ঈদুল আজহার ছুটি শেষে ধীরে ধীরে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন বেসরকারি চাকরিজীবীরা। সরকারি ছুটি চললেও কর্মস্থলের ডাক পড়ায় আগেভাগেই ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন অনেকে। ঈদের দুই দিন পেরিয়ে গেলেও ঢাকামুখী মানুষের ভিড় এখনো তেমন চোখে পড়ছে না।

মঙ্গলবার (১০ জুন) রাজধানীর গুলিস্তান, ধোলাইপাড়, রায়েরবাগ, যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, দূরপাল্লার বাসগুলো কম আসছে। যে কটি আসছে, সেগুলোর অধিকাংশেই যাত্রীতে সংখ্যা পূর্ণ নয়। যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ফিরছেন, কোথাও যানজট বা ভোগান্তির খবরও পাওয়া যায়নি।

ইমাদ পরিবহনের চালক মো.

রফিক জানান, আজ যাত্রী কিছুটা বেড়েছে ঠিকই, তবে এখনো পুরো বাস ভর্তি হচ্ছে না। রাস্তাও ফাঁকা, যাত্রা স্বস্তির।

আরো পড়ুন:

ট্যানারিতে চামড়া সংরক্ষণে ব্যস্ত শ্রমিকরা

গাজীপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, মামলায় আসামি দেড় হাজার

ফরিদপুর থেকে ঢাকায় ফিরেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কবির হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘আজ থেকে অফিস শুরু, তাই সকালে রওনা দিয়েছি। ভাড়া কিছুটা বেশি লেগেছে কিন্তু যাত্রা ভালো ছিল। বাসে উঠে দেখি অর্ধেক সিটই ফাঁকা।’’ 

বাস মালিকদের সংগঠন ঢাকা বাস মালিক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য মাইদুল ইসলাম বলেন, ‘‘ফিরতি যাত্রায় এখনো তেমন চাপ পড়েনি। দু-একজন করে ফিরছেন। তবে ধারণা করছি, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) থেকে ঢাকামুখী যাত্রী বাড়বে।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘যাত্রাপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। অতিগতিতে চালানো বা অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ করা গাড়িগুলো শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’’ 

চলতি বছর ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে ৫ জুন থেকে এবং চলবে ১৪ জুন পর্যন্ত। ফলে অনেকে এখনো পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। তবে বেসরকারি চাকরিজীবীদের একাংশ কর্মস্থলের প্রয়োজনে আগেভাগে ঢাকায় ফিরছেন। 

ঢাকা/এএএম/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বরের বাবার মৃত্যু

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন বরের বাবা বিষু পাল (৬৫)। বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার গুনই মদনমুরত গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, বিষু পালের বড় ছেলে বিজয় পালের বিয়ে ঠিক হয় ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার)। সেই উপলক্ষে বাড়িতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়। বাড়ির একটি গ্রিলে অস্থায়ী বিদ্যুৎ লাইনের তার ঝুলছিল। যেখানে লিকেজ ছিল। সকালে অসাবধানতাবশত সেই গ্রিলে হাত দিলে বিষু পাল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্দার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু

বানিয়াচং থানার এসআই সজিব ঘোষ জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। বিয়ের আনন্দময় পরিবেশ হঠাৎ করে বিষাদে পরিণত হয়েছে। বিকেলে বিষু পালের পরিবারের সদস্যরা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদরে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

ঢাকা/মামুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ