গ্রীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বন্দরে মুক্তিযুদ্ধা প্রজন্ম দলের বৃক্ষ রোপন
Published: 21st, May 2025 GMT
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দেশনায়ক তারেক রহমানের গ্রীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধা প্রজন্ম দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরিলের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর মুক্তিযুদ্ধা প্রজন্ম দলের পক্ষ থেকে বন্দরে বিভিন্ন স্কুল ও সড়কের পাশে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
বুধবার (২১ মে) বিকেল ৩টা বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের সোনাকান্দা সড়কসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষ রোপন করা হয়।
মহানগর মুক্তিযুদ্ধা প্রজন্ম দলের সভাপতি জহিরুল ইসলাম জয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: রবিন এর সঞ্চালনায় এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব হোসেন এর তত্বাবধানে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীতে এসময় উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃআহমেদ আলী,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদুল্লাহ মুকুল, মুক্তিযুদ্ধা প্রজন্ম দলের কোষাধক্ষ মো: আরিফ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ,প্রজন্ম দল নেতা রকিব, মোঃআলী, মোঃহৃদয় ,রাজীব, বিপ্লব, ইয়াসিন,সাইদুল সহ প্রমুখ নেতাকর্মী বৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
মুর্শিদাবাদ দাঙ্গা: তৃণমূলের এক নেতা ও পুলিশকে দায়ী কলকাতা হাইকোর্টের গঠন করে দেওয়া কমিটির
কলকাতা হাইকোর্টের গঠন করে দেওয়া তিন সদস্যের কমিটি মুর্শিদাবাদের দাঙ্গার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের এক স্থানীয় নেতা ও পুলিশকে দায়ী করেছে। কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা গেছে।
প্রতিবেদনের এক নম্বর অনুচ্ছেদে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মেহবুব আলমের কথা উল্লেখ করে হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘আক্রমণগুলি স্থানীয় কাউন্সিলর মেহবুব আলম পরিচালনা করেছিলেন। স্থানীয় পুলিশ সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় এবং অনুপস্থিত ছিল।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুর্বৃত্তরা একটি পানির বোতলের দোকান ধ্বংস করেছে এবং ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকাসহ ক্যাশ বাক্স লুট করেছে। ধুলিয়ান পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত একটি শপিং মলও সম্পূর্ণভাবে লুটপাট করা হয়েছে এবং তা বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় ঘোষপাড়ায় ২৯টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রতিবেদনের ভাষ্য অনুযায়ী, উত্তম মুর্শিদাবাদের ‘সমসেরগঞ্জ, হিজলতলা, শিউলিতলা, (এবং) ডিগ্রির বাসিন্দারা তাদের মুখ ঢেকে এসেছিলেন। স্থানীয় কাউন্সিলর মেহবুব আলম দুর্বৃত্তদের সঙ্গে ১১ এপ্রিল ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) স্থানীয় বিধায়কও [ঘটনাস্থলে] উপস্থিত ছিলেন। তিনি ভাঙচুর দেখে চলে যান। তবে ১২ এপ্রিলও (শনিবার) সহিংসতা অব্যাহত ছিল।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়াক্ফ সংশোধনী বিলকে কেন্দ্র করে ৯ থেকে ১২ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়। গত ১১ এপ্রিল তিনজন নিহত ও অনেকে আহত হন। বেশ কিছু দোকান ও বাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং আগুন লাগানো হয়।
সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন তদারকি করার জন্য কলকাতা হাইকোর্ট গত মাসে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন। কমিটিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রেজিস্ট্রার যোগিন্দর সিং, পশ্চিমবঙ্গ আইনি পরিষেবার সদস্যসচিব সত্য অর্ণব ঘোষাল এবং পশ্চিমবঙ্গ বিচার বিভাগীয় পরিষেবার রেজিস্ট্রার সৌগত চক্রবর্তীকে রাখা হয়েছে।
গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে এক নির্দেশে বলেছিলেন, মুর্শিদাবাদের সংঘর্ষে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের প্রত্যেককে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ওই অঞ্চলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) একটি চৌকি স্থায়ী ভাবে রাখার জন্য স্থানীয় মানুষ আবেদন করেছেন। রাজ্য সরকার এই আবেদনটি বিবেচনা করে দেখতে পারেন।