ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে ‘বেস্টসেলার’ হওয়ার আশা আনচেলত্তির
Published: 28th, May 2025 GMT
ব্রাজিল কোচ হিসেবে গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের পর পরিচিতিপর্ব শেষে প্রথম সাক্ষাৎকার দেন কার্লো আনচেলত্তি। ব্রাজিল কোচ হিসেবে তাঁর এই প্রথম সাক্ষাৎকার নিয়েছে টিভি গ্লোবো নেটওয়ার্কের চ্যানেল ‘জর্নাল ন্যাসিওনাল’। ইতালিয়ান এই কোচ সেই আলাপচারিতায় মন খুলে কথা বলেছেন। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল নিয়ে তাঁর ধারণা, নিজের খেলোয়াড়ি ও কোচিং ক্যারিয়ার, সিনেমা দেখার নেশা এবং লেখালেখি নিয়েও কথা বলেন আনচেলত্তি।
আরও পড়ুনবিচারকের পদত্যাগ, ম্যারাডোনার ‘হত্যা মামলার’ ভবিষ্যৎ অন্ধকারে৪ ঘণ্টা আগেফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা এ কোচ নিজের একটি স্বপ্নের কথাও বলেছেন, ঐতিহ্যাবাহী মারাকানা স্টেডিয়ামে ব্রাজিল দলের কোচ হিসেবে ডাগআউটে দাঁড়াতে চান। কোচিং ক্যারিয়ারে তিনি ৩৪ জন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারকে কোচিং করিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। যদিও ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘ইউওএল’ আনচেলত্তির স্মরণশক্তির ভুল শুধরে জানিয়েছে, সংখ্যাটা আসলে ৪০ জন। তো যতজন ব্রাজিলিয়ানকে আনচেলত্তি কোচিং করিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে প্রতিভাবান কে? সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের উত্তরে আনচেলত্তি রোনালদো নাজারিও এর নাম বলেছেন।
কোপা লিবার্তোদোরেসে গ্রুপপর্বের ম্যাচে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়ে দর্শকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন আনচেলত্তি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিদিন হাজার টাকার খাবার খায় ১১০০ কেজির ‘জেট ব্ল্যাক’
কোরবানির হাটে তোলার আগেই নরসিংদীতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে শাহীওয়াল ক্রস জাতের এক বিশালদেহী ষাঁড়—‘জেট ব্ল্যাক’। প্রায় ১১০০ কেজি ওজনের ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে লোকজন ভিড় করছেন খামারে।
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চরআলীনগরের খামারি আতাজ আলী ভূঁইয়া প্রায় তিন বছর ধরে ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন। জেট ব্ল্যাকের জন্য প্রতিদিন গমের ভুসি, চালের কুড়া, ছোলার ভুসি, সয়াবিনের খোল ও চিটাগুড় মিশিয়ে প্রস্তুত করা হয় বিশেষ খাদ্য। তবে, এই পুরো প্রক্রিয়ায় কোনো ওষুধ ব্যবহার করা হয় না বলে দাবি খামারির।
আতাজ আলী বলেন, “তিন বছর আগে মেহেরপুর জেলার এক খামারির কাছ থেকে একটি বাছুর কিনে আনি। পরে সেটির নাম রাখি ‘জেট ব্ল্যাক’। নিজের সন্তানের মতো যত্ন করে ষাঁড়টি বড় করেছি। বর্তমানে গরুটি প্রতিদিন এক হাজার টাকার খাবার খায়। ১১০০ কেজি ওজনের ষাঁড়টি ১২ লাখ টাকা দাম পেলে বিক্রি করে দিব।’’
আরো পড়ুন:
দিনাজপুরে প্রস্তুত ৪ লাখ কোরবানির পশু
ঝিনাইদহের ৭০ হাজার পশু অন্য জেলায় বিক্রি করা হচ্ছে
‘জেট ব্ল্যাক’ নামকরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘দেহের বিশালত্ব আর কুচকুচে কালো রঙের জন্য এই নাম রাখা হয়েছে। তবে, নামের মতো রুক্ষ নয় গরুটির স্বভাব, বরং খুবই শান্ত স্বভাবের।’’
আতাজ আলী জানান, খামারে আরো দুটি শাহীওয়াল ও শাহীওয়াল ক্রস জাতের গরু থাকলেও সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ‘জেট ব্ল্যাক’।
স্থানীয়দের দাবি, জেট ব্ল্যাক শুধু আতাজ আলীর খামারের নয়, উপজেলার সবচেয়ে বড় ও দৃষ্টিনন্দন গরু। গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, “জেট ব্ল্যাককে বাছুর অবস্থা থেকে দেখে আসছি। এত বড় গরু উপজেলায় দ্বিতীয়টি নেই।’’
ঢাকা/রাজীব