২০১৩ সালের ৩ জুন মুম্বাইয়ের জুহুর একটি অ্যাপার্টমেন্টে আত্মহত্যা করেন বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খান। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে প্রেমিক সুরাজ পাঞ্চোলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান এই বলিউড অভিনেতা। দীর্ঘ ১০ বছর পর এ মামলা থেকে খালাস পান সুরাজ।

‘হিন্দি রাশ’ পডকাস্টে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সুরাজ পাঞ্চোলি। এ আলাপচারিতায় কারাগারের দুঃসহ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। জেলবন্দি জীবনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সুরাজ পাঞ্চোলি বলেন, “সবকিছুই যেন ধোঁয়াশার মতো ছিল। আমার বয়স তখন মাত্র ২১ বছর। আমাকে আর্থার রোড জেলে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে ‘আন্ডা সেল’ (একক কারাবাসের কক্ষ)-এ রাখা হয়েছিল। আমি সেই কক্ষে ছিলাম, যেখানে কসাবকে রাখা হয়েছিল। আমার সঙ্গে এমন ব্যবহার করা হচ্ছিল, যেন আমি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছি।”

‘আন্ডা সেল’-এর দুঃসহ স্মৃতিচারণ করে সুরাজ পাঞ্চোলি বলেন, “আমাকে কসাবের সেলে রাখা হয়েছিল। আমার কাছে কোনো বালিশও ছিল না। আমি খবরের কাগজের ওপর শুয়ে থাকতাম। আমার সঙ্গে এমন ব্যবহার করা হতো, যেন কোনো ভয়ংকর অপরাধ করেছি। আমি একটুও বাড়িয়ে বলছি না। চার-পাঁচ বছর পর বুঝতে পেরেছি, আমার উপর কী অত্যাচার হয়েছিল। আমার মনে হতো, এটা কোনো দুঃস্বপ্ন। সিবিআই তদন্ত হয়েছিল। আমাকে ‘আন্ডা সেল’-এ রাখা হতো। ওখানে থাকা খুবই কঠিন ছিল।”

আরো পড়ুন:

ক্যানসার আক্রান্ত দীপিকা কাক্কর

৫৭ বছর বয়সে বাবা হচ্ছেন আরবাজ খান!

২০১২ সালে ফেসবুকে পরিচয় হয় সুরাজ পাঞ্চোলি-জিয়া খানের। এরপর তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। একপর্যায়ে এ সম্পর্ক প্রেমে রূপে নেয়। ২০১৩ সালের ৩ জুন আত্মহত্যার আগে সুরাজের বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে ফিরে যান জিয়া। তার আগের তিনদিন সুরাজের বাড়িতে ছিলেন জিয়া। বাড়ি ফিরে এক মেয়ে বন্ধুকে কেন্দ করে বাগবিতণ্ডায় জড়ায় জিয়া-সুরাজ।

এরপর অতিরিক্ত মেসেজে বিরক্ত হয়ে সুরাজ রাগ করে বিবিএম (ব্ল্যাক বেরি ম্যাসেঞ্জার) বন্ধ করে দেন। এরপর মধ্যরাতে জিয়া সুরাজকে ফোন করেন, সে সময়ও তাদের মধ্যে অনেক তর্ক হয়। এরপর জিয়াকে গালিগালাজ দিয়ে মেসেজ পাঠান সুরাজ। এরপর জিয়ার মা রাবেয়া বাড়িতে ফিরে দেখেন জিয়া তার শোবার ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন।

২০১৩ সালের অক্টোবরে রাবেয়া খাতুন মুম্বাই উচ্চ আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেন। তাতে উল্লেখ করেন, তার মেয়ে জিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালে এ মামলা থেকে খালাস পান সুরাজ পাঞ্চোলি। যদিও আদালতের এই রায়ে সন্তুষ্ট নন জিয়ার মা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র হয় ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা

রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।

আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।

লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
  • সিলেটে বাসদ কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান, আটক ২২
  • যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা