বিশাল আকৃতি ও সুঠাম দেহের কালো মানিকের নাম ছড়িয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার গরুর হাটগুলোতে। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে কালো মানিক নামের ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে ৭ লাখ টাকা। পাকিস্তানি শাহিওয়াল জাতের এই ষাঁড়টি পালন করেছেন খামারি আবু শাহ আলম। সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের চুড়ামনি এলাকায় টিনশেডের খামারে আরও ২৫টি ষাঁড় পালন করছেন তিনি।

খামারি আবু শাহ আলম বলেন, কোনো ধরনের মোটাতাজাকরণ ওষুধ ও কৃত্রিম খাবার প্রয়োগ ছাড়াই সম্পূর্ণ দেশি ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কোরবানির পশুর হাটে বিক্রির জন্য কালো মানিককে প্রস্তুত করেছেন তিনি। খামারের পাশের জমিতে প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন ঘাস, খড় ও কুঁড়া ষাঁড়টির নিত্যদিনের খাবার। ১৭ মণের কালো মানিকের দাম চেয়েছেন ৭ লাখ টাকা। খামারের কোনো গরু এখন পর্যন্ত কোরবানির পশুর হাটে নেননি। তবে অনলাইনে কালো মানিকের ছবি দেখে প্রতিদিন অনেক লোক খামারে ভিড় করছেন। দরদাম জিজ্ঞেস করে চলে যাচ্ছেন। ন্যায্য দাম না পেলে এ বছর ষাঁড়টি বিক্রি করবেন না তিনি।

বৃষ্টি উপেক্ষা করেও ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন খামারে ভিড় করছেন বিভিন্ন এলাকার লোকজন। তবে তাঁরা দরদাম জিজ্ঞেস করলেও দাম শুনে কেনার আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ষাঁড়টি দেখতে এসেছেন উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের মধ্যম কাঞ্চনার আতাউর রহমানসহ তিনজন। জানতে চাইলে আতাউর রহমান বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ষাঁড়টি সম্পর্কে জেনে দেখতে এসেছেন তাঁরা। আসলেই কালো মানিক নামের ষাঁড়টি বিশাল আকৃতির। তবে খামারি দাম হাঁকছেন বেশি।

আবুল কাসেম ও ফরিদুল আলম নামের দুজন কর্মী কালো মানিককে গোসল করাচ্ছিলেন। তাঁরা জানান, ষাঁড়টি বিশাল আকৃতির হলেও খুবই শান্তশিষ্ট। প্রায় চার হাত উচ্চতা ও ছয় হাত দৈর্ঘ্যের ষাঁড়টির খবর ইতিমধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, সাতকানিয়া উপজেলায় এবারের কোরবানির পশুর চাহিদা আছে ৪৫ হাজার ৩৭১টি। খামারি ও ব্যক্তিপর্যায়ে বিক্রির উপযোগী পশু প্রস্তুত আছে ৪৭ হাজার ১২৪টি।

সাতকানিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো.

মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আবু শাহ আলমের খামারের ষাঁড়টি বিশাল আকৃতির। তাঁর মতো উপজেলার অনেক খামারি পশু লালনপালন করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার দেখে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খামারে গিয়েও পছন্দের কোরবানির পশু কিনছেন অনেকে। উপজেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর বাজারেও কেনাবেচা চলছে। বিভিন্ন দিক দেখাশোনার জন্য প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঁচটি দলের সদস্যরা কোরবানির পশুর বাজার ও খামার এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল র করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

নির্জন পথে হরিণের মাংস নিয়ে ফিরছিলেন শিকারিরা, কোস্টগার্ড দেখে পালালেন

ছবি: সংগৃহীত

সম্পর্কিত নিবন্ধ