মাছের ঝুড়ির ওপর বড়সড় তিনটি বাগাড় রাখা। পাশে দাঁড়ানো অটোরিকশায় দুটি মাইক। মাইকে ঘোষণা হচ্ছিল, ‘দেখি যাউক্কা ভাই, বিশাল বাঘ (বাগাড়) মাছ। কাটিয়া বিক্রি হইব। কেজি পনেরো শ টেকা। আউক্কা, দেখউক্কা, লউক্কা।’ মাছ দেখতে ভিড় করেন অনেকে। কেউ মুঠোফোনে ছবি তোলেন, কেউ ফেসবুকে লাইভ করেন, আবার কেউ কেউ দরদামও করছিলেন।

বিক্রেতার দাবি, ৩টি মাছের ওজন প্রায় ৯০ কেজি। শেষ পর্যন্ত দরদামের পর মাছ কেটে প্রতি কেজি ১ হাজার ১০০ টাকা করে বিক্রি হয়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার শিশুপার্ক চত্বরে মাছগুলো বিক্রি হয়।

তবে ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী, বাগাড় একটি সংরক্ষিত বন্য প্রাণী। এ মাছ শিকার, বিক্রি বা পরিবহন করা আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। সর্বোচ্চ ১ বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।

সন্ধ্যায় শিশুপার্ক চত্বরে দেখা যায়, শামীম মিয়া নামের এক ব্যক্তি মাছগুলো বিক্রি করছেন। তিনি জানান, তাঁর বাড়ি মৌলভীবাজারের শেরপুরে। গত রোববার রাতে কুশিয়ারা নদীতে উতরা নামের একধরনের জালে মাছ তিনটি ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটির ওজন ৬০ কেজির বেশি বলে দাবি করেন। বাকি দুটির ওজন প্রায় ৩০ কেজি। তিনটি মাছ তিনিসহ আরও দুজনে মিলে কিনে এনেছেন। তবে কত টাকা দিয়ে কিনেছেন, তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এখানে মাছগুলো কেটে বিক্রি করা হবে। প্রতি কেজি ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি করবেন।

শামীম বলেন, ‘মাছগুলা প্রজননের লাইগা মেঘনা থিকা কুশিয়ারায় ঢুকছে। এই রকম বড় মাছ কদ্দিনে একটা পাই। এর আগে কুলাউড়ায়ও দুইডা বাগাড় কাটি বিক্রি করছি। ৪০ কেজি আছিল প্রতিটার ওজন। তিন-চার বছর আগে ১২০ কেজির একডা বাগাড় পাইছিলাম। ওটা শেরপুরের পৌষসংক্রান্তির মেলায় বিক্রি করছি।’

মাছ দেখতে আসা তরুণ অজিত দেবনাথ বলেন, ‘এত বড় মাছ এর আগে দেখিনি। তাই ছবি তুলে রাখছি।’

বাগাড় ধরা, বিক্রি নিষিদ্ধ জানেন কি না—এই প্রশ্নের উত্তরে বিক্রেতা শামীম বলেন, ‘সব সময় তো বিক্রি করছি। কোনো সমস্যা নাই।’

বিষয়টি জানতে চাইলে বন বিভাগের জুড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন বলেন, ‘বিষয়টা খোঁজ নিয়ে দেখছি। অভিযান চালাতে হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাগবে। ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) সাহেবের সঙ্গে কথা বলব।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ওজন

এছাড়াও পড়ুন:

গায়ক গিল মানু গ্রেপ্তার, জিমে পিস্তল দেখিয়ে হুমকি

ভারতীয় সংগীতজগতে পাঞ্জাবি গায়ক গিল মানু এক পরিচিত নাম। বিভিন্ন জনপ্রিয় গানের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেও এবার আলোচনায় এসেছেন এক নেতিবাচক ঘটনায়। গানের মঞ্চ নয়, এবার খবরের শিরোনামে তিনি উঠে এসেছেন একটি জিমে ঘটে যাওয়া ভয়ানক ঘটনার কারণে, যেখানে তর্কবিতর্ক গিয়ে ঠেকেছে অস্ত্র প্রদর্শনের পর্যায়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মোহালির একটি জিমে শরীরচর্চা করছিলেন গিল মানু, যাঁর আসল নাম সতবন্ত সিং। সেখানে কোনো এক ব্যায়াম নিয়ে তাঁর সঙ্গে জিম প্রশিক্ষকের বচসা শুরু হয়।

বিষয়টি উত্তপ্ত হতে হতে এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে প্রশিক্ষক তাঁকে জিম থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু এর জবাবে গিল নিজের পকেট থেকে একটি পিস্তল বের করে প্রশিক্ষককে হুমকি দিতে থাকেন।
এ ঘটনার সম্পূর্ণ ভিডিও ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়, যা পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরপরই মোহালি পুলিশ ঘটনাটির তদন্তে নামে এবং দ্রুত গিল মানুকে গ্রেপ্তার করে। শুধু গিল নন, তাঁর ভাইকেও এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নাল।

পাঞ্জাবি গায়ক গিল মানু

সম্পর্কিত নিবন্ধ