Risingbd:
2025-08-01@05:06:57 GMT

নতুন নোটের ডিজাইন প্রকাশ

Published: 1st, June 2025 GMT

নতুন নোটের ডিজাইন প্রকাশ

নতুন ডিজাইনের ছয়টি নোটের ছবি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ৫০০, ২০০, ১০০ ও ১০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোট এবং ৫ ও ২ টাকা মূল্যমান কারেন্সি নোটের ডিজাইন প্রকাশ করেছে তারা। রবিবার (১ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান হাবিব মনসুর স্বাক্ষরিত নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোট ১ জুন থেকে প্রথমবারের মতো বাজারে ছেড়েছে। 

এছাড়া ৫০০, ২০০, ১০০ ও ১০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোট এবং ৫ ও ২ টাকা মূল্যমান কারেন্সি নোট পর্যায়ক্রমে বাজারে ছাড়া হবে। এ সব নোট বাজারে ছাড়ার তারিখ পরে জানাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব মূল্যমানের নতুন নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত সব কাগুজে নোট এবং ধাতব মুদ্রাও যথারীতি চালু থাকবে।
 

আরো পড়ুন:

মে মাসে এলো ২৯৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

শনিবার থেকে নতুন টাকা পাবেন গ্রাহকরা  

৫০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের ডিজাইন
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর স্বাক্ষরিত ৫০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫২ মি.

মি. × ৬৫ মি.মি.। নোটের সম্মুখভাগে বামপাশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ঢাকা এবং মাঝখানের ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি মুদ্রিত থাকবে।

নোটের পেছনভাগে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, ঢাকা এর ছবি থাকবে। নোটটিতে সবুজ রঙের আধিক্য থাকবে। জলছাপ হিসেবে নোটে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’ এর মুখ, মূল্যমান ‘500’ এবং ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ থাকবে।

২০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের ডিজাইন
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর স্বাক্ষরিত ২০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৬ মি.মি. × ৬৩ মি.মি.। নোটের সম্মুখভাগে বামপাশে অপরাজেয় বাংলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ছবি এবং মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি মুদ্রিত থাকবে।

নোটের পেছনভাগে জুলাই-২০২৪ গণঅভ্যুত্থান এর সময় ছাত্রদের আঁকা একটি গ্রাফিতি ‘গ্রাফিতি-২০২৪’ মুদ্রিত থাকবে। নোটটিতে হলুদ রঙের আধিক্য থাকবে। জলছাপ হিসেবে নোটে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’ এর মুখ, মূল্যমান ‘200’ এবং ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ থাকবে।

১০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের ডিজাইন
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর স্বাক্ষরিত ১০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০ মি.মি. × ৬২ মি.মি.। নোটের সম্মুখভাগে বামপাশে ষাট গম্বুজ মসজিদ, বাগেরহাট এর ছবি এবং মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি মুদ্রিত থাকবে।

নোটের পেছনভাগে সুন্দরবন, বাংলাদেশ এর ছবি মুদ্রিত থাকবে। নোটটিতে নীল রঙের আধিক্য থাকবে। জলছাপ হিসেবে নোটে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’ এর মুখ, মূল্যমান ‘100’ এবং ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ থাকবে।

১০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের ডিজাইন
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর স্বাক্ষরিত ১০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৩ মি.মি. × ৬০ মি.মি.। নোটের সম্মুখভাগে বামপাশে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, ঢাকা এর ছবি এবং মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি মুদ্রিত থাকবে।

নোটের পেছনভাগে জুলাই-২০২৪ গণঅভ্যুত্থান এর সময় ছাত্রদের আঁকা একটি গ্রাফিতি ‘গ্রাফিতি-২০২৪’ মুদ্রিত থাকবে। নোটটিতে গোলাপি রঙের আধিক্য থাকবে। জলছাপ হিসেবে নোটে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’ এর মুখ, মূল্যমান ‘10’ এবং ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ থাকবে।

৫ টাকা মূল্যমান কারেন্সি নোটের ডিজাইন
অর্থ সচিব স্বাক্ষরিত ৫ টাকা মূল্যমান কারেন্সি নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ মি.মি. × ৬০ মি.মি.। নোটটির সম্মুখভাগে বামপাশে তারা মসজিদ, ঢাকা এর ছবি এবং মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি মুদ্রিত থাকবে।

নোটের পেছনভাগে জুলাই-২০২৪ গণঅভ্যুত্থান এর সময় ছাত্রদের আঁকা একটি গ্রাফিতি ‘গ্রাফিতি-২০২৪’ মুদ্রিত থাকবে। নোটটিতে গোলাপি রঙের আধিক্য থাকবে। জলছাপ হিসেবে নোটে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’ এর মুখ, মূল্যমান ‘5’ এবং ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মনোগ্রাম’ থাকবে।

২ টাকা মূল্যমান কারেন্সি নোটের ডিজাইন
অর্থ সচিব স্বাক্ষরিত ২ টাকা মূল্যমান কারেন্সি নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ মি.মি. × ৬০ মি.মি.। নোটটির সম্মুখভাগে বামপাশে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, মিরপুর, ঢাকা এর ছবি এবং ব্যাক্যাউন্ডে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলা'র ছবি মুদ্রিত রয়েছে।

নোটের পেছন ভাগের ডিজাইন হিসেবে রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ, ঢাকা এর ছবি থাকবে। নোটটিতে হালকা সবুজ রঙের আধিক্য থাকবে। জলছাপ হিসেবে নোটে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’ এর মুখ, মূল্যমান ‘2’ এবং ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মনোগ্রাম’ থাকবে।

ঢাকা/এনএফ/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ন ট র ড জ ইন ব ক র মন গ র ম এর ম খ ১০ ট ক

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের সংবর্ধনা দিল জাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শহীদ পরিবারদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এ সময় জুলাই হত্যার বিচার ও শহীদ পরিবারের পুনর্বাসনের আকুতি জানানো হয়।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় জহির রায়হান মিলনায়তনে এ সংবর্ধনার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান। 

আরো পড়ুন:

জুলাই শহীদদের স্মরণে জাবি ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ

জাবি ছাত্রদলের ১৫ নেতাকে অব্যাহতি

এতে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও ১০ শহীদ পরিবারের সদস্যরা। 

এসব শহীদরা হলেন, আলিফ আহম্মদ সিয়াম, শ্রাবণ গাজী, শাইখ আস-হা-বুল ইয়ামিন, নাফিসা হোসেন মারওয়া, সাফওয়ান আখতার সদ্য, মো. কুরমান শেখ, ছায়াদ মাহমুদ খান, নিশান খান, আস-সাবুর ও সুজন মিয়া।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরপর শহীদদের স্বরণে একটি ডকুমেন্টারি ভিডিও দেখানো হয়। পরে শহীদদের স্বীকৃতি স্বরূপ সংবর্ধনা, সনদ ও স্মারক প্রদান করা হয়।

শহীদ আলিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মো. বুলবুল কবির বলেন, “আমরা আমাদের সন্তানদের হারিয়েছি ১ বছর হতে চললো। কিন্তু হত্যাকারীদের বিচার এখনো নিশ্চিত হয়নি। আপনারা শহীদদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে এ চেয়ারে বসেছেন। ফ্যাসিস্টদের বিচার নিশ্চিত করুন।” 

শহীদ শ্রাবণ গাজীর পিতা মো. মান্নান গাজী বলেন, “আমাদের সন্তানরা তো আর ফিরে আসবে না। কিন্তু হাসাপাতালে যারা আহত আছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন। তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।”

শহীদ নাফিসা হোসেনের মামা মো. হজরত আলী নাফিসার শহীদ হওয়ার বর্ণনা করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি জুলাই শহীদদের পরিবারের পুর্নগঠন এবং শহীদদের নামে হল, সড়ক বিভিন্ন স্থাপনার নামকরণের প্রস্তাব করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, “জুলাই আন্দোলনের স্বরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে মাসব্যাপী আয়োজনের অংশ হিসেবে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শহীদ পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে যেসব দাবি করা হয়েছে, আমি প্রশাসনের একজন হয়ে তা আগামী সিন্ডিকেট সভায় তুলব।”

তিনি বলেন, “আমি চাই আমাদের এখানে যেহেতু কিন্ডারগার্টেন, স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এখানে শহীদদের পরিবারের সদস্যদের পড়াশোনার সুযোগ প্রদান করা হোক। এ বিষয়ে আমরা সিন্ডিকেটে আলোচনা করব। একইসঙ্গে জুলাই শহীদদের পরিবারের সদস্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

এর আগে, সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে অদম্য-২৪ স্মৃতিস্তম্ভ পর্যন্ত মুখে লাল কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল করেন শিক্ষকরা।

গত ১৪ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে স্বরণ ও ধারণ করতে মাসব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘বিচার প্রক্রিয়া ও সংস্কারের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে’
  • তিতুমীর কলেজে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী
  • হাসিনাকে ১০ বার ফাঁসিতে ঝোলালেও তার অপরাধ কমবে না: নাহিদ 
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
  • নরসিংদীতে আজ এনসিপির পদযাত্রা 
  • এনসিপির অনুরোধে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করল ছাত্রদল
  • পাবিপ্রবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে প্রজেক্ট শো
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের সংবর্ধনা দিল জাবি
  • নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পথে নেমেছি: নাহিদ ইসলাম
  • জাতিসংঘ স্থায়ী মিশনে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিশেষ অনুষ্ঠান