গলাচিপায় জিওপি-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ২০, নুর অবরুদ্ধ
Published: 13th, June 2025 GMT
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চর বিশ্বাস এলাকায় গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি) ও বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় গণ অধিকার পরিষদের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা চর বিশ্বাস ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয় ভাংচুর করে। এতে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের (ভিপি নুর) ছোটভাই আমিনুল ইসলাম নুরসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়েছে।
এদের মধ্যে গুরুতর আহতরা হচ্ছেন, আমিনুল ইসলাম নুর, কামাল খলিফা, ইলিয়াস হোসেন, রবি মোল্লা, মারুফ হোসেন, শান্ত, শুভ, লোকমান হোসেন, মাকসুদ খান, মফিজ উদ্দিন, আব্দুর রাজ্জাক, সোহেল রানা।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় উভয় পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘটিত হচ্ছে। এ ঘটনার জন্য স্থানীয় গণ অধিকার পরিষদ ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ একে-অপরকে দায়ী করেছেন।
এদিকে ঘটনার সময় গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া এলাকায় দলীয় গণসংযোগে ছিলেন। সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়লে বকুলবাড়িয়া ও চিকনিকান্দি এলাকার বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা নুরুল হক নুরকে পাতাবুনিয়া এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখে।
ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আবু নাঈম জানান, এলাকার ব্যবসায়ীদের নিয়ে নুরুল হক নুরের ছোটভাই আমিনুল ইসলাম নুর চর বিশ্বাস বাজারে মতবিনিময় সভা করছিল। এ সময় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে অতর্কিত হামলা চালায় এবং নুরুল হক নুরের ছোটভাই আমিনুল ইসলাম নুরকে মারধর করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার ক্ষুব্ধ লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর করে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করার জন্য সংঘবদ্ধ হচ্ছে এবং বিএনপির ক্যাডাররা ত্রাস সৃষ্টি করছে। এতে এলাকার মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পরেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় গাছ ফেলে নুরুল হক নুরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
এদিকে গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো.
এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার ওসি মো. আসাদুর রহমান জানান, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৫-৭ আহত হয়েছে খবর পাওয়া গেছে। সেখানকার পরিস্থিতি এখন শান্ত।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র ল হক ন র স ঘর ষ ব এনপ ব এনপ র ন ত কর ম র আম ন ল ইসল ম ন র ন র ল হক ন র চর ব শ ব স এল ক য় এল ক র স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন