বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান ব্যক্তিগত জীবনে সাইফ আলী খানের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। সংসার আলো করে জন্ম নিয়েছে দুই পুত্রসন্তান। স্বামী-সন্তান নিয়েই অধিক ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে ৪৪ বছর বয়সি কারিনার জীবনযাপন পুরোপুরি বদলে গেছে। বন্ধু-সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডা-পার্টিকে ‘না’ বলতে শিখেছেন। কোভিডের অভিজ্ঞতা তার জীবনে এই পরিবর্তন এনে দিয়েছে।

নড ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেছেন কারিনা কাপুর খান। খাবার খাওয়া, ঘুমানো ও ঘুম থেকে ওঠার রুটিন বর্ণনা করে ‘ক্রু’ তারকা বলেন, “সন্ধ্যা ৬টায় রাতের খাবার খাই। রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে লাইট বন্ধ হয়। পৃথিবীর ঘুম ভাঙার আগে উঠে ওয়ার্কআউট করি।” 

পার্টিতে যান না কারিনা কাপুর খান। এ তথ্য উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমার বন্ধুরা আমাকে পার্টিতে আশা করে না। তারা এটাকে সম্মান করে।”

এভাবে জীবনযাপন করার কারণ ব্যাখ্যা করে কারিনা কাপুর খান বলেন, “আমি যদি ওয়ার্কআউট না করি, তাহলে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। কোভিডের পর বুঝতে পেরেছি ফিটনেস কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এটা অহংকারের জন্য নয় বরং সুস্থতার জন্য। এটি আমার মেজাজ স্থিতিশীলকারী, আমার নোঙর।”

বাড়িতে সবাই মিলে রান্না করেন কারিনা। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “পরিবারের সদস্যরা মিলে রান্না করতে খুব ভালোবাসি। সাইফ, বাচ্চারা, আমি— রান্না ঘরেই থাকি। সাইফ কেরালা খাবারের ভক্ত। সে সবসময় নতুন রেসিপি রান্নার চেষ্টা করে। যেমন: ইডিয়াপাম, নারিকেল দিয়ে তৈরি স্টু ইত্যাদি। আমার প্রতিদিন একটি ভারতীয় খাবার দরকার।”

অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর কারিনা কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সাইফ আলী খান। ২০০৭ সালে ‘টশান’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় পরস্পরের প্রেমে পড়েন তারা। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর লিভ-ইন করেন এই জুটি।  

২০১২ সালে বিয়ে করেন সাইফ-কারিনা। ২০১৬ সালে জন্ম নেয় এ দম্পতির প্রথম সন্তান তৈমুর আলী খান। ২০২১ সালের ২১ ফ্রেব্রুয়ারি এ জুটির সংসার আলো করে জন্ম নেয় দ্বিতীয় পুত্র সন্তান।

কারিনা কাপুর খান অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সিংহম এগেন’। গত বছরের ১ নভেম্বর মুক্তি পায় এটি। বর্তমানে তার হাতে রয়েছে ‘ডায়রা’ সিনেমার কাজ। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন মালায়ালাম সিনেমার অভিনেতা-নির্মাতা পৃথ্বীরাজ সুকুমারন। এটি পরিচালনা করছেন মেঘনা গুলজার।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক থেকে বিএনপির ওয়াকআউট

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত সরকারি কর্মকমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ না নিয়ে সংলাপ থেকে ওয়াকআউট করেছে বিএনপি।

সোমবার (২৮ জুলাই) ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২০তম দিনের শুরুতে চার প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ নিয়ে আলোচনার শুরুতেই ওয়াকআউট করে দলটি। 

বেলা সাড়ে ১১টার পর বিষয়টি আলোচনার জন্য উপস্থাপন করেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমদ জানান, তারা আলোচনায় অংশ নেবেন না।

পরে আলী রীয়াজ বলেন, “বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা আলোচনায় উপস্থিত থাকবে না। একটি রাজনৈতিক দল আলোচনায় অংশ না নিলে সেটা নিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারি না।”

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “একটি বড় দল আলোচনায় অংশ না নিলে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। আলোচনায় অগ্রসর হওয়া সম্ভব নয়।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে গঠনের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। এরপরও সাংবিধানিক ও আইন দ্বারা পরিচালিত পদগুলোতে নিয়োগ নিয়ে ভিন্ন ভাবনার প্রয়োজন নেই। এতে নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা সীমিত হবে এবং তা রাষ্ট্র পরিচালনায় জটিলতা সৃষ্টি করবে।” 

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ওয়াকআউটের পর আবারো ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিএনপির যোগদান  
  • ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক থেকে বিএনপির ওয়াকআউট