উনচল্লিশ চলছে তাঁর। একজন স্পোর্টসম্যানের জন্য বয়সটা নেহাত কম নয়। সেটা বুঝতে পেরেই হয়তো প্যারিস ওপেন থেকে বিদায় নেওয়ার সময় আবেগি হয়ে পড়েন সার্বিয়ান টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচ। শুক্রবার সেমিফাইনালে তিনি হেরে যান ইতালির ইয়ানিক সিনারের কাছে। তিনবারের ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ী এই কিংবদন্তী। রোঁলা গারোর দর্শকদের কাছে হাত উঁচিয়ে বিদায় নিয়ে যান।
‘এটাই হতে পারে এখানে খেলা আমার শেষ ম্যাচ। জানি না, তবে (শেষ ভেবে) আবেগি হয়ে পড়েছিলাম। সত্যি কথা বলতে কী, আমি আবারও এখানে খেলতে চাই। কিন্তু সেটা আরও বারো মাস পরে, যা কিনা আমার জন্য অনেক বেশি সময়। ইউএস ওপেন আর উইম্বল্ডন খেলব। তারপর পাকাপাকি অবসরের নিব কিনা জানি না।’
২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা এই তারকা সম্প্রতি সময়ে লড়ছেন যেন তার বয়সের সঙ্গেই। দু’বছর আগে সর্বশেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিলেন ইউএস ওপেনে। এর পর গত বছর উইম্বল্ডনের ফাইনালে উঠলেও হেরে যান কার্লোস আলকারেজের কাছে। এবারে প্যারিস থেকে বিদায় নিলেও সেখানকার লাল মাটির কোর্টে কিছু রেকর্ডে নিজের নাম লিখে যান জকো।
লাল দুর্গের এই কোর্টে রাজা ছিলেন যিনি, সেই রাফায়েল নাদালের সর্বাধিক ১১২টি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড রয়েছে এখানে। সেই লাল দুর্গেই কিনা দ্বিতীয় সর্বাধিক হিসেবে ১০১টি ম্যাচ জিতে নেন জকোভিচ। ক্যারিয়ারে একক কোনো মেজর আসরেও এটা তার প্রথম সেঞ্চুরি। দশ বার অংশগ্রহণ করে তিনবার শিরোপা জিতে নেন এই ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে। তবে এখান থেকেই বোধহয় শেষের শুরু হলো।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
`এটাই হয়ত আমার শেষ ম্যাচ`, ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে বিদায় জোকোভিচের
লাল সুরকির কোর্টে নিজের শেষ ম্যাচটা কী খেলেই ফেললেন নোভাক জোকোভিচ? উত্তরটা, হ্যাঁ। আবার না-ও। কেননা টেনিস বিশ্বের এক নম্বর তারকা যদি নিজেকে চ্যালেঞ্জ করেন তাহলে কোর্টে আবার তাকে দেখা যেতেও পারে। আপাতত ফ্রেঞ্চ ওপেনে সেমিফাইনাল থেকে তার বিদায়ঘণ্টা বেজেছে সেখানেই আলোচনা থাক।
ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনালে স্ট্রেট সেটে হেরেছেন জোকোভিচ। ইয়ানিক সিনারের কাছে ৪-৬, ৫-৭, ৬-৭ হেরে যান। দ্বিতীয় সেটে মেডিকেল ব্রেক নিয়ে একবার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু পরের গেমেই জোকোভিচের সার্ভিস 'ভেঙে দেন' ইয়ানিক। তারপর তৃতীয় সেটেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় দুজনের। তবে টাইব্রেকারে জিতে ফাইনালে ওঠেন ইয়ানিক।
হেরে বিদায় নেওয়ার সময় দর্শক গ্যালারিতে হাত নেড়ে শ্রদ্ধা জানান এই কিংবদন্তি। এরপর নিজের পরিকল্পনা নিয়ে বললেন, ‘‘এটা হতে পারে এখানে খেলা আমার শেষ ম্যাচ। আমি জানি না। তবে (শেষ ভেবে) আবেগি হয়ে পড়েছিলাম।’’
৩৮ বছর পেরিয়ে যাওয়া জোকোভিচ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ভাগাভাগি করেছেন, ‘‘ইউএস ওপেন আর উইম্বলডন খেলব। এরপর পাকাপাকি অবসর নিব কিনা জানি না। আপাতত এটুকুই বলতে পারি।’’
২০২৩ সালে সবশেষ ইউএস ওপেন জিতেছিলেন জোকোভিচ। এরপর আর কোনও গ্র্যান্ড স্লাম জিততে পারেননি । গত বছর উইম্বলডনের ফাইনালে উঠলেও কার্লোস আলকারাজের কাছে হেরে যান। পরে প্যারিস অলিম্পিকে আলকারাজকে হারিয়েই সোনা জিতেছিলেন।
টেনিস ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৪ গ্র্যান্ড স্লামের মালিক জোকোভিচ। এর মধ্যে সবচেয়ে কম জিতেছেন ফ্রেঞ্চ ওপেনে, ৩টি। অপূর্ণতা কী থেকে গেল?
এদিকে জোকোভিচকে হারিয়ে মুখে হাসি থাকলেও কিংবদন্তিকে যথাযথ সম্মান করতে ভুল করেননি ইয়ানিক, ‘‘গ্র্যান্ড স্ল্যামের মতো মঞ্চে জোকোভিচের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে নামাটাই আমার কাছে একটা গর্বের ব্যাপার ছিল। অসাধারণ লেগেছে খেলতে পেরে। নিজের সেরা টেনিসটা খেলতে হয়েছে। জোকোভিচ দেখাল যে, কেন আমাদের মতো সব তরুণ খেলোয়াড়ের কাছে ও আদর্শ। এই বয়সে ও যা করছে তাকে অসাধারণ বললেও কম বলা হয়। বাকি মৌসুমের জন্য শুভেচ্ছা রইল। আমরা ভাগ্যবান যে এখনও জোকোভিচকে এই উচ্চমানের টেনিস খেলতে দেখছি।”
ঢাকা/ইয়াসিন