স্বামী বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর দুর্বৃত্তের হামলার পর কারিনা বেরিয়ে এসেছেন চেনা জীবনের ছক থেকে। যার সঙ্গে পুরোনো কারিনাকে মেলানো কঠিন। এই বলিউড অভিনেত্রীর কথায়, সময়ের প্রয়োজনে নিজেকে বদলেছেন তিনি। তারকাখ্যাতির কারণেই অভিনয় জগতের অন্যদের মতো করে পথচলা শুরু করেছিলেন। কিন্তু যখন বুঝলেন, এই খ্যাতি ও জৌলুসময় জীবনের কোনো না কোনো সময় ইতি টানতে হয়, তখন থেকেই নতুনভাবে পথচলার কথা ভেবেছেন। ঘর-সংসার আর মাতৃত্বের কারণে আগের দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে গেছে তাঁর। 

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আজকাল সূত্রে জানা গেছে, যেদিন সাইফ আলী খানের ওপর দুর্বৃত্তের হামলা হয়, সেদিনও নৈশপার্টিতে মত্ত ছিলেন কারিনা। প্রথমে এই খবর ছড়িয়েছিল সিনেমা অঙ্গনে। যদিও পরে তদন্ত রিপোর্টে জানা যায়, সেদিন সাইফ-কারিনা একসঙ্গেই বাড়িতে ছিলেন। তবুও স্বামীর ওপর হামলা হওয়ায় নিজের জীবনযাপনে পরিবর্তন এনেছেন কারিনা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছেন, বর্তমানে আমি দেখি একের পর এক অভিনেতা সাফল্যের পেছনে দৌড়াচ্ছে। আমি মনে করি, সৌভাগ্যক্রমে আমি এ জায়গা থেকে বেরিয়ে এসেছি। এখন আমার নির্দিষ্ট সময়সূচি রয়েছে। আমি সন্ধে ছ’টার সময় রাতের খাবার খেয়ে ফেলি এবং রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ঘুমিয়ে পড়ি। কারণ আমি খুব সকালে উঠে ব্যায়াম করি। খুব একটা পার্টিতেও যাই না। আমার বন্ধুরা এখন আমার কাছ থেকে বেশি কিছু আশা করে না। তারা জানে আমি বাড়িতে খুব ভলিউম দিয়ে টিভি দেখছি।

কিন্তু হঠাৎ এই পরিবর্তনের কারণ কী? কারিনা জানান, সুস্থ জীবনের জন্য এ পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। সাইফের ওপর হামলার পর থেকে বদল এসেছে পতৌদি পরিবারের জীবনযাত্রায়। দুই ছেলে তৈমুর ও জেহকে পাপারাজ্জিদের ক্যামেরা থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাইফ-কারিনা। বেড়েছে তাদের নিরাপত্তাও। অভিনেত্রীর এ কথা থেকে স্পষ্ট, পুরোনো খোলস থেকে তিনি চিরতরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।   
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

পরিকল্পিত আধুনিক আবাসনের নিশ্চয়তা: শেল্‌টেক–এর সঙ্গে নিশ্চিন্তে পথচলা

রোজকার মতোই শহরবাসীর দিন শুরু হয় গাড়ির হর্ন, হুড়োহুড়ি আর নিরন্তর ট্রাফিক জ্যামের ভিড়ে। হাঁটতে চাইলেও ফুটপাতে জায়গা নেই, শান্তিতে বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার নেই উপায়। শরীরকে ফিট রাখতে জিমে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও, অফিসের পর সন্ধ্যার তীব্র যানজট আর ক্লান্তির ভারে সুযোগ হয়ে ওঠে না।

স্কুল থেকে ফিরে শিশুরাও এখন ভিডিও গেমস আর ফোনের স্ক্রিনে বন্দী। শহরে তাদের জন্য নিরাপদে খেলার মাঠ কিংবা ছুটোছুটির জায়গা নেই বললেই চলে। আর নগরায়ণের এই ধারা বয়স্কদেরও ঠেলে দিচ্ছে চার দেয়ালের গণ্ডির মধ্যে, ঘরে নেই প্রাকৃতিক আলো–বাতাসের পর্যাপ্ত প্রবাহ, নেই হাঁটাহাঁটি করার মতো খোলা জায়গা বা সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য প্রাণবন্ত পরিসর।

শহরের ব্যস্ততা, কাজের চাপ আর নিত্য রুটিনে আবদ্ধ মানুষগুলো খুঁজে ফেরে একটু শান্তি, নিরাপত্তা এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন, খোলামেলা ও প্রাকৃতিক আলো বাতাসে পরিপূর্ণ আধুনিক আবাসন। এই ভাবনাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের স্বনামধন্য ও বিশ্বস্ত আবাসন প্রতিষ্ঠান শেল্‌টেক্ ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বড় মগবাজারে নির্মাণ করছে একটি আধুনিক আবাসিক প্রকল্প ‘শেল্‌টেক্‌ ক্রিমসন প্যালেস’। উন্নত নির্মাণশৈলী, পরিকল্পিত নকশা, আধুনিক জীবনধারা এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধার এক অনবদ্য সমন্বয়ে গড়ে উঠছে এই স্বনির্ভর কমিউনিটি আবাসন প্রকল্পটি।

মগবাজারে আধুনিক নাগরিক জীবনযাত্রার নতুন ঠিকানা শেল্‌টেক্ ক্রিমসন প্যালেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অপেক্ষারও একদিন শেষ হয়, মুখে ফোটে সোনালি হাসি
  • সুস্থ জীবনের জন্য নতুন পথ বেছে নিয়েছেন কাপুর
  • পরিকল্পিত আধুনিক আবাসনের নিশ্চয়তা: শেল্‌টেক–এর সঙ্গে নিশ্চিন্তে পথচলা