Samakal:
2025-08-01@04:49:36 GMT

জকোভিচের শেষের শুরু

Published: 7th, June 2025 GMT

জকোভিচের শেষের শুরু

উনচল্লিশ চলছে তাঁর। একজন স্পোর্টসম্যানের জন্য বয়সটা নেহাত কম নয়। সেটা বুঝতে পেরেই হয়তো প্যারিস ওপেন থেকে বিদায় নেওয়ার সময় আবেগি হয়ে পড়েন সার্বিয়ান টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচ। শুক্রবার সেমিফাইনালে তিনি হেরে যান ইতালির ইয়ানিক সিনারের কাছে। তিনবারের ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ী এই কিংবদন্তী। রোঁলা গারোর দর্শকদের কাছে হাত উঁচিয়ে বিদায় নিয়ে যান। 

‘এটাই হতে পারে এখানে খেলা আমার শেষ ম্যাচ। জানি না, তবে (শেষ ভেবে) আবেগি হয়ে পড়েছিলাম। সত্যি কথা বলতে কী, আমি আবারও এখানে খেলতে চাই। কিন্তু সেটা আরও বারো মাস পরে, যা কিনা আমার জন্য অনেক বেশি সময়। ইউএস ওপেন  আর উইম্বল্ডন খেলব। তারপর পাকাপাকি অবসরের নিব কিনা জানি না।’ 

২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা এই তারকা সম্প্রতি সময়ে লড়ছেন যেন তার বয়সের সঙ্গেই। দু’বছর আগে সর্বশেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিলেন ইউএস ওপেনে। এর পর গত বছর উইম্বল্ডনের ফাইনালে উঠলেও হেরে যান কার্লোস আলকারেজের কাছে। এবারে প্যারিস থেকে বিদায় নিলেও সেখানকার লাল মাটির কোর্টে কিছু রেকর্ডে নিজের নাম লিখে যান জকো। 

লাল দুর্গের এই কোর্টে রাজা ছিলেন যিনি, সেই রাফায়েল নাদালের সর্বাধিক ১১২টি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড রয়েছে এখানে। সেই লাল দুর্গেই কিনা দ্বিতীয় সর্বাধিক হিসেবে ১০১টি ম্যাচ জিতে নেন জকোভিচ। ক্যারিয়ারে একক কোনো মেজর আসরেও এটা তার প্রথম সেঞ্চুরি। দশ বার অংশগ্রহণ করে তিনবার শিরোপা জিতে নেন এই ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে। তবে এখান থেকেই বোধহয় শেষের শুরু হলো।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ