মাশার কণ্ঠে নীলচক্রের গান, নিয়ন আলোয় অন্যরকম শুভ-মন্দিরা
Published: 31st, May 2025 GMT
ঈদুল আজহায় মুক্তি পাচ্ছে আরিফিন শুভ অভিনীত সিনেমা ‘নীলচক্র: ব্লু গ্যাং’। অল্প বয়সীদের সোশাল মিডিয়া ব্যবহারের আসক্তি থেকে বিপদে জড়িয়ে পড়ার গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। ক’দিন আগে সিনেমাটির প্রথম গান ‘এই শহরের অন্ধকারে’ প্রকাশিত হয়। জালালি শাফায়াতের কণ্ঠের এই গানটির পর প্রকাশ হয় নীলচক্রের ট্রেলার।
মূলত মুক্তি উপলক্ষে প্রচারণার অংশ হিসেবেই একের পর এক নানা কণ্টেন্ট প্রকাশ করছে নীলচক্র টিম। তাই প্রথম গান ও ট্রেলারের রেশ কাটতে না না কাটতেই প্রকাশ হলো নীলচক্রের দ্বিতীয় গান। তবে এবারের গান একটু ভিন্নতায় ভরা। দেশের আকাশে যখন রোদ আর মেঘের খেলা। ঝুমবৃষ্টিতে সতেজ হয়ে উঠছে শহর। ঠিক এমন সময়ে এলো নীলচক্রের ‘যেতে যেতে’ শিরোনামের গানটি। টাইগার মিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেল, আরিফিন শুভর ফেসবুক ও নীলচক্রের পেজে গানটি একযুগে প্রকাশিত হয়েছে।
নীলচক্র সিনেমার পরিচালক মিঠু খানও গানটি প্রকাশের আগে বললেন এটি ‘ওয়েদার ডিমান্ড’। মানে এমন পরিবেশে এই গানটিই প্রকাশের উপযুক্ত সময়। প্রকাশের পর গানটি বেশ লুফে নিয়েছে দর্শক। ঠান্ডা মেজাজের কিছুটা ক্লাসিকের ধর্মী রোমান্টিক গানটি শ্রোতাদের ভালোবাসা পাচ্ছেন।
ইমন সাহার সুরে ও ওয়াহিদ বাবুর কথায় গানটি গেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী মাশা ইসলাম। গানটির দৃশ্যায়নে আরিফিন শুভ ও মন্দিরাকে দেখা গিয়েছে। কিছু না বলেও গানের দৃশ্যের আবহে অনেক কিছেই বুঝিয়েছেন তারা।
সিনেমায় এক তদন্ত কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন শুভ তার বিপরীতে থাকছেন মন্দিরা চক্রবর্তী।
সিনেমার চিত্রনাট্য নিয়ে মিঠু বলেন, "একটি বখে যাওয়া প্রজন্ম, যারা সোশাল মিডিয়ার আসক্তিতে ডুবে যায় এবং কীভাবে তারা বিপদের মুখে পড়ে, সেটা তাদের পরিবারের উপর কী ভয়াবহ প্রভাব ফেলে সেই গল্পই বলেছি ‘নীলচক্র’ সিনেমায়। পাশাপাশি এই পতনের পিছনে কাজ করা একটি অদৃশ্য চক্রের কথাও উঠে এসেছে। যার জন্য নাম দেওয়া হয়েছে ‘নীলচক্র: ব্লু গ্যাং’।"
সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন আরও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শিরীন আলম, খালেদা আক্তার কল্পনা, শাহেদ আলী, টাইগার রবি, মনির আহমেদ শাকিল, প্রিয়ন্তী ঊর্বী, মাসুম রেজওয়ান, পারভীন পারু, আয়মান শিমলা, ডলার।
মিঠু খানের সঙ্গে যৌথভাবে চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন নাজিম উদ দৌলা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদ র স ন ম আর ফ ন শ ভ ন লচক র র প রক শ
এছাড়াও পড়ুন:
সেঞ্চুরি ছাড়াই চারশো! ব্যাটে-বলে এক অন্যরকম দিন ইংল্যান্ডের
বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনের মাঠে যেন ক্রিকেটের বইয়ে এক নতুন অধ্যায় যুক্ত করল ইংল্যান্ড। বৃহস্পতিবারের (২৯ মে) ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এমন এক নজির গড়েছে তারা, যা শুনলে যে কেউ চোখ কপালে তুলবেন। তাদের একজন ব্যাটারও শতক হাঁকাতে পারেননি। অথচ দলীয় স্কোর গিয়ে ঠেকেছে ৪০০ তে! আর তার সঙ্গে যোগ হয়েছে বোলিংয়ে বিধ্বংসী পারফরম্যান্স। ফলাফল, ২৩৮ রানের দুর্দান্ত জয় এবং সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া।
টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানান ক্যারিবীয় অধিনায়ক শাই হোপ। প্রথম দশ ওভারেই স্পষ্ট হয়ে যায় এই সিদ্ধান্ত বড় ভুল হতে চলেছে। ইংলিশ ইনিংসের ভিত্তিপ্রস্তর রাখেন জেমি স্মিথ ও বেন ডাকেট। তাদের ঝড়ো সূচনা এনে দেয় ৭ ওভারে ৬৪ রানের জুটি। ডাকেট খেলেন ৪৮ বলে ৬০ রানের স্বচ্ছন্দ এক ইনিংস।
এরপর শুরু হয় মিডল-অর্ডারের সম্মিলিত কনসার্ট। জো রুটের দায়িত্বশীল ৫৭, অধিনায়ক হ্যারি ব্রুকের অনুপ্রেরণাদায়ী ৫৮ এবং জ্যাকব বেথেলের বিস্ফোরক ৮২ রানের ইনিংস এই রান পাহাড়ের মূল ভিত্তি। বেথেল মাত্র ৫৩ বলে এই ইনিংসে হাঁকান ৮টি চার ও ৫টি ছক্কা। পাশে ছিলেন উইল জ্যাকস, যিনি ২৪ বলে যোগ করেন মূল্যবান ৩৯ রান।
আরো পড়ুন:
আইপিএলে ইতিহাস গড়া ছয় বলে ছয় ছক্কা
৬৪ বছর বয়সে অভিষেক, ইতিহাস গড়লেন জোয়ানা চাইল্ড
শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে উঠে ৪০০ রান। এটি একটি এমন ইনিংস, যেখানে চারজন হাফ-সেঞ্চুরি পেলেও কারো ব্যাট ছুঁতে পারেনি শতকের মাইলফলক। এটাই ছিল ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম ঘটনা যেখানে কোনো সেঞ্চুরি ছাড়া ৪০০ রান করেছে কোনো দল।
এই রান তাড়া করতে নেমে ক্যারিবীয় ব্যাটাররা যেন ছায়া হয়ে ছিলেন নিজেদেরই। একে একে ফিরেছেন প্রায় সবাই। সবচেয়ে লজ্জার পরিসংখ্যান সর্বোচ্চ স্কোর এসেছে ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান জাইডেন সিলসের ব্যাট থেকে (২৯ রান)। অধিনায়ক হোপ ২৫ ও কিসি কার্টি ২২ রান করলেও তা কেবল পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত মাত্র ২৬.২ ওভারেই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৬২ রানে।
সাকিব মাহমুদ ও জেমি ওভার্টনের আগুনঝরা স্পেলে তুলে নেন ৩টি করে উইকেট। আদিল রশিদ নেন ২টি উইকেট। পুরো ইনিংসজুড়ে ইংল্যান্ডের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রতিরোধের সুযোগই পায়নি সফরকারীরা।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে ১ জুন, কার্ডিফে। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের এমন তাণ্ডবের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ঢাকা/আমিনুল