পাবনার চাটমোহরে আম বিক্রি করতে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাস চাপায় জহুরুল ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার বোয়াইলমারী গোরস্তান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জহুরুল উপজেলার হরিপুর কুঠিপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।

নিহতের স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার ভোরে ব্যাটারিচালিত ভ্যানযোগে ছাইকোলা হাটে আম বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন জহুরুল ইসলাম। আমভর্তি ভ্যানটি বোয়াইলমারী গোরস্তান এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভ্যানে ধাক্কা দিলে রাস্তায় ছিটকে পড়েন জহুরুল। এ সময় মাইক্রোবাসটি পালিয়ে যাওয়ার সময় চাকার নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ওসি (তদন্ত) নয়ন কুমার সরকার জানান, নিহতের পরিবারের লোকজন থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

চন্দনা নদীতে ভাসছিল অটোরিকশাচালকের মরদেহ

রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কালুখালী উপজেলার চাঁদপুর ব্রিজের নিচে চন্দনা নদী থেকে এক অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত অটোচালকের নাম আসলাম প্রামানিক (৪৫)। তিনি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নের চরলক্ষীপুর গ্রামের পিয়ার আলী প্রামানিকের ছেলে।

বুধবার সকালে স্থানীয়রা চাঁদপুর ব্রিজের নিচে চন্দনা নদীতে একটি মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। পরে কালুখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহতের ভাই সিদ্দিক প্রামানিক সমকালকে বলেন, ‘আমার ভাই আসলাম মঙ্গলবার সকালে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। আমরা আত্মীয়স্বজন ও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়েছি কিন্তু কোথাও কোনো সন্ধান পাইনি। সকালে খবর পেয়ে এখানে এসে দেখি নদীতে ভাইয়ের মরদেহ। আমরা নিশ্চিত, তার অটোরিকশাটি ছিনতাই করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, নিহত আসলাম মঙ্গলবার সকালে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েছিলেন। বুধবার সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা তার মরদেহ চন্দনা নদী থেকে উদ্ধার করি। তবে তার অটোরিকশার সন্ধান মেলেনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেবব্রত সরকার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সকালেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অটো ছিনতাইয়ের জন্য আসলামের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। পরে তাকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে রাখা হয়েছে এবং ছিনতাইকারীরা অটো নিয়ে পালিয়েছে। আমরা ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ