অভিনেতা মোশাররফ করিমের নাটক মানেই ভরপুর বিনোদন। ঈদে তার নাটক দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন দর্শক। কcmডি ও সিরিয়াস সব ধরণের গল্পের নাটকেই উপস্থিতি থাকে তার। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষেও একাধিক নাটক প্রচার হবে এই অভিনেতার। তার মধ্যে বিশেষ এক নাটকের খবর সামনে এলো। যে নাটকে নেই ভাড়ামি, রয়েছে হাসির নানা উপকরণ। এতে মোশাররফ করিমের বিপরীতে অভিনয় করেছেন শাকিলা পারভীন।  নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন সাজিন আহমেদ বাবু। 

নাটকটির গল্পে দেখা যাবে, গোলাম বরকত সাহেব জমিদার বংশের লোক। তার বয়স এখন নব্বইয়ের ঘরে। এখন জমিদারী প্রথা উঠে গেলেও শহরে তারা বিশেষ সম্মানিও। অঢেল ধন-সম্পতের মালিক তারা। হঠাৎ এক সড়ক দুর্ঘটনায় একমাত্র ছেলে ছেলের বউ এবং একমাত্র নাতনী মারা যায়। বুড়োর অঢেল সম্মত্তি থাকলেও আজ তার কাছে সব অর্থহীন। বিশাল বিজনেস দেখার কেউ আর রইলোনা। বংশের বাতি বলতে কিছু রইলোনা। ঠিক এমন সময় জাহানারা বেগম গ্রাম থেকে একমাত্র ছেলে নয়নকে  নিয়ে গোলাম বরকত সাহেবের কাছে হাজির। তিনি  বরকত সাহেবের সাবেক পুত্রবধু। ছত্রিশ বছর আগে বরকত সাহেবের ছেলে কোন এক ঘটনাক্রমে গ্রামের দরিদ্র ফ্যামিলির সুন্দরী জাহানারা বেগমকে বিয়ে করে। নয়নকে দেখে বরকত সাহেবের  মন নরম হতে থাকে। দেখতে একদম হুবহু বাবার মত হয়েছে, যে কেউ দেখেই বলে দিতে পারবে এটা রহমানের ছেলে। দেখতেও বাবার মত মায়াবি। পরে নয়নকে নয়নকে নিজের কোম্পানীর এমডি পদে বসায়।  এরপরই ঘটতে থাকে নানা ঘটনা।

ঢাকার উত্তরায় সম্প্রতি শেষ হয়েছে নাটকটির শুটিং। নাটকটি নিয়ে নির্মাতা সাজিন আহমেদ বাবু বলেন, ‘মোশাররফ করিমকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তিনি তো জাত অভিনেতা। অনবদ্য তার অভিনয়। ঈদের নাটকে সবাই হাসতে চান। আনন্দ পেতে চান। তাই গল্পটি হাসির। তবে তাতে নেই কোনো ভাড়ামি। আমার বিশ্বাস নাটকটি দর্শকদের কাছে আনন্দের হবে। তারা দারুণ বিনোদিত হবেন।’

নাটকটিতে মোশাররফ করিমের বিপরীতে অভিনয় করে দারুণ উচ্ছ্বসিত শাকিলা পারভীন। তিনি বলেন,  ‘মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে এর আগেও একটি নাটকে অভিনয় করেছি। তবে এবারের নাটকটির গল্প যেমন এক কথায় মনের মতো, ঠিক তেমনি আমার চরিত্রটাও দারুণ। ধন্যবাদ সাজিন আহমেদ বাবু ভাইকে আমাকে মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে জুটি হিসেবে কাজ করার সুযোগ করে দেবার জন্য। মোশাররফ ভাই অনেক গুনী এবং অত্যন্ত মেধাবী একজন অভিনেতা। তারসঙ্গে আসলে স্ক্রিণ শেয়ার করা, অভিনয় করা জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি হিসেবেই বিবেচনা করবো আমি। তিনি আমাকে এই নাটকে অভিনয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছেন, অনুপ্রেরণাও দিয়েছেন। আমি এই নাটকটি প্রচারের অপেক্ষায় আছি।’

নির্মাতা জিন আহমেদ বাবু জানান এর আগে তার নির্দেশনায় মোশাররফ করিম ধারাবাহিক নাটক ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’সহ অন্যান্য নাটক ‘কিড সোলায়মান’,‘ পোশাকে বংশের পরিচয়’,‘ উচ্চতর ভালোবাসা’ নাটকে অভিনয় করেছেন।  বিভিন্ন চরিত্রে এতে আরও অভিনয় করেছেন  খায়রুল আলম সবুজ। মোমেনা চৌধুরী। সুজাত শিমুল। পুষ্প পাপড়ি প্রমূখ।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ন আহম দ ব ব বরকত স হ ব র কর ছ ন র ন টক ন টকট

এছাড়াও পড়ুন:

রোনালদোর অদম্য ক্ষুধা, দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জেতালেন আল-নাসরকে

চলতি বছরের শুরুতে ৪০ পেরিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তার পা যেন বয়সকে পাত্তাই দেয় না। ফুটবল মাঠে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর উপস্থিতি মানেই উত্তেজনা, প্রত্যাশা আর গোলের গন্ধ। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। এক প্রীতি ম্যাচে ফরাসি ক্লাব তুলুজের বিপক্ষে দারুণ এক গোল করে দলকে জয় এনে দিলেন পর্তুগিজ তারকা।

অস্ট্রিয়ার আন্টার্সবার্গ-অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত এই গ্রীষ্মকালীন ম্যাচে শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল সৌদি ক্লাব আল-নাসর। ম্যাচের ২৫তম মিনিটে ইয়ান বোহোর গোলে এগিয়ে যায় তুলুজ। কিন্তু খেলা তখনও শেষ হয়নি। কারণ, মাঠে ছিলেন রোনালদো।

৮ মিনিট পরই পাল্টা জবাব দেন আল-নাসরের ফরোয়ার্ড ওয়েসলি। প্রতিপক্ষের রক্ষণের ফাঁক গলে তার পাস পেয়ে বল জালে জড়ান রোনালদো, দারুণ এক ওয়ান টাচ ফিনিশে। সমতায় ফেরার পর আল-নাসরের খেলায় আসে নতুন ছন্দ।

আরো পড়ুন:

মেসির জাদুতে জয়ে ফিরল ইন্টার মায়ামি, ডি পলের অভিষেকে উচ্ছ্বাস

মেসি বনাম ইয়ামাল: ফিনালিসিমার সময়সূচি ঘোষণা

দ্বিতীয়ার্ধে একাধিকবার সুযোগ তৈরি করেন রোনালদো। একটি সুযোগ তো প্রায় নিশ্চিত গোল হয়ে যেত, যদি না জোয়াও ফেলিক্সের সঙ্গে বোঝাপড়ায় সামান্য ভুল হতো। বাঁ দিক থেকে আসা ক্রসটিতে দুজনই একসঙ্গে পা লাগাতে গিয়ে গোলটা মিস করেন।

তবে ম্যাচে তার প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। একাধিকবার দূরপাল্লার শটে তুলুজ গোলরক্ষককে ব্যতিব্যস্ত করে তোলেন। শুধু গোলই নয়, তার দৌড়, পাস, আর শারীরিক ভাষা বুঝিয়ে দিচ্ছিল; তিনি থামার মতো কেউ নন।

৭৬তম মিনিটে মোহাম্মদ মারান দুর্দান্ত এক হেডে আল-নাসরের জয় নিশ্চিত করেন। নাওয়াফ বুশালের দুর্দান্ত ক্রসে ভেসে ওঠা হেডটি সোজা গোললাইনের ভেতর গিয়ে জড়ায়।

ম্যাচ শেষে রোনালদো ফেসবুকে নিজের ‘সিউ’ উদযাপনের ছবি পোস্ট করে লেখেন, “এই ক্ষুধা কখনোই শেষ হবে না। আমরা কেবল শুরু করেছি।” তার এই বার্তা যেন একধরনের হুঙ্কার, এক নতুন লড়াইয়ের ইঙ্গিত।

আল-নাসরে যোগ দেওয়ার পর বড় কোনো শিরোপা জেতা না গেলেও রোনালদো থেমে থাকেননি। গত মৌসুমে সব মিলিয়ে ৩৫টি গোল করেছেন ক্লাবটির হয়ে। এবার নতুন চুক্তি অনুযায়ী ২০২৭ সাল পর্যন্ত আল-নাসরে থাকছেন। লক্ষ্য এবার আরও বড়; ট্রফি জয় এবং ক্যারিয়ারে ১০০০ গোলের ঐতিহাসিক মাইলফলক স্পর্শ করা।

আল-নাসরের পরবর্তী প্রীতি ম্যাচ আগামী ১০ আগস্ট, স্পেনের পাওয়ার হর্স স্টেডিয়ামে লা লিগার ক্লাব আলমেরিয়ার বিপক্ষে। আর মৌসুমের প্রথম বড় লড়াই শুরু ১৯ আগস্ট, সৌদি সুপার কাপের সেমিফাইনালে আল-ইত্তিহাদের বিপক্ষে। সেই লড়াইয়ের আগে রোনালদোর এই বার্তা একটাই— তাকে এখনো অনেক কিছু জিততে হবে!

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ