বাউফলে শক্তির প্রভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
Published: 30th, May 2025 GMT
পটুয়াখালীর বাউফলে ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে দু’দিনের বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের তোড়ে কেশবপুরের ৬ নং ওয়ার্ডের কাঁচা সড়ক ভেঙে ভরিপাশা গ্রাম মমিনপুর, নিমদী, চন্দ্র দ্বীপ, বাহের চর, গোপালিয়া, হাজিপুর ও কলতা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। এছাড়া ঝড়ে বিদ্যুৎ লাইন ও ইন্টারনেটসেবা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট বাড়লেই কাঁচা সড়ক ভেঙে তলিয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে তেতুলিয়া ও লোহালিয়া নদী ছিল উত্তাল। এর ওপর প্রবল বৃষ্টি, বাতাসে কাঁচা বাড়ি, সড়ক ও গাছপালা উপড়ে পড়েছে।
স্থানীয় কেশবপুরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহজাহান বলেন, ঝড়ের সংকেত শুনে জেলেরা, নৌকা-ট্রলার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে গেছে। জোয়ারের পানিতে মমিনপুর, ভরপাশাসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে গেছে।
বাউফল উপজেলা ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো.
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা মস্তফা মৃদুল মোর্শেদ মুরাদ জানান, ক্ষয়ক্ষতির নিরূপণ করে জানানো হবে। তবে কাঁচা সড়কের ক্ষতি হয়েছে বেশি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঘ র ণ ঝড় ব উফল ব উফল
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি