জিয়ার চরিত্রে অভিনয়ের জন্যও প্রস্তুত শুভ
Published: 29th, May 2025 GMT
ঢাকাই সিনেমার নায়ক আরিফিন শুভ ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক আলোচিত হন। গত বছর গণঅভ্যত্থানের পর আড়ালে চলে যান এই নায়ক। সিনেমায় তো নয়ই, শোবিজ অঙ্গনের কোনো অনুষ্ঠানেও তার দেখা মেলেনি।
আড়াল ভেঙে জানান দিয়েছেন, ঈদুল আজহায় ‘নীলচক্র’ সিনেমা নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে ফিরছেন শুভ। এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ‘মুজিব’ সিনেমা নিয়েও পরিষ্কার কথা বলেছেন এই নায়ক। জানালেন, সুযোগ হলে জিয়ার চরিত্রেও অভিনয় করবেন।
একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আরিফিন শুভ। এ আলাপচারিতায় জানতে চাওয়া হয়, জিয়াউর রহমানের বায়োপিকে অভিনয়ের প্রস্তাব পেলে কী করবেন? জবাবে শুভ বলেন, “আমি একজন অভিনেতা। আমার কাজ চরিত্রে ঢুকে সেই চরিত্রকে সত্য করে তোলা। আমাকে যেকোনো চরিত্রে পরিচালক যোগ্য মনে করলে, আমি বরাবরই প্রস্তুত।”
আরো পড়ুন:
বুবলী-সজলের শুটিংয়ে বন্য হাতি: জয়ার প্রশ্ন, নেট দুনিয়ায় সমালোচনা
মেহজাবীনকে কেন ‘চার্লি চ্যাপলিন’ বলছেন?
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আরিফিন শুভ বলেন, “যখনই ‘মুজিব’ করলাম, তখন থেকেই নানা গুঞ্জন আমি নাকি এমপি হচ্ছি, এক টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছি সুবিধা পাওয়ার জন্য। অথচ বাস্তবে এমন কিছু ঘটেছে কি? ‘মুজিব’ করে আমি যদি কোনো বিশেষ সুবিধা নিয়ে থাকি, আপনি অনুসন্ধান করে প্রমাণসহ সবাইকে জানান।”
রাজনীতিতে না জড়ানোর কথা উল্লেখ করে শুভ বলেন, “এই সিনেমা করার অনেক আগেই স্পষ্ট করে বলেছি, আমি কখনো রাজনীতিতে জড়াব না। এটি আমার সচেতন এবং ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কেউ চাইলে সেই বক্তব্যের রেকর্ডও খুঁজে পাবেন। রাজনীতি আমার পথ নয়, আমি শুধু অভিনয়টা বুঝি, আর সেটা নিয়েই থাকতে চাই।”
মিঠু খান পরিচালিত ‘নীলচক্র’ সিনেমায় আরো অভিনয় করেছেন— মন্দিরা চক্রবর্তী, ফজলুর রহমান বাবু, শিরীন আলম, খালেদা আক্তার কল্পনা, শাহেদ আলী, প্রিয়ন্তী ঊর্বী, মাসুম রেজওয়ান প্রমুখ।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চর ত র
এছাড়াও পড়ুন:
আইপিএল বেটিংয়ে ১৬ বছর বয়সী ছেলে খোয়াল ৫০ হাজার রুপি, বাবার প্রশ্ন, বিসিসিআই কি করে
আইপিএল বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি লিগ। তবে জনপ্রিয় হওয়ায় দুশ্চিন্তার জায়গাও আছে। অনলাইনে তথাকথিত ফ্যান্টাসি প্ল্যাটফর্মে আইপিএল নিয়ে দেদার বেটিং চলছে, আর এই অনলাইন বেটিংয়ের প্রচারণায় রয়েছেন তারকা ক্রিকেটাররাই।
উঠতি বয়সী ক্রিকেটপ্রেমীরা জড়িয়ে পড়ছেন অনলাইন বেটিংয়ে এবং অনেক অর্থও তাঁরা খোয়াচ্ছেন। ব্যাপারটি কারও কারও চোখে ‘নীরব মহামারি’। ফোনে বেটিংয়ের অ্যাপস চালু করে এতে মনোযোগ দিতে গিয়ে শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা ও মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হচ্ছে।
ভারতের বার্তা সংস্থা আইএএনএস এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কিছু মা–বাবার সঙ্গে কথা বলেছে। দিল্লির ৫৫ বছর বয়সী মণীষ আইএএনএসকে জানান, তাঁর ১৬ বছর বয়সী ছেলে অনলাইন বেটিংয়ে ৫০ হাজার রুপি খুইয়েছে। এরপর তিনি ছেলের ফোন থেকে অনলাইনে বেটিংয়ের তিনটি অ্যাপস মুছে ফেলেন। মণীষ প্রশ্ন রেখেছেন অনলাইন বেটিংয়ের প্রচারণা চালানো তারকা ক্রিকেটারদের কাছে, ‘এটা হৃদয়বিদারক। ক্রিকেট এত দিন ছিল প্রেরণার ও খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতার। আমার নায়কেরা কেন এমন কিছুর প্রচারণা চালাচ্ছেন, যেটা খুব বিপজ্জনক।’
আরেকজন অভিভাবক হতাশা প্রকাশ করেছেন এভাবে, ‘বিসিসিআই অর্থ আয়ে ব্যস্ত, আমাদের সন্তানদের কী হচ্ছে, সেটা তারা পাত্তা দেয় বলে মনে হয় না। শীর্ষসারির ক্রিকেটাররা এসব অ্যাপসের প্রচারণা চালাচ্ছে, কিন্তু বোর্ড তাদের নিবৃত্ত করছে না। এমনকি কিছু (বেটিং) প্ল্যাটফর্ম বড় টুর্নামেন্টের স্পনসরও হচ্ছে। তারা স্মার্ট—এটাকে তারা বলে ফ্যান্টাসি খেলা, কিন্তু এটার সঙ্গে অর্থ জড়িত এবং দ্রুত আয়ের একটা পথ ভেবে অল্প বয়সীরা এতে আসক্ত হয়ে পড়ছে।’
আরও পড়ুনযে পাঁচ কারণে কোহলি স্বপ্নপূরণের খুব কাছে৫ ঘণ্টা আগেসাম্প্রতিক সময়ে একটি পরিবার আইপিএলের ম্যাচ দেখতে গিয়ে খেয়াল করে, অনেক দর্শক ফোনে সবার সামনেই বেটিং করছেন, ‘আমরা দেখেছি কিশোররা স্টেডিয়াম থেকে ফোনে কল করে লাইভ বেটিং করছে। সংখ্যায় তারা প্রচুর।’
ভারতের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মাঝেমধ্যেই অবৈধ বেটিংয়ের চক্র ধরতে অভিযান চালায় এবং সফলও হয়। কিন্তু ফ্যান্টাসি গেমিংয়ের ছদ্মবেশে মুঠোফোনের বেটিং অ্যাপস নিয়মনীতি ফাঁকি দিয়ে কম বয়সী কিংবা পরিণত ব্যক্তিদেরও ঝুঁকিপূর্ণ আচরণকে উৎসাহিত করছে।
সমালোচকেরা মনে করেন, বিসিসিআইকে এ নিয়ে অবশ্যই নৈতিক পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এখনো চুপ করে থাকায় ভারতের জনমনে প্রশ্ন জাগার পাশাপাশি সন্তানদের নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায়ও পড়েছে। বেটিংয়ের এসব প্ল্যাটফর্মে আইপিএলের বড় তারকাদের প্রচারণা চালাতে দেখা যায়।
আইএএনএস জানিয়েছে, ভারতে এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে। সমর্থক ও অভিভাবকদের চাওয়া, বিসিসিআই এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেবে; তথাকথিত এসব গেমিং প্রতিষ্ঠানগুলোর স্পনসর ও এনডোর্সমেন্ট বাতিল করবে। ক্রিকেটাররা আরও দায়িত্বশীল হতে এসবের প্রচারণা যেন না চালান, সেটাও তাদের প্রত্যাশা।
আরও পড়ুনআইপিএলে জরিমানাও কোটি টাকা, বড় ক্ষতি কার২৯ মে ২০২৫