চট্টগ্রামে জেল হেফাজতে লালসাংময় বম এবং লালত্লেং কিম বমের মৃত্যুতে ক্ষোভ ও উদ্বেগ জানিয়েছেন বিভিন্ন পেশার ২৩৫ বিশিষ্ট নাগরিক। এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি করেছেন তারা। একই সঙ্গে নিরাপরাধ সব বম নাগরিকের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।

‘কারাবন্দি’ বমদের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার ২৩৫ নাগরিকের পক্ষে গতকাল মঙ্গলবার গোলাম মোস্তফা ও মার্জিয়া প্রভা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ১ জুন চট্টগ্রামে নিপীড়নের শিকার হয়ে জেলহাজতে লালসাংময় বমের মৃত্যু হয়। কুকি-চিন ন্যাশনাল পার্টির সদস্য সন্দেহে লালসাংময়কে ২০২৩ সালে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এর আগে ১৫ মে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি লালত্লেং কিম বম বিনা চিকিৎসায় মারা যান।

বিবৃতিতে বলা হয়, কারাবন্দি অবস্থায়ই লালত্লেং ও লালসাংময় কাঠামোগত হত্যার শিকার হয়েছেন। এভাবে হেফাজতে মৃত্যু রাষ্ট্রের চরম ব্যর্থতা ও নিপীড়নের প্রতিচ্ছবি।

বিবৃতিতে সই করেছেন– আনু মুহাম্মদ, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, রেহনুমা আহমেদ, সারা হোসেন, সাইদিয়া গুলরুখ, সায়েমা খাতুন, স্বাধীন সেন, মাহা মির্জা, হানা শামস আহমেদ, কল্লোল মোস্তফা, মির্জা তাসলিমা সুলতানা, গীতি আরা নাসরীন, শহিদুল আলম, খুশী কবির, সামিনা লুৎফা, কামাল চৌধুরী প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় গুলিতে ৩ পুলিশ নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে গুলিতে অন্তত তিনজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন পুলিশ সদস্য।

অঙ্গরাজ্যটির পুলিশ কমিশনার ক্রিস্টোফার প্যারিস বুধবার সংবাদমাধ্যমকে হতাহতের এ তথ্য জানান।

ক্রিস্টোফার প্যারিসের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরের এ ঘটনায় সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আহত দুই পুলিশ সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জশ শাপিরো ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার বা প্রায় ১১৫ মাইল পশ্চিমে নর্থ কোডোরাস টাউনশিপে ঘটনাস্থলে গেছেন।

কে বা কারা এ গুলিবর্ষণের পেছনে জড়িত, সে সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে পুলিশ কোনো তথ্য দেয়নি।

অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি পুলিশের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে ‘আমাদের সমাজের জন্য একটি অভিশাপ’ বলে অভিহিত করেছেন।

পামেলা বন্ডি আরও বলেন, স্থানীয় কর্মকর্তাদের সহায়তার জন্য ফেডারেল এজেন্টরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ