আসন্ন ঈদের আলোচিত সিনেমা ‘তাণ্ডবে’ শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন অভিনেত্রী সাবিলা নূর। এতোমধ্যে অন্তর্জালে মুক্তি পেয়েছে ছবির ফরকাস্ট ও গান। যা সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে বাড়তি উন্মাদনা তৈরি করেছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ঢালিউড শাকিবের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন সাবিলা নূর। 

তিনি বলেন, ‘তাণ্ডবের শুটিং সেটে শাকিব খানের সঙ্গে আমার ১০ দিনের মতো শুটিং হয়েছে। শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে শুরুতে নার্ভাস ছিলাম। আমি যেহেতু অনেক বছর ধরে নাটকে কাজ করেছি, সুতরাং আমি নাটকের কাজের প্রসেসটা জানি। সিনেমার ক্ষেত্রে কাজটা অন্যরকম। ভয় ছিল। প্রথম দিনেই, প্রথম সিনেই মেগাস্টার শাকিব খানের সঙ্গেই সিকোয়েন্স। যে নারভাসনেসটা ছিল, সেটা আসলে শাকিব খানের কারণেই দূর হয়ে গেছে।’

সেটে থাকার সময় নিরিবিলি পরিবেশে থাকতে পছন্দ করেন সাবিলা। শাকিব খানও নাকি তার মতোই। সাবিলা নূরের ভাষ্য, ‘উনি (শাকিব খান) সেটে সব সময় নিজের মতো করে থাকেন। সিন কী হবে? এটা নিয়ে চিন্তা করেন।’

সাবিলা বলেন, ‘যখন পরিচালক রায়হান রাফী অ্যাকশন বলেছেন, তখন আর ওনাকে শাকিব খান মনে হয়নি। তখন আমার যে ক্যারেক্টার নিশাতের ক্যারেক্টারের সঙ্গে আমি আসলে ওনাকে স্বাধীন হিসেবে ভেবে নিয়েছিলাম। সেটে উনি যতক্ষণ থাকেন, উনি যে এত বড় মেগাস্টার- এটা কাউকে বুঝতে দেন না।’

সাবিলার কথায়, ‘সেটে সারাক্ষণ সিনেমার গল্প, চরিত্র নিয়ে ভাবেন। আমার কাছে মনে হয়েছে, উনি ফিউচারে আরও ভালো করতে চান। এই ব্যাপারটা ওনার মধ্যে সব সময় থাকে। আমি চাই যে এই জিনিসটা যেন আমিও করতে পারি।’  

সোমবার মুক্তি পেয়েছে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার প্রথম গান ‘লিচুর বাগানে’। গানটিতে নতুনভাবে হাজির হয়েছেন শাকিব-সাবিল। নতুন গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রীতম হাসান, জেফার, মঙ্গল মিয়া ও আলেয়া বানু।

রায়হান রাফির পরিচালনায় তাণ্ডবে শাকিব-সাবিলার সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, ডা.

এজাজ, রোজী সিদ্দিকি, এফএস নাঈম প্রমুখ। শোনা যাচ্ছে, এতে ৪৫ সেকেন্ডের ক্যামিওতে দেখা যাবে আফরান নিশো ও সিয়ামকে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫৪ হাজার ৬০০ ছাড়াল

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের মোট সংখ্যা ৫৪ হাজার ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে। বুধবার (৪ জুন) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৯৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪৪০ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত মোট ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৪ হাজার ৬০৭ জনে পৌঁছেছে। একইসঙ্গে অবরুদ্ধ নগরীতে আহতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৪১ জনে পৌঁছেছে।

মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি। কারণ অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।

আরো পড়ুন:

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি গায়ানা, যা বললেন রাষ্ট্রদূত

ত্রাণ বিতরণের সময় ফিলিস্তিনিদের হত্যা: স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জাতিসংঘের

উল্লেখ্য, ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। 

দীর্ঘ ১৫ মাস ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। তবে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের তীব্র হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং প্রায় ৮৫ শতাংশ জনসংখ্যা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

জাতিসংঘের মতে, দীর্ঘ এ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। খাবার, পানি, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার অভাবে উপত্যকাটির ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চরম ক্ষুধা ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যা বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে রায় উপেক্ষা করে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ