নেইমারকে দলে না নেওয়ার যে ব্যাখ্যা দিলেন আনচেলত্তি
Published: 27th, May 2025 GMT
ব্রাজিল জাতীয় দলের হেড কোচ হয়ে প্রথমবার দল ঘোষণা করেছেন কার্লো আনচেলত্তি। তার দলে জায়গা পাননি রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড রদ্রিগো গোয়েস ও সান্তোসের ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়রের।
ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যমের খবর, রদ্রিগো আগেই তাকে দলে না রাখার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কারণ হিসেবে শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরোপুরি ফিট নন বলে উল্লেখ করেছেন।
নেইমার ইনজুরিতে ছিলেন। তবে ব্রাজিলের দল ঘোষণার দুই দিন আগে সান্তোসের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল- ইকুয়েডর ও প্যারাগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে সেলেসাও দলে ফিরবেন তিনি।
তবে নেইমারকে ছাড়াই কার্লো আনচেলত্তি দল ঘোষণা করেছেন। নেইমারকে দলে না রাখার ব্যাখ্যায় ইতালিয়ান কোচ ডন কার্লো বলেন, ‘নেইমার নিয়মিত ম্যাচ খেলার জন্য ব্রাজিলে ফিরেছে। সে বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে চায়। দল ঘোষণার আগে তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তাকে কেন রাখা হয়নি তার ব্যাখ্যা দিয়েছে। সে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হয়েছে।’
নেইমার গত মার্চে ব্রাজিলের ঘোষিত দলে জায়গা পেয়েছিলেন। কিন্তু দলের ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার আগে ইনজুরি নিয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন। নেইমার সর্বশেষ সেলেসাও জার্সিতে ২০২৩ সালের অক্টোবরে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছেন। দলের ২-০ ব্যবধানের জয়ে গোলও পেয়েছিলেন তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস