রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা শিথিলে সম্মত যুক্তরাষ্ট্র-চীন
Published: 12th, June 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যে কিছুটা হলেও অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখা গেছে। বৈশ্বিক বাণিজ্যে উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ সহজ করার জন্য একটি প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছেছে দুই দেশ। লন্ডনে দুই দিনব্যাপী বৈঠক শেষে বুধবার উভয় পক্ষ এই ঘোষণা দেয়। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে সিএনএন।
রয়টার্স জানিয়েছে, দু’দিনের টানা বৈঠকের পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মঙ্গলবার বলেছেন, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সমঝোতা ঝালিয়ে নিতে এবং চীনা দুর্লভ খনিজের (রেয়ার আর্থ) রপ্তানি বিধিনিষেধ শিথিল করতে একটা কাঠামো তৈরির বিষয়ে তারা সম্মত হয়েছেন। লন্ডনে আয়োজিত বৈঠক শেষে মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক বলেছেন, গত মাসে জেনেভায় দু’পক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক চুক্তির কাঠামোকে আরেকটু বাস্তবসম্মত করে তুলেছে লন্ডন বৈঠকের সমঝোতা।
জেনেভা চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল ৩ অঙ্কের পাল্টাপাল্টি শুল্ক কমানো। তবে শুল্কের বিষয়ে একটা সুরাহা হলেও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রপ্তানিতে বিধিনিষেধ জারি রাখে বেইজিং। এর প্রতিক্রিয়ায় সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন সফটওয়্যার, রাসায়নিক এবং অন্যান্য প্রযুক্তিপণ্য চীনে রপ্তানিতে বাড়তি বিধিনিষেধ আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে বৈঠকে এই বিধিনিষেধ শিথিলের সম্ভাবনা দেখা দিলেও দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের কোনো সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ নিশ্চিত করা যায়নি।
লুটনিক বলেন, লন্ডনে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র রপ্তানিতে কঠোরতা কিছুটা কমাবে। তবে ঠিক কোন খাতে কতটুকু শিথিল করা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
নি বলেন, আমরা এমন একটি কাঠামোয় পৌঁছেছি, যা জেনেভা সম্মতিকে বাস্তবায়নের রূপরেখা দেবে এবং দুই প্রেসিডেন্টের ফোনালাপের ভিত্তিতেই এটি হয়েছে। এখন আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুমোদনের জন্য বিষয়টি উপস্থাপন করব, চীনা পক্ষও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অনুমোদন নেবে। অনুমোদন পেলে আমরা এটি কার্যকর করব।
পৃথক প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনের উপবাণিজ্যমন্ত্রী লি চেংগ্যাং বলেন, একটি কাঠামোগত চুক্তিতে দু’পক্ষ সম্মত হয়েছে এবং তা তাদের শীর্ষ নেতাদের কাছে উপস্থাপন করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে
জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।