গ্রামের ছেলে বাদশাহ। শোক সংবাদ, ওয়াজ মাহফিল, সিনেমার মাইকিং, পণ্যের প্রচারসহ নানা কিছু উঠে আসে তাঁর কণ্ঠে। স্টাইলিস্ট ছেলেটির কণ্ঠের কারিশমা সবাইকে মুগ্ধ করে রাখে। গ্রামের সবাই তাঁর ভক্ত। বিশেষ করে মেয়েরা। এ কারণে ছেলেরা বাদশাহর কাছে অনুরোধ জানায় মাইকিং করে যেন তার ভেঙে যাওয়া সম্পর্কটা ঠিক করে দেয়। এমন গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘বাদশাহ দ্য লোকাল হিরো’। এতে বাদশাহ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল। তাঁর বিপরীতে প্রথমবার দেখা যাবে তাসনুভা তিশাকে।
সোহেল মণ্ডল তাঁর অভিনয় ক্যারিয়ারে নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এবার এ নাটকে তাঁকে দেখা যাবে ভিন্নধর্মী চরিত্রে। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন রাকেশ বসু। সম্প্রতি এর দৃশ্যধারণ শেষ হয়েছে। এতে অভিনয় প্রসঙ্গে সোহেল মণ্ডল বলেন, ‘বাদশাহ দ্য লোকাল হিরো গ্রামের একটি চরিত্রকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া গল্প। ছোটবেলায় আমরা দেখেছি এক শ্রেণির মানুষ মাইকিং করে। তাঁর জীবনকে ঘিরে থাকে নানা ঘটনা। সেরকমই একটি চরিত্র এটি। ছোট ছোট মজার ঘটনায় আমার চরিত্রটি এস্টাবলিস্ট হয়। বাদশাহর জীবনে প্রেম আসে। এগিয়ে যায় গল্প। আমরা গতানুগতিক গ্রামের যে গল্প দেখি এটি তেমন নয়। আশা করছি, নাটকটি দর্শকের ভালো লাগবে।’
নাটকটি নির্মিত হয়েছে অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি সিরিজের ব্যানারে। আসছে ঈদ আয়োজনে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে এটি প্রচার হবে বলে নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে।
অভিনেতা সোহেল মণ্ডল শখের বসে ২০০৬ সালে নাগরিক নাট্যাঙ্গনে যোগ দিয়ে অভিনয় শেখেন। পরে ২০০৯ সালে যুক্ত হন প্রাচ্যনাটে। ছোটপর্দায় দেখিয়েছেন অভিনয় মুনশিয়ানা। তাকদীর তাঁর অভিনীত প্রথম ওয়েব সিরিজ। সিরিজে তাঁর অভিনীত মন্টু চরিত্রটি প্রশংসা কুড়িয়েছে।
বড়পর্দায় তিনি আসেন ২০১৬ সালে ‘মুসাফির’ সিনেমা দিয়ে। সিনেপাড়ায় কর্মজীবন ৯ বছরের মতো হয়েছে, অথচ এর মধ্যেই অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন তিনি। ‘মায়ার জঞ্জাল’-এ অভিনয়ের জন্য প্রথমবারের মতো কলকাতার ফিল্মফেয়ার সম্মাননাও পেয়েছেন তিনি। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের পরিচালনায় ‘বনলতা সেন’।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অভ ন ত কর ছ ন ব দশ হ চর ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া
ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।
অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।
এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।
দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।
২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার