রিয়াল মাদ্রিদকে বিদায় জানিয়ে মাদ্রিদ থেকে উড়াল দিয়ে গত রোববার রাতে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোয় পৌঁছান কার্লো আনচেলত্তি। গালেয়াও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে হোটেল ওয়েস্ট জোনে যান ইতালিয়ান এই কোচ। ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসেবে এই হোটেলেই তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেবে দেশটির ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)।

আরও পড়ুনঅভিশাপ-মুক্তি, অভিষেকেই শিরোপা আর পাখিদের জয়গান১১ ঘণ্টা আগে

ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো স্পোর্ত’ জানিয়েছে, মাদ্রিদ থেকে আনচেলত্তির রিও ডি জেনিরোয় পা রাখা এবং কোচ হিসেবে আনুষ্ঠানিক পরিচিতি ঠিকমতো কাভার করতে একজন প্রযোজকও নিয়োগ দিয়েছে সিবিএফ। অন্তত আটটি দেশের দুই শতাধিক সাংবাদিক ব্রাজিল কোচ হিসেবে আনচেলত্তির প্রথম সংবাদ সম্মেলন কাভার করার অনুমতিপত্র পেয়েছেন। আবেদনপত্র জমা পড়েছিল ৫০০–এর বেশি। ব্রাজিল, স্পেন, চিলি, জাপান, জার্মানি, আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালির সাংবাদিকেরা সংবাদ সম্মেলন কাভার করার অনুমতি পেয়েছেন।

রিও ডি জেনিরোয় পা রাখার পর সিবিএফ সভাপতি সামির জাউদের সঙ্গে আনচেলত্তি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ