ইশরাকের বিষয়ে আদালতের রায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
Published: 29th, May 2025 GMT
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের বিষয়ে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের রায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, “রায় এখনো আমরা পাই নাই। রায়ের কপি পাওয়ার পর আসলে কী, কী ধরনের সিদ্ধান্ত আসে, আইনগত দিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমাদের যা করণীয় আমরা সেটা করব।”
রায় নিয়ে আপনারা কী ভাবছেন এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, “রায় তো আমরা পাই নাই। টেলিভিশনের হেডলাইন দেখে তো আর মন্তব্য করা যায় না।”
আপনাদের আইনজীবী তো ছিলেন, এমন বিষয় উত্থাপন করা হলে সিইসি বলেন, “আইনজীবীর সঙ্গে আমাদের কোনো কথা হয়নি।”
ইশরাক মেয়র হিসেবে শপখ নিলেও মেয়াদ শেষ, এমন বিষয় উত্থাপন করা হলে তিনি বলেন, “এটা নিয়ে কথা বলা যাবে না।”
দুপুরে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণার গেজেট স্থগিত চেয়ে করা লিভ টু আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে ইসিকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন।
এর আগে গত ২২ মে বিচারপতি মো.
ওই দিন বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে সাত পৃষ্ঠার এ আদেশ প্রকাশ করা হয়। এরপর ২৬ মে আপিল বিভাগে আবেদন করেন রিটকারী।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস।
সেই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন বিএনপি নেতা ইশরাক।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান মিয়া।
এর মধ্যে গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম।
আদালত ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। এ রায় পাওয়ার পর ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে গেজেট প্রকাশের দিন ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল করতে আইনি নোটিশ দেন রফিকুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ নামে দুই ব্যক্তি। নোটিশে গেজেট প্রকাশ এবং ইশরাককে শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
তখন ওই দুই ব্যক্তির আইনজীবী বলেন, “যথাযথ প্রক্রিয়া না মেনে দ্রুত রায়টি দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করেছিলাম, ইসি এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করবে। চ্যালেঞ্জ করল না। আবার খবরে দেখলাম, আইন উপদেষ্টা বলছিলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের যে মতামত চাওয়া হয়েছিল, সেজন্য অপেক্ষা না করে এই নোটিফিকেশন জারি করে দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল এমন কোনো আদেশ দিতে পারেন না, যে আদেশের কোনো কার্যকারিতা নেই। এখানে টার্ম শেষ হয়ে গেছে। অধ্যাদেশের মাধ্যমে মেয়র পদশূন্য করে দেওয়া হয়েছে।”
পরে মামুনুর রশিদ হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে ২৭ মার্চের রায় এবং ২৭ এপ্রিলের গেজেট কেন বেআইনি হবে না এবং ইশরাক হোসেনের শপথ পরিচালনা থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় রায় ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছিল।
২০২০ সালের নির্বাচনের পর ফজলে নুর তাপস শপথ নিয়ে মেয়র হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা করেছিলেন সে বছর ২ জুন। সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী, আগামী ১ জুন মেয়াদ শেষ হবে।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ জ ট প রক শ ইশর ক হ স ন ২০২০ স ল র আইনজ ব ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
বাংলা ওটিটির নিয়মিত দর্শকেরা ভালো করেই জানেন—যে গল্পে থাকেন শিহাব শাহীন, সেখানে থাকে প্রেম, আবেগ, আর বাস্তব জীবনের মৃদু জটিলতা। এবার সেই নির্মাতা ফিরছেন নতুন এক প্রেমের গল্প নিয়ে। চরকি অরিজিনাল ফিল্ম ‘তোমার জন্য মন’ মুক্তি পাবে ৫ নভেম্বর রাত ১২টায় (৬ নভেম্বর)। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন সময়ের আলোচিত জুটি ইয়াশ রোহান ও তটিনী।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যায় চরকির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয় সিনেমাটির মোশন পোস্টার ও ট্রেলার। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা। কেউ লিখেছেন, ‘চরকির ফিল গুড রোমান্সে এবার নতুন জুটি!’ কেউ–বা বলেছেন, ‘ইয়াশ–তটিনীর কেমিস্ট্রি দেখতে মুখিয়ে আছি।’
নতুন প্রেম, নতুন জুটি
‘তোমার জন্য মন’–এর গল্পে মফস্সলে বেড়ে ওঠা দুই তরুণ–তরুণীর সম্পর্ক উঠে এসেছে। শিহাব শাহীন বলেন, ‘এটা একটা ফিল গুড রোমান্টিক গল্প। এর আগে চরকির সঙ্গে কী ধরনের গল্প করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু এবার গল্পটা আমি নিজেই নির্ধারণ করেছি। শুরু থেকেই জানতাম, এই গল্পটা আমি বানাতে চাই।’
গল্পের ভাবনা সম্পর্কে নির্মাতা বলেন, ‘আমাদের কিছু প্রবাদ আছে—“বৃক্ষ তোমার নাম কী ফলে পরিচয়”, “জন্ম হোক যথা তথা, কর্ম হোক ভালো”—এই ভাবনা থেকেই গল্পটা এসেছে। অনেক সময় মানুষের নাম বা পরিচয় বড় হয়ে ওঠে, কিন্তু আসলে মানুষ বড় হয় তার কাজেই। এই দর্শনটাই গল্পের কেন্দ্রে।’
পিউ আর রওনকের গল্প
এই সিনেমায় তটিনী অভিনয় করেছেন পিউ চরিত্রে। নির্মাতার অফিসে গল্প শুনেই তিনি কাজটি করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই দিনের কথা মনে করে তটিনী বলেন, ‘গল্পটা অর্ধেক শুনে ভেবেছিলাম, এরপর কী হবে আন্দাজ করতে পারব, কিন্তু এমন মোড় নিল যে সেটা ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। সেই বিস্ময়টাই আমাকে আকৃষ্ট করেছে।’ তটিনীর ভাষায়, ‘পিউ একটু আবেগপ্রবণ ও সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা মেয়ে। একটা ঘটনার পর সে নিজের জীবনের কিছু দিক বুঝে নেয়, আত্মোপলব্ধি ঘটে। এই চরিত্রটা অভিনয় করা আমার জন্য মানসিকভাবে চ্যালেঞ্জিং ছিল।’