ঈদে অথেনটিক কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার পণ্য ক্রেতাদের আকর্ষণের শীর্ষে
Published: 6th, June 2025 GMT
মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিতপণ্যে ভোক্তা সাধারণের আগ্রহে রয়েছে দেশের নাম্বার ওয়ান অথেনটিক কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার স্টোর হারল্যান স্টোর। জানা গেছে, হারল্যান স্টোরে বিক্রি বেড়েছে কয়েক গুণ।
দেশব্যাপী এ রিটেইল শপের আউটলেটগুলোয় গত ঈদের তুলনায় বিক্রি অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন শপটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো.
তিনি জানান, ঈদ উপলক্ষে হারল্যান স্টোরে চলছে ‘লাখ টাকায় লাইফ সাজাই’ অফার। এই অফারের আওতায় যেকোনো হারল্যান স্টোর থেকে মাত্র ৫০০ টাকার কেনাকাটা করলেই ক্রেতারা জিতে নিতে পারছেন নগদ এক লাখ টাকা। এছাড়াও রয়েছে নিশ্চিত গিফট কুপন। এর পাশাপাশি হারল্যান স্টোরে নির্দিষ্ট পণ্যে চলছে সর্বোচ্চ ৫০% পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাদের জন্য আমাদের এই ক্যম্পেইনে ব্যাপক সাড়া মিলেছে।”
ঈদের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় বরাবরের মতো অন্যতম আকর্ষণ থাকে কসমেটিকস ও স্কিন কেয়ার পণ্য। এবারেও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এবার পণ্য ও আউটলেট বাছাইয়ে পেয়েছে ভিন্নতা। মানহীন ও ভেজাল পণ্যের ভিড়ে এবার অথেনটিক কসমেটিকস শপগুলোকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন ক্রেতারা। দেশের সবচেয়ে বড় কসমেটিকস অথেনটিক রিটেইল আউলেট হারল্যান স্টোর রয়েছে বিক্রির শীর্ষে।
রাজধানীর গুলশান পিংক সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, উত্তরা জসিম উদ্দিন, বেইলি রোড আউটলেটগুলোয় ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। বিশেষ করে ঈদের আগে স্কিন এনালাইজার মেশিন ব্যবহার করে পণ্য বাছাইয়ে বেশ লম্বা লাইন দিতে হয়েছে ক্রেতাদের।
স্টোরগুলোতে ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে আছে লিপস্টিক, আইলাইনার, প্রেস পাউডার, ফাউন্ডেশন, লিপগ্লস, আইশেড কালার কসমেটিকস। এখানে পাওয়া যাচ্ছে নিওর, সিওডিল, হারল্যান, ব্লেইজ ও স্কিন, স্কিন মিন্ট, ডার্মো-ইউ, লিলি, কেভোটিন ও বডি অ্যান্ড বেয়ার্ড ব্র্যান্ডের কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার পণ্য।
হারল্যান স্টোরের প্রতিটি ব্র্যান্ডের পণ্যই উচ্চতর গবেষণা ও ফর্মুলেশন দিয়ে তৈরি। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সেরা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কাঁচামাল এনেই তৈরি হচ্ছে এসব পণ্য। যা ক্রমেই ক্রেতাদের মাঝে আস্থা ও নির্ভরতার কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছে দিয়েছে হারল্যান স্টোরকে।
অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অব বাংলাদেশ-এএসবিএমইবি সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দীন বলেন, দেশের বাজারে ভেজাল ও নকলের ভিড়ে ক্রেতারা যখন অসহায় ঠিক তখনই হারল্যান স্টোর আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছে। বিদেশি মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যের ডাম্পিং স্টেশনে পরিণত হওয়া বাংলাদেশের বাজারে অথেনটিক পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করেছে হারল্যান স্টোর। ক্রেতারা এখন স্বাচ্ছ্বন্দ্যেই হারল্যান স্টোর থেকে সেসব পণ্য কিনতে পারছেন।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবহনশ্রমিকদের নির্বাচন কাল, চলবে না প্রাইম মুভারসহ কনটেইনারবাহী গাড়ি
আগামীকাল সোমবার কনটেইনার পরিবহনের গাড়িচালক ও সহকারীদের সংগঠন চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ট্রেলার, কংক্রিট মিক্সচার, ফ্ল্যাটবেড ও ড্রাম ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে কাল সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কনটেইনার পরিবহনের গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছে এ–সংক্রান্ত নির্বাচন উপপরিষদ।
কাল সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বন্দর রিপাবলিক ক্লাবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে কনটেইনার পরিবহনের গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখায় বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কারণ, এই গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকলে বন্দরে জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানো, ডিপো ও বন্দরে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার আনা-নেওয়ার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।
বন্দরসচিব ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘কনটেইনার পরিবহনের গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকলে বন্দরে কনটেইনার ওঠানো-নামানো ও পরিবহনের কাজে ব্যাহত হবে। তাই পালাক্রমে ভোট দিয়ে যাতে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখা যায়, সে জন্য তাঁদের আহ্বান জানাই।’
প্রাইম মুভার ট্রেলারে করে প্রতিদিন গড়ে রপ্তানি পণ্যবাহী দুই হাজার কনটেইনার ডিপোগুলো থেকে বন্দরে নেওয়া হয়। আবার আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার বন্দর থেকে ডিপোতে নেওয়া হয় এ ধরনের গাড়িতে।
জানতে চাইলে কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, সংগঠনটির সদস্যরা গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রেখে ভোট দিতে পারেন। তাহলে কাজের ক্ষতি হবে না।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির নির্বাচন উপপরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওয়াহিদুজ্জামান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ভোটদানের সুবিধার জন্য এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে চাইলে ভোট দিয়ে গাড়ি চালাতে পারবেন যে কেউ। আশা করি দুপুরের পর থেকে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হবে।
ওয়াহিদুজ্জামান জাহিদ বলেন, কনটেইনার পরিবহনের সাড়ে ৯ হাজার প্রাইম মুভার ট্রেলার রয়েছে। ভোটার হলেন ১০ হাজার ৪৫২ জন। তিন বছর মেয়াদে এই নির্বাচনে ২৫ পদে ৬৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।