বিজ্ঞানীরা সৌরজগতের গ্রহ ইউরেনাসের বায়ুমণ্ডল নিয়ে নতুন তথ্যের খোঁজ পেয়েছেন। ইউরেনাসের অদ্ভুত ঋতু সম্পর্কে নতুন তথ্য আবিষ্কার করেছেন। নতুন গবেষণাটি ২০০২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ থেকে তোলা ইউরেনাসের বিভিন্ন ছবির ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।

সূর্যের সপ্তম গ্রহ ইউরেনাসের ফ্যাকাশে নীল-সবুজ রঙের জন্য আলোচিত। এই গ্রহের এমন রঙের কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। গ্রহটির বায়ুমণ্ডল সূর্যালোকের লাল তরঙ্গদৈর্ঘ্য শোষণ করে বলেই এমন রং ধারণ করে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণাটি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী যুক্ত ছিলেন। তাঁরা ইউরেনাসের রহস্যময় বায়ুমণ্ডলীয় গঠন ও জটিল গতিবিদ্যার ওপর আলোকপাত করে। গবেষণা বলছে, ইউরেনাসের বায়ুমণ্ডল মূলত হাইড্রোজেন, হিলিয়ামসহ অল্প পরিমাণে মিথেন রয়েছে। এ ছাড়া সামান্য পরিমাণে পানি ও অ্যামোনিয়া রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইউরেনাস শনি গ্রহ ও নেপচুন গ্রহের মাঝখানে অবস্থিত। সূর্য থেকে দূরত্ব হিসেবে সপ্তম গ্রহ এটি। ইউরেনাস আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে কম জানা গ্রহের মধ্যে একটি। নতুন গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা গ্রহের ঋতু পরিবর্তন সম্পর্কে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছেন।

অন্যান্য গ্রহের মতো করে ইউরেনাস ঘুরছে না। ইউরেনাসের ঘূর্ণন অক্ষ তার কক্ষপথের প্রায় সমান্তরাল। ধারণা করা হয়, ইউরেনাস পৃথিবীর আকারের কোনো বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল অতীতে। এ কারণে উল্টো অবস্থানে ঘুরছে গ্রহটি। গ্রহটির সূর্যের চারপাশে একটি ঘূর্ণন সম্পন্ন করতে ৮৪ বছর সময় লাগে। গ্রহের পৃষ্ঠ ৪২ বছর ধরে সূর্যের আলো পায় ও পরবর্তী ৪২ বছর অন্ধকার থাকে। ২০ বছর ধরে চলা গবেষণায় গবেষকেরা ইউরেনাসের বায়ুমণ্ডলের ঋতু পরিবর্তনের মাত্র একটি অংশ পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছেন।

ইউরেনাসের ব্যাস প্রায় ৫১ হাজার কিলোমিটার। ইউরেনাস পৃথিবীর চেয়ে চার গুণ বড় ও ভর পৃথিবীর চেয়ে ১৫ গুণ বেশি। ইউরেনাসের ১৩টি বলয় ও ২৮টি চাঁদও রয়েছে। নাসার ভয়েজার-২ একমাত্র মহাকাশ অনুসন্ধান যান, যা ১৯৮৬ সালের জানুয়ারিতে ফ্লাইবাই পরিচালনা করে গ্রহটির তথ্য জানতে পারে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউর ন স র ব য গ রহ র গ রহট

এছাড়াও পড়ুন:

ইউরেনাস গ্রহ ফ্যাকাশে নীল-সবুজ কেন

বিজ্ঞানীরা সৌরজগতের গ্রহ ইউরেনাসের বায়ুমণ্ডল নিয়ে নতুন তথ্যের খোঁজ পেয়েছেন। ইউরেনাসের অদ্ভুত ঋতু সম্পর্কে নতুন তথ্য আবিষ্কার করেছেন। নতুন গবেষণাটি ২০০২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ থেকে তোলা ইউরেনাসের বিভিন্ন ছবির ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।

সূর্যের সপ্তম গ্রহ ইউরেনাসের ফ্যাকাশে নীল-সবুজ রঙের জন্য আলোচিত। এই গ্রহের এমন রঙের কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। গ্রহটির বায়ুমণ্ডল সূর্যালোকের লাল তরঙ্গদৈর্ঘ্য শোষণ করে বলেই এমন রং ধারণ করে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণাটি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী যুক্ত ছিলেন। তাঁরা ইউরেনাসের রহস্যময় বায়ুমণ্ডলীয় গঠন ও জটিল গতিবিদ্যার ওপর আলোকপাত করে। গবেষণা বলছে, ইউরেনাসের বায়ুমণ্ডল মূলত হাইড্রোজেন, হিলিয়ামসহ অল্প পরিমাণে মিথেন রয়েছে। এ ছাড়া সামান্য পরিমাণে পানি ও অ্যামোনিয়া রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইউরেনাস শনি গ্রহ ও নেপচুন গ্রহের মাঝখানে অবস্থিত। সূর্য থেকে দূরত্ব হিসেবে সপ্তম গ্রহ এটি। ইউরেনাস আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে কম জানা গ্রহের মধ্যে একটি। নতুন গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা গ্রহের ঋতু পরিবর্তন সম্পর্কে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছেন।

অন্যান্য গ্রহের মতো করে ইউরেনাস ঘুরছে না। ইউরেনাসের ঘূর্ণন অক্ষ তার কক্ষপথের প্রায় সমান্তরাল। ধারণা করা হয়, ইউরেনাস পৃথিবীর আকারের কোনো বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল অতীতে। এ কারণে উল্টো অবস্থানে ঘুরছে গ্রহটি। গ্রহটির সূর্যের চারপাশে একটি ঘূর্ণন সম্পন্ন করতে ৮৪ বছর সময় লাগে। গ্রহের পৃষ্ঠ ৪২ বছর ধরে সূর্যের আলো পায় ও পরবর্তী ৪২ বছর অন্ধকার থাকে। ২০ বছর ধরে চলা গবেষণায় গবেষকেরা ইউরেনাসের বায়ুমণ্ডলের ঋতু পরিবর্তনের মাত্র একটি অংশ পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছেন।

ইউরেনাসের ব্যাস প্রায় ৫১ হাজার কিলোমিটার। ইউরেনাস পৃথিবীর চেয়ে চার গুণ বড় ও ভর পৃথিবীর চেয়ে ১৫ গুণ বেশি। ইউরেনাসের ১৩টি বলয় ও ২৮টি চাঁদও রয়েছে। নাসার ভয়েজার-২ একমাত্র মহাকাশ অনুসন্ধান যান, যা ১৯৮৬ সালের জানুয়ারিতে ফ্লাইবাই পরিচালনা করে গ্রহটির তথ্য জানতে পারে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ