জমে থাকা বৃষ্টির পানি সরানোর জন্য ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের বল্লামুখা বেড়িবাঁধ এলাকার নোম্যান্সল্যান্ডে খাল খনন করছে বিএসএফ। শনিবার (৩১ মে) দুপুরে ভারী বৃষ্টির মধ্যে তারা কাজ করে। এ ঘটনায় বিকেলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে কালিকাপুর ক্যাম্পের সুবেদার হানিফ এবং বিএসএফের পক্ষে আইসিনগর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার উপস্থিত ছিলেন।

বিজিবি জানায়, ভারতীয় অংশে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বিএসএফ তাদের অংশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে। যার কিছু অংশ নোম্যান্সল্যান্ডের ২০-৩০ মিটারের মধ্যে চলে আসায় বিজিবি বাধা দিয়েছে।

আরো পড়ুন:

ফেনী সীমান্ত দিয়ে আরো ১৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে আরো ১৪ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

এলাকাবাসী জানান, খাল খননের প্রথম চেষ্টা হয় গত বৃহস্পতিবার রাতে মির্জানগর ইউনিয়নের পূর্ব রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের সীমান্ত পিলার ২১৫৭/১১-এস সংলগ্ন এলাকায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিজিবির বাধায় সেদিন পিছু হটে বিএসএফ। 

স্থানীয় বাসিন্দা মমতাজ মিয়া বলেন, ‍“বৃষ্টির রাতে স্কেভেটর নিয়ে এসে তারা (বিএসএফ) খাল কাটার চেষ্টা করে। বিজিবির সঙ্গে আমরাও গিয়ে তাদের বাধা দেই। পরে তারা চলে যায়।”

পূর্ব রাঙ্গামাটিয়ার বাসিন্দা মো.

মজনু বলেন, “সীমান্ত পিলারের কাছে বাঁধ না দিলে ভারতীয় পানি আমাদের গ্রামগুলোতে ঢুকবে।”

বিজিবি সূত্র জানায়, পতাকা বৈঠকে বিএসএফ জানিয়েছে, অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য তারা ড্রেন তৈরি করেছে, যা বাংলাদেশে বন্যা বা বাঁধে ক্ষতির কারণ হবে না। তারা দাবি করেছে, বাংলাদেশ বল্লামুখায় নোম্যান্সল্যান্ডে বাঁধ নির্মাণ করেছে, যার ফলে ভারতীয় এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

বিজিবি ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোশারফ হোসেন বলেন, “নোম্যান্সল্যান্ডে স্থাপনা নির্মাণ উভয় দেশের নীতিমালায় নিষিদ্ধ। তাই আমরা পতাকা বৈঠকে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি।”

তিনি আরো বলেন, “নোম্যান্সল্যান্ডে ভারত খাল খনন করেছে বিষয়টি পুরোপুরি সত্য নয়। মূলত বাংলাদেশ অংশে বল্লামুখা বাঁধ নির্মাণের কারণে ভারতের ত্রিপুরা এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য তারা তাদের অংশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে। যার কিছু অংশ নোম্যান্সল্যান্ডের ২০-৩০ মিটারের মধ্যে চলে আসায় আমরা বাঁধা দিয়েছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।” 

পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান বলেন, “ভারতের সুবিধার্থে সীমান্তে টিলা কেটে পানি বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। বিজিবি ও স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় তা ঠেকানো গেছে। আমরা সতর্ক আছি, এমন কাজ করতে দেওয়া হবে না।”

ঢাকা/সাহাব/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ন র জন য খ ল খনন ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ

পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষানির্ভর তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতায়। এ প্রকল্পে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।

আজ সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে এসআইসিআইপি ও পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী তরুণেরা ১২টি খাতের প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে থাকা-খাওয়ার সব খরচ প্রকল্প থেকে বহন করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণেরা। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের আত্মকর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করা হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।

পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। এটি একই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। প্রকল্পের আওতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত কোর্স অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা সহজেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারেন।’

অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ১২ হাজার ছাড়াও আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২ হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

এ সময় অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বক্তব্য দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
  • চোরাচালানে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক, ফিরিয়ে এনে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজিবি
  • মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ
  • ১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
  • বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে বডি ক্যামেরা পাচ্ছে বিএসএফ
  • বাংলাদেশ সীমান্তের জন্য ৫ হাজার বডিক্যাম পাচ্ছে বিএসএফ