যাম্পের এ-১১ ব্লকের বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বালাঘাটা এলাকায় কিছু রোহিঙ্গা অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পূর্ব মুসলিম পাড়া এলাকা থেকে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা ৮ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।

আরো পড়ুন:

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সমুদ্রে ফেলে দেওয়ায় জামায়া‌তের নিন্দা

ভারতের রোহিঙ্গাদের পুশইন প‌রিক‌ল্পিত: বিজিবি মহাপরিচালক

আটককৃতদের মধ্যে রোহিঙ্গা মাঝি (নেতা) আবদুল করিম ছিলেন। তিনি জানান, তারা গত দেড় মাস ধরে বালাঘাটা পূর্ব মুসলিম পাড়ায় গাছ কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন।

বান্দরবান সদর থানার ওসি মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানো অভিযানে আটক রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের ট্যাংকখালি ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/চাইমং/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক ব ন দরব ন

এছাড়াও পড়ুন:

ফুলছড়ির ৬ ইউপি চেয়ারম্যান আটক

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার আওয়ামী লীগপন্থি ৬ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (২১ মে) দুপুরে উপজেলা পরিষদের হল রুমে উপজেলা কমিটির মাসিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সভা শেষে তাদের আটক করা হয়। 

ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।” 

আরো পড়ুন:

চাঁদাবাজির অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক দুই নেতা আটক

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই ডাকাত দলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১

এর আগে, উপজেলা কমিটির মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা চলাকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতা ও আওয়ামী লীগের সমর্থক চেয়ারম্যানদের আটক করে বিচার দাবিতে পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ করে বিএনপি নেতাকর্মী, সমর্থক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। 

আটককৃতরা হলেন- ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা সালু, উড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল পাশা, গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেস আলম খুশু, ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, এরেন্ডাবাড়ী  ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, ফজলুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী মন্ডল। এসময় উদাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলামিন আহম্মেদ কৌশলে পালিয়ে যান। 

এলাকাবাসী জানান, আটককৃতরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।

ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাদিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের সাত ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার ও নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। আসন্ন ঈদুল আজহার পর আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসবে বলে তারা প্রচার করছিলেন।”

তিনি বলেন, “এসব খবরে বিএনপির কর্মী, সমর্থক ও স্থানীয় জনগণ উপজেলা কমিটির মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভা চলাকালীন তাদের আটকের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পরে ফুলছড়ি থানা পুলিশ ছয় ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করে। এসময় পালিয়ে যান উদাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলামিন আহম্মেদ।”

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, “নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে ফুলছড়ি থানা পুলিশ ছয় ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করে সদর থানায় হস্তান্তর করেছে। সেখানকার ওসির সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/মাসুম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফুলছড়ির ৬ ইউপি চেয়ারম্যান আটক