একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেলেন। চিন্তা করুন, দেশে সংসদ থাকলে কী যে তুলকালাম কাণ্ড হতো? সরকারের প্রধান নির্বাহী বা প্রধানমন্ত্রীকে দাঁড়িয়ে সংসদে জবাবদিহি করতে হতো। বিরোধী দল টেবিল চাপড়ে হইচই করত।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাপান সফর সম্পন্ন করেছেন। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। জাপান সরকার আমাদের বাজেটঘাটতি মিটাতে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি ধার দিবে। বেশ কয়েকটি আর্থিক সাহায্য ও সহযোগিতার চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বলা হয়েছে, জাপান আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে এক লাখের বেশি লোক নিয়োগ করবে। এই সফরের ফলাফল এই পর্যন্ত যতটুকু জানা গেছে, তাতে বলা যায় এটা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাবে। এতে জাপান সরকারের সহৃদয়তা যেমন রয়েছে, তেমনি আছে অধ্যাপক ইউনূসের ব্যক্তিগত প্রভাবের প্রতিচ্ছবি। এই সফরের বিস্তারিত সফলতাগুলো কি দেশের জনগণ অধ্যাপক ইউনূসের মুখে সরাসরি শুনতে পারে না?

সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অভিমত জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দেশের ভবিষ্যৎ পথ নির্ধারণের অধিকার একটি নির্বাচিত সরকারেরই রয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস ও সেনাপ্রধান দুজনই সরকারের লোক। তারা কি এসব বিষয় আলাপ করে সুরাহা করতে পারেন না?

মব কিছুটা থেমেছে। এখন রাজনীতিবিদেরাই দল বেঁধে সরকারি ভবনে ঢুকে যাচ্ছেন, রাস্তায় রাস্তায় ধরনা দিচ্ছেন এবং সরকারি ভবনে তালা দিচ্ছেন। জনগণের দুর্ভোগ বাড়ছে। তাঁরাই কয়েক দিন আগে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে ফ্যাসিবাদ আর থাকবে না। এখন তাঁরা নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করছেন, শাহবাগে যান চলাচল বন্ধ করছেন। অধ্যাপক ইউনূসের কাছের লোকেরা বলেছেন তিনি এসব নিয়ে বিরক্ত। কেউ কেউ বলেছেন তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। কেউ বলছেন তিনি দায়িত্ব পালন করে যাবেন। আমরা কি তাঁর ভাবনাগুলো তাঁর মুখ থেকে শুনতে পারব?

এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া খুব সহজ নয়। কারণ, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নিজে নীরবে কাজ করতে পছন্দ করেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উপদেষ্টারা যা বলেন, তার থেকেই দেশের জনগণ উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেন। উপদেষ্টারা যা বলেছেন তাতেও অনেক বিষয়ে পরস্পর বিরোধী কথা বলছেন। আপনি কী ভাবছেন, জনগণ নিশ্চয়ই আপনার মুখ থেকেই জানতে চায় অধ্যাপক ইউনূস।

এমন কিছু সময় আছে দেশের সমস্যা ও সমাধানের পথগুলো দেশের প্রধান নির্বাহীর মুখে না শুনলেই নয়। সেই ক্রান্তিকালটাতে আমরা পৌঁছে গেছি। আর একটা বিষয় অবশ্যই জরুরি, অধ্যাপক ইউনূস যদি সংস্কার ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটা রোড ম্যাপ বা নীলনকশা তৈরি করে স্পষ্ট কণ্ঠে জানিয়ে দেন, এটাও হবে তার ‘বুলি পলপ্রিট’ বা হাঁকডাকের অংশ বিশেষ ।

অধ্যাপক ইউনূসের জাপান সফরকালে কথিত পদত্যাগের বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিল জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়া। জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, যেহেতু তিনি এই বিষয়ে বাংলাদেশে কোনো কথা বলেননি, তাই বিদেশে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে তা ‘বড় সমস্যা’ হতে পারে। অধ্যাপক ইউনূস এখন দেশে ফিরে এসেছেন, এখন কি তিনি কিছু বলবেন?

আমাদের দেশে এখন যা চলছে, নির্বাচন দিলেই কি সব মিটে যাবে? বিচারপতি শাহাবুদ্দিনও একটা ভালো নির্বাচন দিয়ে রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতা দিয়েছিলেন। তারপর কী হলো?

আবার সরকারের বয়স প্রায় ১০ মাসে হয়ে গেল। কিন্তু সংস্কারের তেমন কিছুই হয়নি। এ নিয়েও প্রশ্ন থাকাটা স্বাভাবিক। জরুরি বিবেচনায় আমরা পুলিশি কাজে সেনাবাহিনীর সাহায্য নিচ্ছি। বর্তমান বিশেষ পরিস্থিতিতে নির্বাচন ও রাজনীতিতেও তাদের পরামর্শ ও সাহায্য নেওয়া দোষের কিছু নয়। অধ্যাপক ইউনূসই একমাত্র পরিষ্কারভাবে জানাতে পারেন সরকার কী সংস্কার করতে চায় এবং কীভাবে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দিয়ে জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে পারে।

দেশের একটা বিরাট জনগোষ্ঠী অধ্যাপক ইউনূসের সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করেন। কিন্তু তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁর সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম ও কথাবার্তায় সৃষ্ট ধোঁয়াশা নিয়ে দারুণভাবে উদ্বিগ্ন। অধ্যাপক ইউনূসই স্পষ্টভাবে একাত্তরের স্বাধীনতার সপক্ষে কথা বলেন, এই বিষয় পরিষ্কার করতে পারেন।

আমাদের দেশে এখন সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে। জনগণকে আশ্বস্ত করা এবং শিক্ষাদানের একটা ব্যাপার আছে। দেশের প্রধান নির্বাহী কর্তার এই চুপচাপ থাকার খারাপ দিকও আছে। তিনি কি কিছু বিষয়ে সোচ্চার হতে পারেন না?

আমেরিকার রাজনীতিতে প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট একটা কথার প্রচলন করেছিলেন—‘বুলি পলপ্রিট’। এর অর্থ হলো শাসক বা উচ্চ পদের ব্যক্তির বিশেষ অবস্থান, যেখান থেকে তিনি জনগণকে শিক্ষিত করতে পারেন, নৈতিক অনুপ্রেরণা দিতে পারেন। আজকালকার দিনে এই ‘বুলি পলপ্রিটের’ প্রয়োজন আরও বেড়েছে।

এখন ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্যুৎ গতিতে প্রচার ও অপপ্রচার গড়াতে থাকে। সরকারের প্রধানকে জনগণের কাছে নিজের কাজ ও উদ্দেশ্যগুলো সার্বক্ষণিকভাবে প্রচার করতে হবে। নতুবা অন্যরা আপনার উদ্দেশ্য ও কাজকর্মকে তাদের মতো সংজ্ঞায়িত করবে। উপদেষ্টারা সরকারের ভাষ্য যেভাবে প্রকাশ করছেন, তাতে রয়েছে যথেষ্ট অস্পষ্টতা ও পরস্পর বিরোধিতা।

আমাদের সংবাদমাধ্যম ও টেলিভিশনে অধ্যাপক ইউনূসকে নিজ মুখে খুব বেশি কথা বলতে শোনা যায়নি। দেশি সংবাদমাধ্যমে হাতে গোনা কয়েকটি তিন–চারটা ইন্টারভিউ দিয়েছেন। তবে অধ্যাপক ইউনূস যে সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে পছন্দ করেন না, তা–ও ঠিক নয়। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর বিশ্বের গণমাধ্যমে তাঁর উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিল। পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে তাঁর সাক্ষাৎকার ফলাও করে প্রচার করা হতো।

এর মধ্যেই দেশে অনেক কিছু ঘটে যাচ্ছে। রাজনীতিবিদেরা দল বেঁধে সরকারকে চাপ দিচ্ছেন। অধ্যাপক ইউনূস আপনি কি তা নিয়ে কিছু বলবেন? দেশের জনগণ গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়গুলো প্রধান উপদেষ্টার মুখেই শুনতে চান। সরকারপ্রধানের চুপচাপ থাকার একটা খারাপ দিক হলো, এতে সরকারকে দুর্বল দেখায়। প্রধান উপদেষ্টা কি কিছু বিষয়ে সোচ্চার হতে পারেন না?

এমন কিছু সময় আছে দেশের সমস্যা ও সমাধানের পথগুলো দেশের প্রধান নির্বাহীর মুখে না শুনলেই নয়। সেই ক্রান্তিকালটাতে আমরা পৌঁছে গেছি। আর একটা বিষয় অবশ্যই জরুরি, অধ্যাপক ইউনূস যদি সংস্কার ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটা রোড ম্যাপ বা নীলনকশা তৈরি করে স্পষ্ট কণ্ঠে জানিয়ে দেন, এটাও হবে তার ‘বুলি পলপ্রিট’ বা হাঁকডাকের অংশ বিশেষ ।

সালেহ উদ্দিন আহমদ সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

ই-মেইল: [email protected]

(মতামত লেখকের নিজস্ব)

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট র সরক র র বল ছ ন র জন ত আম দ র র একট

এছাড়াও পড়ুন:

৩০০ আসনে প্রার্থী বাছাই প্রায় চূড়ান্ত: তারেক রহমান

জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেন, “দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী কিংবা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে।”

আরো পড়ুন:

বরগুনায় জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মামুন 

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির 

রবিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তারেক রহমান। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।

প্রতিটি নির্বাচনী আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জানিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “দেশের প্রতিটি সংসদীয় আসনে বিএনপির একাধিক যোগ্য এবং জনপ্রিয় প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও প্রতিটি মানুষকে নিশ্চয়ই মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়। ভিন্ন রাজনৈতিক দলের যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে রাজপথের সঙ্গী ছিলেন, এমন প্রার্থীকেও বিএনপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

এই বাস্তবতার কারণে হয়তো কিছু সংসদীয় সংসদীয় আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থকদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে আপনারা এই বাস্তবতাকে মেনে নেবেন।”

জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে জনমনে সৃষ্ট সংশয়, সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে সংকটপূর্ণ করে তুলতে পারে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, “দেশে প্রতিনিয়ত একের পর এক নিত্য নতুন শর্ত জুড়ে দিয়ে গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সংকটাপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তিতে বিশ্বাসী নাগরিকেরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।”

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের উদ্বেগের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, “পরাজিত পলাতক স্বৈরাচারের শাসন আমলে জনগণের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনোই আগ্রহ ছিল না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় জনমনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসা বাড়ছে, যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে?... এমন তো হবার কথা ছিল না।”

বিএনপির বিজয় ঠেকাতে অপপ্রচার ও অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “উদ্বেগ এবং আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার এবং অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।”

শুধু বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত পরাজত পলাতক স্বৈরাচার দেশে ‘ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিগত ১৫ বছরে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।”

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিএনপি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে মন্তব্য করে তারেক রহমান জানান, তবে বিএনপির প্রতি দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণের আস্থা, ভালোবাসা থাকায় সে সংকট কাটিয়েছে তার দল।

তারেক রহমান বলেন, “দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শুরু থেকেই ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার স্বার্থে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে একদিকে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পথ বেছে নিয়েছে। অপরদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও যতটুকু সম্ভব, যতটুকু যথাসাধ্য সম্ভব আমাদের অবস্থান থেকে আমরা সহযোগিতা করে আসছি।”

দেশে নারীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সামাজিক উদাসীনতা প্রকট হয়ে উঠছে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ সংক্রান্ত গণমাধ্যমের প্রতিবেদন তুলে ধরে বলেন, “নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপত্তাহীন সমাজ নিশ্চয়ই সভ্য সমাজ হিসেবে গণ্য হতে পারে না।”

সেজন্য তিনি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলসহ বাংলাদেশের সচেতন নারী সমাজকে তাদের দাবি সরকারের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অনলাইনে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ এবং তার ফি পরিশোধের প্রক্রিয়া নিয়ে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তাতে বলা হয়, এখন থেকে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে অনলাইনে বিএনপির দলীয় ওয়েবসাইটে গিয়ে সদস্যপদ গ্রহণ করা যাবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জে ড এম জাহিদ হাসান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী
  • ভুল শুধরে জনগণের আস্থা ফেরানোর সুযোগ এই নির্বাচন: আইজিপি
  • ৩০০ আসনে প্রার্থী বাছাই প্রায় চূড়ান্ত: তারেক রহমান
  • ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরো শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করবে
  • জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিতে সংগ্রাম, শপথ যুব সংসদের সদস্যদের
  • বন্দরে বিএনপি নেতা তাওলাদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম
  • বিএনপি ও জামায়াত কে কোন ফ্যাক্টরে এগিয়ে
  • অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে: ফখরুল
  • সরকার নিরপেক্ষতা হারালে জনগণ মাঠে নামবে: তাহের
  • সংস্কার ইস্যুতে সব দল ঐক্যবদ্ধ থাকলেও বিএনপি অবস্থান পরিবর্তন করে