শাকিব কাউকে বুঝতে দেন না তিনি এত বড় তারকা: সাবিলা
Published: 3rd, June 2025 GMT
আসন্ন ঈদের আলোচিত সিনেমা ‘তাণ্ডবে’ শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন অভিনেত্রী সাবিলা নূর। এতোমধ্যে অন্তর্জালে মুক্তি পেয়েছে ছবির ফরকাস্ট ও গান। যা সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে বাড়তি উন্মাদনা তৈরি করেছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ঢালিউড শাকিবের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন সাবিলা নূর।
তিনি বলেন, ‘তাণ্ডবের শুটিং সেটে শাকিব খানের সঙ্গে আমার ১০ দিনের মতো শুটিং হয়েছে। শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে শুরুতে নার্ভাস ছিলাম। আমি যেহেতু অনেক বছর ধরে নাটকে কাজ করেছি, সুতরাং আমি নাটকের কাজের প্রসেসটা জানি। সিনেমার ক্ষেত্রে কাজটা অন্যরকম। ভয় ছিল। প্রথম দিনেই, প্রথম সিনেই মেগাস্টার শাকিব খানের সঙ্গেই সিকোয়েন্স। যে নারভাসনেসটা ছিল, সেটা আসলে শাকিব খানের কারণেই দূর হয়ে গেছে।’
সেটে থাকার সময় নিরিবিলি পরিবেশে থাকতে পছন্দ করেন সাবিলা। শাকিব খানও নাকি তার মতোই। সাবিলা নূরের ভাষ্য, ‘উনি (শাকিব খান) সেটে সব সময় নিজের মতো করে থাকেন। সিন কী হবে? এটা নিয়ে চিন্তা করেন।’
সাবিলা বলেন, ‘যখন পরিচালক রায়হান রাফী অ্যাকশন বলেছেন, তখন আর ওনাকে শাকিব খান মনে হয়নি। তখন আমার যে ক্যারেক্টার নিশাতের ক্যারেক্টারের সঙ্গে আমি আসলে ওনাকে স্বাধীন হিসেবে ভেবে নিয়েছিলাম। সেটে উনি যতক্ষণ থাকেন, উনি যে এত বড় মেগাস্টার- এটা কাউকে বুঝতে দেন না।’
সাবিলার কথায়, ‘সেটে সারাক্ষণ সিনেমার গল্প, চরিত্র নিয়ে ভাবেন। আমার কাছে মনে হয়েছে, উনি ফিউচারে আরও ভালো করতে চান। এই ব্যাপারটা ওনার মধ্যে সব সময় থাকে। আমি চাই যে এই জিনিসটা যেন আমিও করতে পারি।’
সোমবার মুক্তি পেয়েছে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার প্রথম গান ‘লিচুর বাগানে’। গানটিতে নতুনভাবে হাজির হয়েছেন শাকিব-সাবিল। নতুন গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রীতম হাসান, জেফার, মঙ্গল মিয়া ও আলেয়া বানু।
রায়হান রাফির পরিচালনায় তাণ্ডবে শাকিব-সাবিলার সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, ডা.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।