সুখবর
নারীর গৃহস্থালি কাজের স্বীকৃতির অঙ্গীকার
দেশের নারীরা ‘হোমমেকার’ বা গৃহস্থালি কাজে শ্রম ও সময় দেন। অবৈতনিক তো বটেই, তাদের এ কাজের কোনো স্বীকৃতিও নেই। তাদের এ কাজকে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে নারীদের এ অবদান আর্থিক মানদণ্ডে হিসাব কষে জিডিপিতে যোগ করার পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।
শিক্ষকদের জন্য নানামুখী উদ্যোগ
বাজেট বক্তব্যে শিক্ষকদের জন্য নানামুখী উদ্যোগের কথা তুলে ধরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা। একই সঙ্গে শিক্ষা খাতের উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষকদের মানবসম্পদ উন্নয়নকে বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বোনাস ও গ্রাচ্যুইটির পরিমাণ বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা হবে।
মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে ৭২৮ কোটি টাকা
মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে ৭২৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, মাদ্রাসা শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে ১ হাজার ১৩৫টি মাদ্রাসা ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। আরও ৫১৩টি বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। শিক্ষার আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে ৪৯৩টি মাদ্রাসায় স্থাপন করা হয়েছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম।
বেসরকারি চাকরিজীবীদের কর রেয়াত বাড়ল
বেসরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ কর রেয়াত সাড়ে ৪ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে বেশি বেতনের বেসরকারি চাকরিজীবীরা কিছুটা হলেও সুবিধা পাবেন। কর পরিপালন উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় এই সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড.
নার্সিং শিক্ষায় পিএইচডি কোর্স চালু হবে
নার্সিং শিক্ষায় পিএইচডি কোর্স চালুর বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা। আন্তর্জাতিকমানের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য নার্স শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও বিবেচনাধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি। এতে শুধু বিদেশে কর্মসংস্থান বাড়বে না, অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত খুলবে বলেও বাজেটে উল্লেখ করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ ক ষকদ র ন নয়ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত
ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ এর খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিনো পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা বিষয়ক সমস্যা সমাধানে প্রতিবেশী দেশগুলোসহ অন্যান্য দেশের এ সংক্রান্ত আইন বা আইনের সমকক্ষ ডকুমেন্ট বিবেচনায় এবং বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে সমাদৃত হয় এ রকম একটি আইনের রূপকল্প নিয়ে ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়ছে। যে কোনো নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্ত তার সম্পদ। রাষ্ট্র এর সুরক্ষা দিতে দায়বদ্ধ। বর্তমান সময়ে ব্যক্তিগত সকল তথ্যই বিশ্বব্যপী বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং নাগরিকদের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য বয়ে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলঅ হয়েছে, নাগরিকদের তথ্যের গোপনীয়তা, সুরক্ষা এবং তা আইনানুগ পদ্ধতিতে সংগ্রহ, সংরক্ষণ, ব্যবহার দেশে কিংবা দেশের বাইরে উপাত্তধারীর সম্মতি সাপেক্ষে হওয়া উচিত। বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই ব্যক্তিগত তথ্যের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হলেও তার গোপনীয়তা, সুরক্ষা ও আইনানুগ পদ্ধতিতে সংরক্ষণ এবং প্রয়োজনে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কোনো আইন প্রণীত হয়নি। সে কারণেই জনসাধারণের তথ্য সরকারি, বেসরকারি বা অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান ইচ্ছেমতো সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও স্থানান্তর করে আসছে। এ কারণে অপ্রয়োজনীয় ও অপরিকল্পিতভাবে তথ্য সংগ্রহ ও আদান প্রদানের ক্ষেত্রে দেশের জনসাধারণ তাদের তথ্যের আইনী অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারের মেয়াদে খসড়ায় এ সংক্রান্ত উত্তম চর্চার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি ব্যবসাবান্ধব আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়িক সংগঠন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তথ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো, মিডিয়া এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মতামত গ্রহণের জন্য অধ্যাদেশের খসড়া কপি একাধিকবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে। একইভাবে স্টেকহোল্ডারদের উপস্থিতিতে একাধিক সভা আয়োজন করে মতামত নেওয়া হয়েছে। প্রাপ্ত মতামত যাচাই-বাছাই করে খসড়াটি সংযোজন বিয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।