ইউরোপের দলগুলোর বিপক্ষে আর্জেন্টিনার সামর্থ্য কতটা, কী বললেন স্কালোনি
Published: 10th, June 2025 GMT
২০২২ বিশ্বকাপের আগে ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের মানের পার্থক্য নিয়ে বেশ আলোচনা শোনা যেত। ২০০২ সালের পর আর কোনো লাতিন দেশ বিশ্বকাপ না জেতার কারণেই মূলত এত আলোচনা।
সে সময় দুই মহাদেশের ফুটবলের পার্থক্য নিয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পের একটি মন্তব্য বেশ আলোচনারও জন্মও দিয়েছিল। এমবাপ্পে বলেছিলেন, ‘ইউরোপের ফুটবল যতটা এগিয়েছে, দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ততটা এগোতে পারেনি।’
তবে কাতার বিশ্বকাপে সেসব প্রশ্ন ও বিতর্কের একরকম ইতি টেনে দেয় আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিরা বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে তোলার পথে যে ৬টি ম্যাচে জিতেছিল, নকআউটের তিনটিসহ চারটিই ছিল ইউরোপের। শুধু বিশ্বকাপ নয়, বিশ্বকাপের আগে ফিনালিসিমাতেও ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে হারিয়েও শিরোপা জিতেছিল লাতিন আমেরিকার দেশটি।
সম্প্রতি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের নেশনস লিগ জয়ের পর আবারও একই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনিকে। এ সময় তিনি কথা বলেছেন অপ্রতিরোধ্য রোনালদোর শ্রেষ্ঠত্ব নিয়েও।
আরও পড়ুনদেখে নিন রোনালদোর ট্রফি কেবিনেটে চ্যাম্পিয়নস লিগ-ইউরোসহ আরও যা আছে ১৯ ঘণ্টা আগে৪০ পেরিয়েও দুর্দান্ত ছন্দ রেখে শিরোপা জিতেছেন রোনালদো। আগামীকাল কলম্বিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের আগে স্কালোনির সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন হয়েছে। আর্জেন্টিনা কোচের কাছে জানতে চাওয়া হয় তাঁর রোনালদো–ভাবনা। উত্তর দেওয়ার সময় অবশ্য শুধু রোনালদো নন, নিজের মন্তব্যে পরোক্ষে মেসিকেও টেনে আনেন স্কালোনি।
উয়েফা নেশনস লিগ ট্রফি হাতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন ব শ বক প ইউর প ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
‘বিচার প্রক্রিয়া ও সংস্কারের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে’
অন্তবর্তী সরকারের শিল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “বাংলাদেশ বর্তমানে এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সবাইকে ধৈর্য ধরে বিচার প্রক্রিয়া, সংস্কার এবং নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে। সারাদেশ এখন জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার অপেক্ষায় রয়েছে।”
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) জাহাঙ্গীরনগর বিবিদ্যালয়ে নির্মিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম স্মৃতিস্তম্ভ ‘অদম্য ২৪’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে, অদম্য ২৪ উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্মিত জুলাইয়ের ভিডিও ও ফটো ডকুমেন্টারি উপভোগ করেন।
আরো পড়ুন:
জবির পরিত্যক্ত ডাস্টবিনগুলো সংস্কার করল ছাত্রদল
রাকসু থেকে জাতীয় পর্যায়ের নেতৃত্বে যারা
আদিলুর রহমান খান বলেন, “১ বছর আগে বাংলাদেশে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল, সেই ঐক্যই পারে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেতে। বিচার প্রশ্নে বলতে চাই কোনো অবস্থাতেই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তৈরি হওয়া সরকার বিচারের ক্ষেত্রে দুর্বলতা স্কোপ রাখবে না। খুব দ্রুতই বেশ কয়েকটি বিচারের কাজ দৃশ্যমান হবে।”
তিনি আরো বলেন, “তরুণ ছাত্র-জনতা ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি এবং দেশকে বাঁচানোর জন্য জীবন দিয়েছেন। ছাত্র-জনতার মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করা সম্ভব হয়েছে। সেই ঐক্য ধরে রাখতে হবে।” এছাড়া স্মৃতিস্তম্ভ ‘অদম্য-২৪’ বিভাজন ভুলে একাত্ম হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।
সমাপনী বক্তব্যে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, “সংঘবদ্ধ আন্দোলনে ৫ আগস্ট আমরা বিজয় অর্জন করেছি। এর মানে এই নয় যে, অন্য যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে আর স্বর আপনারা শুনবেন না। আপনারা দেখবেন, জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীরা সচেতন এবং কথা বলার ব্যাপারে উন্মুক্ত।”
তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, এই স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আবার স্মরণ করিয়ে দিলাম, আমরা যদি বাংলাদেশে কোনো অশান্তি দেখি, বৈষম্য দেখি, পরাজয়ের কালো মেঘ দেখি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অদম্য সংগ্রামীরা আবারো তাদের সেই কার্যক্রম শুরু করবে। গোটা বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবে, আবার বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবে।
অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, উপ -উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রব, প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলমসহ জাহাঙ্গীরনগরের সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়ে শহীদ পরিবারের সদস্যরাও বক্তব্য দেন।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী