রিয়াল মাদ্রিদকে বিদায় জানিয়ে মাদ্রিদ থেকে উড়াল দিয়ে গত রোববার রাতে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোয় পৌঁছান কার্লো আনচেলত্তি। গালেয়াও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে হোটেল ওয়েস্ট জোনে যান ইতালিয়ান এই কোচ। ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসেবে এই হোটেলেই তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেবে দেশটির ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)।

আরও পড়ুনঅভিশাপ-মুক্তি, অভিষেকেই শিরোপা আর পাখিদের জয়গান১১ ঘণ্টা আগে

ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো স্পোর্ত’ জানিয়েছে, মাদ্রিদ থেকে আনচেলত্তির রিও ডি জেনিরোয় পা রাখা এবং কোচ হিসেবে আনুষ্ঠানিক পরিচিতি ঠিকমতো কাভার করতে একজন প্রযোজকও নিয়োগ দিয়েছে সিবিএফ। অন্তত আটটি দেশের দুই শতাধিক সাংবাদিক ব্রাজিল কোচ হিসেবে আনচেলত্তির প্রথম সংবাদ সম্মেলন কাভার করার অনুমতিপত্র পেয়েছেন। আবেদনপত্র জমা পড়েছিল ৫০০–এর বেশি। ব্রাজিল, স্পেন, চিলি, জাপান, জার্মানি, আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালির সাংবাদিকেরা সংবাদ সম্মেলন কাভার করার অনুমতি পেয়েছেন।

রিও ডি জেনিরোয় পা রাখার পর সিবিএফ সভাপতি সামির জাউদের সঙ্গে আনচেলত্তি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ