ঈদের চার দিন পর মেয়ের বিয়ে, আগুনে পুড়ে সব শেষ
Published: 7th, June 2025 GMT
কোরবানির ঈদের চার দিন পর মেয়ের বিয়ে। তাই ঈদের পাশাপাশি মেয়ের বিয়ের প্রস্তুতিতেও ব্যস্ত ছিলেন অটোরিকশাচালক জানে আলম। আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে কেনাকাটা করেছেন, আয়োজনের সব প্রস্তুতিও প্রায় শেষ। কিন্তু এক আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে গেল।
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রাণে বাঁচলেও মেয়ের বিয়ের অর্থ–সামগ্রীসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন জানে আলম।
আজ শনিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর পরুয়াপাড়া গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ ভোরে আগুনের হলকা দেখে ঘুম ভাঙে জানে আলমের। তখন ঘরের চালায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। মুহূর্তেই চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কোনোভাবে অটোরিকশাটি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে বের করা গেলেও টাকাপয়সা ও গয়না কিছুই রক্ষা করা যায়নি। আগুনে জানে আলম ও তাঁর মেয়ে নাসরিন আক্তারও দগ্ধ হয়েছেন।
জানে আলম বলেন, ‘আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে মেয়ের বিয়ের সব প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। সবকিছু আগুনে পুড়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার ধারণা, রান্নাঘরের চুলা থেকেই আগুন লেগেছে।’
স্থানীয় রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বেনাপোলে ককটেল হামলায় বিএনপি নেতা নিহত
যশোরের বেনাপোলে ডুবপাড়া গ্রামে দুর্বৃত্তদের ককটেল হামলায় আব্দুল হাই নামে এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের আমির আলীর ছেলে এবং বিএনপির ডুবপাড়া ওয়ার্ড কমিটির কার্যকরী সদস্য। আজ শনিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার আগে আজ সকালে ঈদগাহ মাঠে আওয়ামী লীগের লোকজন নামাজ পড়তে যাওয়ায় আবু সাঈদ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এ সময় আব্দুল হাই বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজনের সাথে তোমাদের কোনো ঝামেলা থাকলে সেটা পরে মিটিয়ে নিও। এখন ওদের ঈদের নামাজ পড়তে দাও। এই ঘটনা নিয়ে দ্বন্দ্ব।
গ্রামের বাসিন্দারা জানান, পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজ আদায়ের জন্য আওয়ামী লীগ সমর্থকরা বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে অনুমতি নিয়ে ঈদের নামাজ পড়তে ঈদগাহে যান। আওয়ামী লীগ সমর্থকরা কেন ঈদের নামাজ পড়তে এসেছে; এ নিয়ে প্রথমে আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপি এবং পরে বিএনপির দুই গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ঘটনা জের ধরেই সাঈদ বহিরাগত লোকজন নিয়ে আব্দুল হাইয়ের ওপর কটকেট হামলা চালায়।
বেনাপোলের বাহাদুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি বলেন, ডুবপাড়া গ্রামের সাইদের নেতৃত্বে দুটি মোটরসাইকেলে ৪ জন সন্ত্রাসী ডুবপাড়া গ্রামের জামতলা নামক স্থানে মিলনের চা দোকানের পাশে আব্দুল হাইকে লক্ষ্য করে পরপর চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুল হাইকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির বলেন, সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় বিএনপি নেতা আব্দুল হাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এটা দুঃখজনক। ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারপূর্বক শাস্তি চাই।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাসেল মিয়া বলেন, ওই গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। অভিযান অব্যাহত আছে। রাতেই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে আগামীকাল রোববার সকালে পাঠানো হবে।