চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভাইকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
Published: 11th, June 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরমোহনপুর এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বউ ভাইকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চরমোহনপুরের লাহাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বড় ভাই আব্দুর রশিদ (৪৭) ওই এলাকার মৃত বেলাল উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার পর থেকে ছোট ভাই মো. বিকাশ (৩৫) পলাতক।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাবার জমি ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব ছিল দুই ভাইয়ের মধ্যে। এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলমান। এরই সূত্র ধরে মঙ্গলবার কথা কাটাকাটি হলে ছোট ভাই বিকাশ ছুরি দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর আহত হন বড় ভাই আব্দুর রশিদ। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা.
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান আমাদের বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল আপন দুই ভাইয়ের মধ্যে। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাত করলে বড় ভাইয়ের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মরদ হ চ প ইনব বগঞ জ প ইনব বগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
বেলাবতে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, যুবক নিহত
নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাইফুল ইসলাম (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১১ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলার বেলাব ইউনিয়নের মাটিয়ালপাড়া ও চরবেলাব গ্রামের মধ্যবর্তী সেতু এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত সাইফুল চরবেলাব গ্রামের মো. জীবন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেলে বেলাব হোসেন আলী সরকারি কলেজ মাঠে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে চরবেলাব গ্রামের মোটরসাইকেল আরোহী ও বেলাব মাটিয়ালপাঁড়া গ্রামের অটোরিকাশচালকের মধ্যে সড়কে সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। পরে এ ঘটনায় দুই গ্রামের বেশ কয়েকজন যুবক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় আহত হন চারজন। এ ঘটনার জেরে আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেলাব মাটিয়ালপাঁড়া ও চরবেলাব গ্রামের শত শত মানুষ লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ১১ পুলিশ সদস্যসহ দুই গ্রামের অন্তত ১৯ জন আহত হন। তাদের বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ নরসিংদী ও ভৈরবের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত সাইফুলের পরিবারের দাবি, পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে সাইফুলে মৃত্যু হয়েছে।
বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি দুই গ্রামের মানুষই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। এসময় উত্তেজিত গ্রামবাসী পুলিশের ওপরও
হামলা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও আত্মরক্ষার্থে পুলিশও রাবার বুলেটে ছোড়ে। যিনি মারা গেছেন তিনি গ্রামবাসীর নাকি পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে।
নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।