গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচন চাওয়া কোনো অপরাধ নয়: শহীদ উদ্দীন চৌধুরী
Published: 29th, May 2025 GMT
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, বিভিন্ন মহলে বলাবলি হচ্ছে, একটি দল নির্বাচন নিয়ে তাড়াহুড়া করছে। এই প্রেক্ষাপটে তিনি বলতে চান, মানুষের ভোগান্তি লাঘবে বিএনপি দ্রুত সময়ে নির্বাচন চায়। গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচন চাওয়া কোনো অপরাধ নয়।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নিতে গিয়ে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ কথাগুলো বলেন।
রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালে গত রোববার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত চারজন উন্নত চিকিৎসার দাবিতে বিষ পান করেন। পরে তাঁদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের চিকিৎসাসহ সার্বিক খোঁজখবর নিতে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান শহীদ উদ্দীন চৌধুরী।
ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া প্রতিটি রাজনৈতিক দল দ্রুত সময়ে নির্বাচনের কথা বলছে বলে উল্লেখ করেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ নামের সংগঠনের উপদেষ্টা শহীদ উদ্দীন চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচন চাওয়া দোষের কিছু নয়। নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের পুনর্বাসনে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন শহীদ উদ্দীন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সরকার দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেনি। আমরা দেখেছি, তাঁরা (আহত ব্যক্তিরা) অবহেলার শিকার হয়েছে। রোগীরা অবহেলার কথা আমাদের জানিয়েছেন।’
শেখ হাসিনার আমলে যাঁরা গুম-খুন-নির্যাতনের হয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদেরও অন্তর্বর্তী সরকার অবহেলা করছে বলে অভিযোগ করেন শহীদ উদ্দীন চৌধুরী। বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচিত সরকার থাকলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান আহত ব্যক্তিরা, যাঁরা হাত-পা-চোখ হারিয়েছেন, যাঁরা গুমের শিকার হয়েছিলেন, তাঁরা অবহেলিত থাকতেন না। তিনি এসব বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী ‘আমার বিএনপি পরিবার’-এর পক্ষ থেকে বিষ পান করা চারজনের চিকিৎসা সহায়তাসহ আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে তাঁদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান বলেন, সরকারের উচিত ছিল, আহত ব্যক্তিদের সঠিক তদারকি করা, কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা। তাহলে আহত এই ব্যক্তিরা বিষপানের মতো কাজ করতেন না। বিষপানের সংবাদ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেখামাত্রই তাঁদের এখানে পাঠিয়েছেন। তাঁরা এই ব্যক্তিদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসায় সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন: আকবর খান
ঢাকা-৮ আসনে দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান। তিনি বলেন, “ভোটের অধিকার জনগণের পবিত্র আমানত, এটি সচেতনভাবে প্রয়োগ করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা জননেতা সাইফুল হক-এর ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন।
গণসংযোগের শুরুতে ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা হয়।
সেখানে আকবর খান বলেন, “নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে অবিলম্বে ভোটের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে—২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে—ঢাকা-৮ আসনের বহু নাগরিক ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যে তরুণের এখন বয়স ২৫ বা ২৬, তারা কখনো ভোট দিতে পারেনি, ভোট কী তা জানে না- এটি গণতন্ত্রের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।”
তিনি আরো বলেন, “গত ১৬-১৭ বছর ধরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমাদের নেতা সাইফুল হক জনগণের ভোটাধিকারের আন্দোলনে রাজপথে সংগ্রাম করে আসছেন। এর জন্য জেল-জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেও তিনি থেমে থাকেননি। ভোটাধিকার গণমানুষের দীর্ঘ লড়াই ও ত্যাগের ফসল। এই অধিকার ভুল ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।”
আকবর খান বলেন, “জননেতা সাইফুল হক গণমানুষের পরীক্ষিত নেতা। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের জনগণ যেন তাকে ভোট দিয়ে নিজেদের সুখ-দুঃখ, চাওয়া-পাওয়ার কথা ও দীর্ঘ বঞ্চনার ইতিহাস সংসদে তুলে ধরার সুযোগ করে দেন- এটাই আমাদের আহ্বান।”
গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকা থেকে শুরু হয়ে মতিঝিল, কমলাপুর, ফকিরাপুল, কালভার্ট রোড হয়ে বিজয়নগরে এসে শেষ হয়। এতে শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সিকদার হারুন মাহমুদ, মীর রেজাউল আলম, কবি জামাল সিকদার, ফাইজুর রহমান মুনির, বাবর চৌধুরী, মহানগর নেতা যুবরান আলী জুয়েল, সালাউদ্দিন, রিয়েল মাতবর, আরিফুল ইসলাম, মুজিবুল হক চুন্নু, গোলাম রাজিব, মাহমুদুল হাসান খান, ফয়েজ ইবনে জাফর, নান্টু দাস, শিবু মহন্ত ও হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
ঢাকা/এএএম/এস