সৌদি আরবের মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের দেবে বৃত্তি। ২০২৫ সালের বৃত্তির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সম্পূর্ণ অর্থায়িত এ বৃত্তির আওতায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন।

১৯৬১ সালে পবিত্র নগরী মদিনায় মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। এটি দেশটির সরকার প্রতিষ্ঠিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় সারা বিশ্ব থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করছে।

বৃত্তির সুযোগ-সুবিধা—

নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে মাসিক উপবৃত্তি

মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে অতিরিক্ত ভাতা

রেস্তোরাঁয় খাওয়ার সুবিধা

আবাসনব্যবস্থা

মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণসহ নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

প্রার্থীর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। সর্বশেষ ডিগ্রি ও শিক্ষাজীবনের মধ্য পাঁচ বছরের বেশি ব্যবধান থাকা যাবে নাআরও পড়ুনইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের ওয়াইপিপি প্রোগ্রাম, আরবি অথবা ফরাসি ভাষায় দক্ষতায় বাড়তি সুযোগ০৩ মে ২০২৫

আবেদনের যোগ্যতা—

প্রার্থীকে অবশ্যই উত্তম আচরণের মুসলিম হতে হবে

শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থতার সনদ থাকতে হবে

প্রার্থীর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে

সর্বশেষ ডিগ্রি ও শিক্ষাজীবনের মধ্য পাঁচ বছরের বেশি ব্যবধান থাকা যাবে না

আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ১৭-২৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।

আরও পড়ুনইউনেসকোতে ১৪ ক্যাটাগরিতে ইন্টার্নশিপ, বয়স ২০ হলেই আবেদন ১৮ মার্চ ২০২৫ছবি: এআই/প্রথম আলো.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ