বন্দরে আজমীর ওসমানের খলিফা হ্যান্ডকাপ মামুন ফের বেপরোয়া
Published: 11th, June 2025 GMT
বন্দরে মদনপুর ইউনিয়নের দেওয়ানবাগ এলাকায় জাতীয় পাটির জার্সি বদল করে এখন বিএনপি জার্সি গায়ে দিয়ে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠার অভিযোগ উঠেছে আজমীর ওসমানের খলিফা হ্যান্ডকাপ মামুনের বিরুদ্ধ।
স্থানীয় এলাকাবাসীসহ মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপি একাধিক নেতাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদকে জানিয়েছে, আওয়ামীলীগ সরকারের শাসন আমলে দুর্র্ধষ এই হ্যান্ডকাপ মামুন জাতীয় পার্টির সন্ত্রাসী আজমীর ওসমানের খলিফা হিসেবে এলাকায় ব্যাপক আধিপত্য বিস্তার করতো।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটলে ওই সময় হ্যান্ডকাপ মামুন গা বাঁচানোর জন্য রাতা রাতি বন্দর উপজেলা বিএনপি সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরনের হাত ধরে বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করে।
বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে গত ৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সেক্টর থেকে হ্যান্ডকাপ মামুনসহ তার চেলাচামুন্ডারা হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। নব্য বিএনপি নেতা হ্যান্ডকাপ মামুনসহ তার দোসরদের অনৈতিক কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে মদনপুরসহ এর আশেপাশের লোকজন।
উপজেলা বিএনপি লোভী নেতা হিরনের মত কিছু লোকের কারনে এসব নব্য বিএনপি নেতা দলে অনুপ্রবেশের কারনে দেশবাসী কাছে এতিহ্যবাহী দলটির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
এলাকাবাসী আজমীর ওসমানের খলিফা হ্যান্ডকাপ মামুনের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আশু কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপি সিনিয়র নেতাদের সুদৃষ্টি কামনা করছে নেতাকর্মীরা।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ওসম ন ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
সোয়া ২ কোটি টাকার চেক নেন সাবেক এমপির কাছ থেকে
সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে চাঁদা নেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদের নাখালপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চারটি চেক উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে চেক উদ্ধারের বিষয়টি জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তবে এই চেক কোন প্রতিষ্ঠান দিয়েছে, তা তিনি জানাননি।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ওই সোয়া দুই কোটি টাকার চেক নেওয়া হয়েছে রংপুর-৬ আসনে (পীরগঞ্জ) আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘ট্রেড জোন’ থেকে। ট্রেড জোনের পোশাক কারখানাসহ নানা ব্যবসা রয়েছে।
ট্রেড জোনের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, সোয়া দুই কোটি নয়, মোট ৫ কোটি টাকার ১১টি চেক নিয়েছিলেন আবদুর রাজ্জাকসহ ছয়জন। তবে একটি চেকের বিপরীতেও তাঁরা টাকা উত্তোলন করতে পারেননি। কারণ, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবগুলোতে ট্রেড জোন কর্তৃপক্ষ টাকা রাখেনি। তিনি বলেন, টাকা উত্তোলন করতে না পেরে রাজ্জাকসহ অন্যরা ট্রেড জোনের মালিককে হুমকি দিচ্ছিলেন।
রাজ্জাকসহ অন্যরা কীভাবে চেক নিয়েছিলেন, তা প্রথম আলোকে বিস্তারিত জানিয়েছেন সাইফুল ইসলাম।
শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরের কাছ থেকে প্রথম দফায় ১০ লাখ টাকা নেওয়ার পর দ্বিতীয়বার টাকা নিতে গিয়ে ১৭ জুলাই হাতেনাতে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন আবদুর রাজ্জাকসহ পাঁচজন। বাকি চারজন হলেন ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও অপ্রাপ্তবয়স্ক একজন। প্রাপ্তবয়স্ক চার আসামির এখন রিমান্ড চলছে। ঘটনাটিতে মামলা করেছেন সিদ্দিক আবু জাফর।
ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ছিলেন। আবদুর রাজ্জাক ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক। পরে তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য। গ্রেপ্তারের পর সবাইকে বহিষ্কার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় বাদে অন্য সব কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।
চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার আব্দুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদ