রূপগঞ্জে হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (২৮ মে) সকালে উপজেলার পূর্বাচল ৪ নম্বর সেক্টরে কাঞ্চন হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (হাইওয়ে) মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা ফিতা কেটে ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো.

শফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রকৌশলী ও ঢাকা বাইপাস প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ আসলাম আলী, ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক ও সিইও শাও জিমিংসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক ও সুধীজন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত আইজিপি (হাইওয়ে) মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা বলেন, দেশের মহাসড়কে নিরাপদ যান চলাচল নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কাঞ্চন হাইওয়ে ক্যাম্প চালুর ফলে এই অঞ্চলে সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট কমবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ আসলাম আলী বলেন, ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই প্রকল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শাও জিমিং বলেন, “হাইওয়ে পুলিশের কার্যক্রম আমাদের প্রকল্পের উন্নয়ন এবং জনসাধারণের যাতায়াতকে আরও নিরাপদ করে তুলবে।

সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, নতুন ক্যাম্পটি রূপগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ন হ ইওয় প রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

আইএলডিটিএস পলিসি বহাল রাখার দাবি আইসিএক্স অপারেটরদের

আন্তর্জাতিক দূরপাল্লার টেলিযোগাযোগ সেবা নীতিমালা (আইএলডিটিএস) বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স) অপারেটররা। বিটিআরসির নতুন লাইসেন্সিং নীতিমালায় দেশীয় উদ্যোক্তাদের ক্ষতির মুখে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘খসড়া টেলিযোগাযোগ নীতিমালা–২০২৫: ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জের (আইসিএক্স) প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় আইসিএক্সের নেতারা এসব অভিযোগ করেন। কর্মশালাটি আয়োজন করে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি)।

কর্মশালায় আইসিক্স খাতের ব্যবসায়ীরা বলেন, খসড়া টেলিযোগাযোগ লাইসেন্সিং নীতিমালায় উল্লেখিত আইসিএক্স অপারেটররা টেলিযোগাযোগ ইকোসিস্টেমে কোনো মূল্য সংযোজন না করে খরচ বাড়াচ্ছে। সেবার গুণগত মান কমাচ্ছে এবং বাজারের গতিশীলতাকে বাধাগ্রস্ত করছে—এমন মন্তব্য বিভ্রান্তিমূলক। প্রকৃত চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো।

উল্লেখ্য, কথা বলার ক্ষেত্রে এক মোবাইল অপারেটরের সঙ্গে অন্য অপারেটরের কল আদান-প্রদান হয় ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ বা আইসিএক্সের মাধ্যমে।

আরও পড়ুনকথা বলা ও ইন্টারনেট সেবায় মধ্যস্বত্বভোগী কমবে, গ্রাহকের লাভ কী২৩ এপ্রিল ২০২৫

আইসিএক্স অপারেটররা না থাকলে সরকার বছরে ২৮০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারাবে বলে কর্মশালায় দাবি করেন আইসিএক্স অপারেটররা। তাঁরা বলেন, এতে দেশের বাজারে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি তথা মোবাইল অপারেটরদের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে। তাই দেশীয় উদ্যোক্তাদের ক্ষতি এড়াতে আইএলডিটিএস নীতিমালা বহাল রাখার দাবি জানান তাঁরা।

কর্মশালায় বক্তব্য দেন টেলিকমিউনিকেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার অপারেটর অব বাংলাদেশের (টিআইওবি) সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশীদ আলম প্রমুখ।

টিআরএনবির সভাপতি সমীর কুমার দের সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন। কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশন অব আইসিএক্স অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এআইওবি) সহসভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম, ভয়েসটেলের চিফ অপারেটিং অফিসার মুস্তাফা মাহমুদ হোসেন, বাংলা আইসিএক্সের পরিচালক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

আরও পড়ুনআন্তর্জাতিক ফোনকল আনা: সালমানের ‘গড়া সিন্ডিকেট’ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিটিআরসির১২ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ