ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনায় উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. নুরুল ইসলাম এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আশরাফ হোসেনকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুর ৩টার দিকে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আবু সাঈদ জোয়ার্দ্দার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, “জামাল ও কোলা ইউনিয়নে অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও বাড়িঘর ভাঙচুরের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে জেলা বিএনপির সিদ্ধান্তসমূহ:

আরো পড়ুন:

ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় তারেক রহমানের সমবেদনা

তারেক রহমান অল্প সময়ের মধ্যেই দেশে ফিরবেন: জাহিদ হোসেন

কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হলো। কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ডা.

নুরুল ইসলাম এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আশরাফ হোসেনকে দলীয় সব পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। এছাড়াও পরবর্তীতে উক্ত ঘটনাবলির সঙ্গে জড়িত যদি কেউ থাকে, অধিকতর ও তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সহ -দপ্তর সম্পাদক সাকিব আহমেদ বাপ্পী।

গত ১ জুন উপজেলার জামাল ইউনিয়নের নাকোবাড়িয়া এলাকায় সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউনুছ আলী ও মহব্বত আলী নামে দুই ভাই নিহত হন। এ ঘটনার পর থেকে ওই ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র স ব ক উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ২

যশোরের ঝিকরগাছায় পবিত্র ঈদুল আজহার দিন ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল ১০ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থী। ওই দিন দুপুরে ফুফাতো ভাই তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে লাশটি বাড়ির পাশে একটি ডোবায় ফেলে দেন। পরে শিশুটি নিখোঁজ হয়েছে বলে নাটক সাজানো হয়। এ ঘটনায় ফুফাতো ভাই ও ফুফাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্‌ঘাটনের দাবি করে এ তথ্য জানিয়েছে জেলা পুলিশ। গ্রেপ্তার বাবা-ছেলে ঝিকরগাছার একটি গ্রামের বাসিন্দা। নিহত শিশুটি পাশের গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত।

পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফুফাতো ভাই পুলিশকে জানিয়েছে, ঘটনার দিন দুপুরে ঘরের ভেতরে তাঁর বোন ঘুমাচ্ছিল। বাইরে ভুক্তভোগী শিশুটি দোলনায় দোল খাচ্ছিল। তাকে একা দেখে ফুফাতো ভাই জাপটে ধরে তাঁর কক্ষে নিয়ে যান। পরে গলা ও মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে শ্বাসরোধে মারা যায় শিশুটি। তখন বাড়ির পাশের একটি পুকুরে তার লাশ ফেলে দেওয়া হয়। পরে বোনকে ঘুম থেকে জাগিয়ে বিষয়টি গোপন করতে শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে নাটক সাজান।

এদিকে বাড়ির লোকজন শিশুটিকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তাঁর বাড়িতে খবর দেন। পরদিন সকালে ফুফু বাড়ির পশ্চিম পাশের ডোবায় লাশ দেখে চিৎকার করলে লোকজন ছুটে আসেন। পরে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে শিশুটির বাবা ঘটনাস্থলে যান এবং মেয়ের ঠোঁটে জখমের চিহ্ন দেখতে পারেন। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ বলেন, গ্রেপ্তার তরুণ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। গত বুধবার ওই তরুণ ও তাঁর বাবাকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ