সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
Published: 29th, May 2025 GMT
সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান, মিল্কভিটার সাবেক চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু ও গাজীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার কাজী শফিকুলসহ ১০ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক চারটি আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- শামসুল আরেফিন, সাবেক মন্ত্রী মো.
সাবেক মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান ও তাঁর স্ত্রীর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, ৬ কোটির বেশি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ এবং ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সন্দেহজনকভাবে সাড়ে ২৬ কোটি টাকা লেনদেনের জন্য মানি লন্ডারিং সম্পর্কিত মামলা চলমান। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।
এছাড়া মিল্কভিটার সাবেক চেয়ারম্যান নাসির হোসেন লিপু ও শামসুল আরেফিনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে মিল্কভিটার বিভিন্ন প্রকল্পে শত শত কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন বন্ধ ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্লক করা প্রয়োজন।
কাজী শফিকুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা উপার্জনের অভিযোগ রয়েছে এবং তারা বিদেশে পালানোর চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।
আনম আহমাদুল বাশার ও তাঁর স্ত্রীর নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, তাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাঁদের বিদেশ গমন রোধ ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্লক করা প্রয়োজন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: তদন ত র স ব র থ দ র ব দ শ গমন স ব ক মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
অর্থের বিনিময়ে অনৈতিক সুবিধা, বিজয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ
দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা বিজয় সেতুপতি একদিকে যেমন ‘সুপার ডিলাক্স’, ‘৯৬’, ‘বিক্রম বেধা’ ও ‘মহারাজা’ ছবির জন্য প্রশংসিত, অন্যদিকে বলিউডে শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’-এ তাঁর দুর্দান্ত অভিনয় তাঁকে এনে দিয়েছে প্যান-ইন্ডিয়া খ্যাতি। তবে সম্প্রতি এই বহুমুখী ও বিনয়ী অভিনেতাকে ঘিরে একটি বিস্ফোরক অভিযোগ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্রশিল্পে কাস্টিং কাউচ ও মাদক–সংস্কৃতির প্রসঙ্গ।
অভিযোগ গুরুতর
সম্প্রতি এক্সে ‘রাম্যা মোহন’ নামের এক নারীর পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। রাম্যার ভাষ্যমতে, তাঁর পরিচিত এক তরুণী, যিনি এখন দক্ষিণি বিনোদনজগতে পরিচিত মুখ, দীর্ঘদিন বিজয় সেতুপতির হাতে ‘মানসিক ও শারীরিক শোষণের’ শিকার হয়েছেন। সেই তরুণী শেষ পর্যন্ত মানসিক বিপর্যয়ের শিকার হয়ে পুনর্বাসনকেন্দ্রে যেতে বাধ্য হন।
রাম্যা অভিযোগ করেন, বিজয় সেতুপতি কলিউডের (তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি) তথাকথিত ‘গ্ল্যামার–সংস্কৃতি’র আড়ালে অশুভ এক বলয়ের অংশ, যেখানে ‘অডিশন’ কিংবা ‘পেশাগত সুযোগ’–এর নামে নারীদের ওপর অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা হয়। তাঁর ভাষায়, ‘সেতুপতির মতো শিল্পীরা শিল্পের স্বাভাবিক নিয়মের ছদ্মবেশে মেয়েদের কাছে “অনৈতিক সুবিধার” বিনিময়ে অর্থের প্রস্তাব দিতেন।’